তখনকার প্রজন্ম তখনকার নিপীড়ক, অত্যাচারিত, জুলুমবাজ শাসকের বিরুদ্ধে লড়েছিল। ছিনিয়ে এনেছিল ভাষা, ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতা, ছিনিয়ে এনেছিল অধিকার।
আমরা আজকের প্রজন্ম আজকের শাসকের অন্যায়, অবিচার, অনৈতিকতার প্রতিবাদে কি করতেছি? আজও আমরা তখনকার প্রজন্মের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার প্রাপ্তি নিয়েই তৃপ্তির ঢেকুর তুলতেছি। এ যেন নিজে কিছু না করে বাপের সম্পত্তির উপর নির্ভর করে থাকা।
কিন্তু যে উদ্দেশ্যে তখনকার প্রজন্ম জীবন বাজি রেখে স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছে সে উদ্দেশ্য এখনকার প্রজন্ম কতটুকু পূরণ করতে পেরেছে? তখনকার সময়ে তখনকার শাসকের অন্যায় শাসনই স্বাধীনতার বীজ বপন করে। সে স্বাধীনতার মহত্ত্ব রক্ষার্থে আমরা বর্তমান প্রজন্ম কি ভূমিকা পালন করতেছি?
স্বাধীনতা মানে শুধু কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা আলাদা ভূখণ্ড আর নতুন পতাকা নয়, স্বাধীনতা মানে মানুষের অধিকারের মুক্তি। যেখানে শাসক শুধুই জনগণের অধিকার দেখবে, জনগণের অধিকার নিয়ে লড়বে, জনগণের অধিকারের মূল্য দিবে।
স্বাধীনতা মানে জনগণই ঠিক করবে কার হাতে তাদের অধিকার রক্ষার দায়িত্ব দিবে এবং প্রয়োজন মনে করলে কাকে দায়িত্ব হতে অব্যাহতি দিবে। সেখানে শাসক যদি জনগণের অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ করতে চায় তাহলেই তা হবে জনগণের স্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ। জনগণের স্বাধীনতা যখনই খর্বিত হবে তখনই জনগণকে তার স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে প্রতিবাদ ও প্রয়োজনে লড়াই করতে হবে।
এক ৭১ এই স্বাধীনতা অর্জিত হয়ে যায় নাই। ৭১ হল অনুপ্রেরণা। এই অনুপ্রেরণা নিয়ে আমাদের অন্তিম স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করতে হবে। আজো আমরা স্বাধীন না, স্বাধীনতার অন্তরালে আমরা পরাধীন জাতি। এ পরাধীনতার অন্তরাল থেকে নিজেকে উন্মচন করতে হবে।
উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত স্বাধীনতার খোলস নিয়ে আর কতকাল। এবার নিজে কিছু করি।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৩:০৮