somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পথের গল্প--“ফেরা”

৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


-১-
হঠাৎ করে এভাবে মটর সাইকেল নষ্ট হয়ে যাবে, এটা ভাবতেও পারেনি মারুফ। সন্ধার সময় যখন মাওনা থেকে ফুলবাড়িয়া বাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছিল, তখনতো সবকিছু ঠিকই ছিল। ফুল ট্যাংকি অকটেন ভরে নিয়েছিল । মটর সাইকেলের প্লাগ, হর্ণ, ব্যাটারী, হেডলাইটসহ গুরত্বপূর্ণ সবকিছু পরিক্ষা করেই রওয়ানা দিয়েছিল । কিন্তু অর্ধেক পথে এসে এভাবে হঠাৎ করে কোন কারন ছাড়া মটর সাইকেলের স্ট্রাট বন্ধ হয়ে যাবে, এটা কোনভাবে মেনে নিতে পারছে না মারুফ ।
ব্রীজটা পাড় হয়েই মটর সাইকেলের স্ট্রাট বন্ধ হয়েছে, তার মানে মাওনা পৌছাতে এখনও ১০ কিলোমিটার মতো পথ বাকি । মটর সাইকেলের স্ট্রাট বন্ধের সাথেসাথে হেড লাইটও বন্ধ। মিনিট পনের চেষ্টা করেও মটর সাইকেল চালু করতে না পেরে হাল ছেড়ে দিল মারুফ।
মটর সাইকেল স্ট্যান্ড করে নেমে পড়ল মারুফ। পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করল। মোবাইল ফোন অন করে সময় দেখল। দশটা দশ বাজে। ডায়াল লিস্ট থেকে তাঁর কলিগ কমলকে দুইবার ডায়াল দিল । কিন্তু কমল মোবাইল ফোন রিসিভ করল না। মনে হয় মটর সাইকেল ড্রাইভ করছে অথবা অর্ডার কালেকশনে ব্যস্ত।
বৃহস্পতিবার এলেই তাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। কারন বৃহস্পতিবার হলো অর্ডার কালেকশনের দিন। কমল আর মারুফকে মাওনা, শ্রীপুর বাজার, বরমী, ফুলবাড়িয়া বাজারসহ বেশ বড়ো একটা মার্কেটের সকল ফার্মেসীর অর্ডার কালেকশন করতে হয়। কাজটি বেশ কষ্টসাধ্য। কিন্তু কিছু করার নাই । মেডিক্যাল প্রোমোশন অফিসার হিসেবে চাকরিতে যোগদানের পর থেকে গত একবছর যাবত ডাক্তারদের কাছে কম্পানির প্রোডাক্ট প্রোমোশনের পাশাপাশি প্রতি সপ্তাহে মটর সাইকেল ড্রাইভ করে এই অর্ডার কালেকশ করছে।কম্পানির টার্গেট ফিলআপ করছে।
অর্ডার কালেকশনের দিন এলেই মারুফের মনে হয় চাকরিটি ছেড়ে দেয়। কিন্তু ছাড়ি-ছাড়ি করেও গত একবছরে চাকরিটি ছাড়া হয়ে ওঠেনি। একেতো সংসারের বড় ছেলে তার উপর পারিবারিক অনেক জটিলতা, দায়বদ্ধতা ইত্যাদিতো আছেই। তাই বাধ্য হয়েই চাকরিটি করতে হচ্ছে মারুফকে।
-২-
ঘুট-ঘুটে অন্ধকার। যাকে বলে মিশমিশে কালো অন্ধকার। সাথে ঘন কুয়াশা। পাঁচ ফিট দূরের কোন বস্তুও ঠিকমতো দেখা যাচ্ছে না। মটর সাইকেল স্ট্রাট করার পরিশ্রমে কনকনে শীতের মধ্যেও এখন
গত পনের মিনিটে একটি গাড়িও তার সামনে দিয়ে যায়নি। রাত আটটার পড়েই এই রাস্তায় গাড়ি চলাচল কমতে থাকে। রাস্তার দুইপাশে ঘন গজাড়ি বনের জঙ্গল। আশেপাশে তিন-চার কিলোমিটারের মধ্যে কোন জনবসতি না্ই বললেই চলে।
মারুফের এখন ভয় ভয় করছে। কি করবে বুঝতে পারছে না। আবারও পকেট থেকে মোবাইল ফোন বের করে তাঁর কলিগ কমলকে ডায়াল করলো, তাও ফোন রিসিভ করলো না। তবে কি তাঁর মতো কোন ঝামেলায় পড়েছে তাঁর কলিগও। এদিকে মোবাইল ফোন বারবার লো ব্যাটারি সিগনাল দিচ্ছে। যে কোন সময় মোবাইল ফোন বন্ধ হয়ে যাবে। বিপদ যখন আসে তখন সবদিক দিয়ে একসাথেই আসে!
মারুফের বাবা-মা ও ছোট ভাই-বোনেরা থাকে বগুড়ায়। চাকুরিসূত্রে এখানে সে একাই থাকে। এখনও বিবাহ করেনি। তাঁর এই বিপদের কথা তাঁর বাবা-মাকে জানাবে কিনা বুঝতে পাড়ছে না । যদি বাবা-মা জানে তাহলে অনেক টেনশন করবে। কিন্তু এই শ্রীপুরে তাঁর আপনজন বলতে কেউ তেমন নেই। এই বিপদ থেকে তাকে এখন কে উদ্ধার করবে। অন্য কম্পানির বেশ কয়েকজন কলিগ আছে যাদের সাথে তাঁর সখ্যতা ভালো। বেশ কয়েকজন ডাক্তার ও ফার্মাসিস্টের সাথে তার সম্পর্ক ভালো। তাদেরকে কি ফোন করে জানাবে। তাঁরা কি তাকে কোন উপকার করতে পারবে?
গত মাসে এই রাস্তায় কনজিউমার কম্পানির একজন বিক্রয় প্রতিনিধিকে কে বা কারা মেরে ফেলেছে। কিছুদিন আগে অজ্ঞাত পরিচয় দুজন যুবক-যুবতির লাশ এই গজাড়ি বন থেকে বের করেছে পুলিশ। রাস্তাটি খুবই বিপদজনক। পারতপক্ষে রাতের বেলা কেউ এই জঙ্গল রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে চায় না। কেন যে সে এতো বোকামি করলো! কেন যে এতো রাত্রে রওয়ানা হলো! ভাই-ভাই ফার্মেসীর মালিক জাবেদ ভাই অনেকগুলো আইটেমের অনেক টাকার অর্ডার দিলো, সে জন্যই অর্ডার কাটতে দেরি হয়ে গেলো। অবশ্য জাবেদ ভাই বলেছিল এতো রাত্রে এই রাস্তায় যাওয়ার দরকার নেই। বলেছিল রাতটুকু তাঁর বাসায় থেকে সকাল বেলা রওয়ানা হওয়ার জন্য। মারুফ তা শোনেনি। শাহস করে রওয়ানা দিয়েছিল। কিন্তু কে জানতো যে এরকম ঘোর বিপদে পড়বে।
মারুফ এবার মটর সাইকেল ঠেলতে শুরু করলো। ঘুটঘুটে অন্ধকার। কুয়াশা। ভালো মতো কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তবু সাবধানে ভাঙ্গা রাস্তার খানাখন্দ এড়িয়ে মটর সাইকেল ঠেলতে চেষ্টা করলো। কিন্তু বেশী দূর এগোতে পারলো না। আবার দাড়িয়ে পড়লো। মটর সাইকেল স্ট্যান্ড করে এবার পায়চারি শুরু করল। এই প্রচন্ড শীতের মধ্যেও দপদপ করে ঘামছে মারুফ। সোয়েটার খুলে ফেলল।
মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে। ফোন দিলেই মা বলে সাবধানে থাকিস বাবা। নিজের প্রতি খেয়াল রাখিস। প্রাইমারী স্কুল শিক্ষক বাবাও কম যায় না। ফোন দিলেই বলে এই চাকুরিতে খুব কষ্ট হচ্ছে না বাবা। করো, একটু কষ্ট করো। কষ্ট না করলে জীবনে বড় হওয়া যায় না। সাথে আরও ভালো চাকুরির জন্য চেষ্টা করো।
বাবার কথা ভাবতে ভাবতে মোবাইল ফোনে বাবাকে কল দিয়ে ফেললো মারুফ। কল ডায়াল হওয়ার সময় মোবাইল ফোনে আবারও লো ব্যাটারির সিগনাল বেঁজে উঠল। মারুফ জানে তার এই বিপদের কথা শুনলে শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত বাবা খুব টেনশন করবে। হয়তো টেনশন করতে করতে অসুস্থ হয়ে পড়বে। এই কথা মনে হতেই মারুফ লাইন কেটে দিলো। সম্ভবতো বাবার মোবাইলে মিস কলের মতো হয়েছে। একটু পড়েই তার মোবাইল বেজে উঠল। দেখে তাঁর বাবা ফোন ব্যাক করেছে। মারুফ ফোন রিসিভ করলো। রিসিভ করে কুশলাদি জিঙ্গেস করলো। মারুফের বাবা সম্ভবত ঘুমিয়ে পড়েছিল। মারুফের মিস কল পেয়ে ঘুম ভেঙ্গেছে। মারুফ বলেই ফেললো। বাবা আমি খুব বিপদে পড়েছি। আমার জন্য দোয়া কোরো। ওপাস থেকে মারুফের বাবার উদ্বিগ্ন গলা শোনা গেল। কি হয়েছে বাবা, কি হয়েছে। তার বাবা কথা শেষ করতে না করতেই লো ব্যাটারির সিগনাল দিয়ে মারুফের মোবাইল ফোন একদম বন্ধ হয়ে গেল। এখন বাবার উদ্বিগ্ন মুখ মনে করে মারুফের খুব খারাপ লাগছে। চোখ ভিজে উঠল মারুফের।
-৩-
আবারও একবার ভালো করে চারপাশে তাকালো মারুফ। কুচকুচে কালো অন্ধকার। তবে ক্ষয়ে যাওয়া চাঁদের এক চিলতে আলো কুয়াশা ভেদ করে এসে পড়েছে জঙ্গলের মাথায়। সে আলোতে শুধু অজশ্র গজারী গাছের মাথা দেখা যায়। মারুফ ভুত-প্রেত বিশ্বাস করে না। তবু কুঁচ-কুঁচে কালো কুয়াশাচ্ছন্ন অন্ধকারে নিজের গা ছমছম কর উঠছে। মনে হচ্ছে এই বুঝি গজারী বন থেকে কিছু একটা বেড়িয়ে এসে তাকে আক্রমন করবে। তার আর বেঁচে ফেরা হবে না। বাবা-মা, ছোট বোন ও ভাইটির সাথে আর দেখা হবে না । যে গ্রাম্য মেয়েটির সাথে তাঁর বিয়ের কথা চলছে, তাও আর এই জীবনে হয়ে উঠবে না।
এক চিলতে ঠান্ডা বাতাস তাকে অতিক্রম করে জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে গেল। সেই বাতাসে জঙ্গল যেন একটু নড়ে-চড়ে উঠল। পাতা ঝড়ার শব্দ পাওয়া গেল। সে শব্দে ভয় যেন আরও বেশি আকড়ে ধরলো মারুফকে। গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে আছে। এক গ্লাস পানি খেতে পাড়লে খুব ভালো লাগতো। কিন্তু এই জঙ্গলের মধ্যে কে তাকে পানি দেবে।
মারুফ আবার মটর সাইকেল ঠেলতে শুরু করলো। কিছুদূর যাওয়ার পর আর ঠেলতে পাড়লো না। এতো শক্তি খরচ হয়েছে যে, মনে হচ্ছে যেন দম বেড়িয়ে যাবে। কি মনে করে মারুফ আবার মটর সাইকেলে বসে কিক দিয়ে মটর সাইকেল স্ট্রাট দেওয়ার চেষ্টা করলো। পাঁচ-ছয় কিক দেওয়ার পড়েই হঠাৎ করে মটর সাইকেল স্ট্রাট নিয়ে নিলো। মারুফ খুব আশ্চার্য হলো।
মারুফের মটর সাইকেলে এবার চলতে শুরু করেছে। কুয়াশার কারনে বেশি দূর দেখা যায় না। চল্লিশের মতো স্পিডে চালাচ্ছে মারুফ। কিলোমিটার দুই এসে পড়েছে। এখন তাকে একটু ডানে টার্ণ নিতে হবে। ডানে টার্ণ নেওয়ার রাস্তাটুকু বেশ সরু। বলা যায় রাস্তা ঘেষেই জঙ্গলের শুরু হয়েছে। যার কারনে ডানের রাস্তা পরিস্কার দেখা যায় না। দিনের বেলাতেও এখানে প্রায়ই অ্যাকসিডেন্ট হয়। মারুফ মটর সাইকেলের স্পিড একটু কমালো এবং টার্ণ নেওয়ার সাথে-সাথে মোটা মতো একটা দড়ি তার গলায় আঘাত করলো।
রাস্তার দুই পাশ থেকে দুইজন মানুষ হঠাৎ করে শক্ত দড়ি টানটান করে ধরার কারনেই মারুফ কিছু বুঝে ওঠার আগেই দড়িটি তার গলায় এসে আঘাত করেছে। সে ছিটকে পড়লো। মটর সাইকেলটি গো-গো শব্দ করতে করতে রাস্তার পাশের একটি গজাড়ি গাছে ধাক্কা লেগে থেমে গেল। মারুফ দড়ির থাক্কায় মটর সাইকেল থেকে উঁড়ে এসে পিচ ঢালাই রাস্তার উপড় পড়ল। শরীরের পেছনের অংশ এবং মাথায় বেশ আঘাত পেলো। মারুফ প্রচন্ড ব্যাথায় ককিয়ে উঠল। শক্ত দড়িটি সরাসরি গলায় আঘাত করায় গলাতেও প্রচন্ড ব্যাথা পেয়েছে। দম নিতে কষ্ট হচ্ছে। মনে হচ্ছে আর দম নিতে পারবে না। প্রচন্ড কাঁশি হচ্ছে। একটু পড়ে সে দম নিতে সক্ষম হলো।
একটু ধাতস্থ হলে চোখ মিলে তাকালো। তাকিয়ে দেখলো চারজন লোক তাঁর দিকে এগিয়ে আসছে। সবাইকে ছায়ার মতো মনে হচ্ছে। ক্ষয়ে যাওয়া চাদের আলোয় আবছা দেখতে পেল। চারজনের মুখই কালো কাপড়ে বাঁধা। কাউকে চেনা যাচ্ছে না। সবার হাতে লম্বা মতো লাঠি ধরা। লাঠি উচিয়ে চারজন তাঁর দিকে তেড়ে আসছে। মারুফ উঠার চেষ্টা করলো। কিন্তু পাড়লো না। লোকগুলো কাছে এসে কোন কথা না বলে মারুফকে এলো পাথারি মারতে শুরু করলো। মারুফ হাত দিয়ে ঠেকাতে চেষ্টা করলো। অনেক অনুরোধ করলো তাকে না মারার জন্য। তারা অনুরোধ শুনলো না। মারুফকে মারতেই থাকলো। মারুফ বুঝতে পাড়লো সে ডুবে যাচ্ছে গভীর অন্ধকারে। সে কী তাহলে না ফেরার দেশে চলে যাচ্ছে!
মারুফ কতক্ষন এভাবে অচেতন হয়ে পড়ে ছিল মারুফের মনে নেই। যখন জ্ঞান ফিরলো তখন মনে হলো মাথা ছাড়া শরীরে আর কোন অনুভূতি নেই। অনেক চেষ্টা করেও হাত-পা নাড়াতে পাড়ল না। চোখ মেলে তাকানোর চেষ্টা করলো। অনেক চেষ্টা করে একটা চোখ খুলতে পারলো। মনে হচ্ছে সে একটা ভ্যানের উপড় শুয়ে আছে। কেউ একজন ভ্যানে করে তাকে কোথাও নিয়ে যাচ্ছে। ভ্যানের সাথে পেছন পেছন একটি লোক তাকে ধরে হেটে-হেটে আসছে। দিনের আলো এখনও ফোটেনি। হালকা আলো এবং কুয়াশার মধ্যে লোকটিকে কেন যেন মনে হচ্ছে অনেক চেনা, অনেক আপনজন। মারুফ মনে করতে পাড়লো না, লোকটি কে। নাকি ভুল দেখছে। এসব ভাবতে-ভাবতেই আবারও মারুফ ঞ্জান হারালো। তারপর আর কিছু মনে নেই।
এরপর আবার যখন মারুফের জ্ঞান ফিরলো তখন সে হসপিটাল বেডে শুয়ে আছে। তাঁর হাত পা, মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন জায়গা ব্যান্ডেজ এ বাঁধা। একটি চোখও ব্যান্ডেজ দিয়ে বন্ধ করা। রুমটিতে লাইট জ্বলছে। যার কারনে মারুফ বুঝতে পারলো না, এখন দিন নাকি রাত। মারুফ বোঝার চেষ্টা করলো। ঘটনা কি, সে এখানে কেন। প্রথমেই কিছু মনে করতে পারলো না। একটু পর আস্তে-আস্তে সব কিছু মনে পড়ল। মনে পড়ল জঙ্গল রাস্তায় ঘটে যাওয়া সেই বিভৎস ঘটনার কথা।
কে একজন দরজা ঠেলে রুমে ঢুকল। তারপর আস্তে-আস্তে হেঁটে এসে মারুফের মাথা ঘেষে দাড়াল। মাথা উচিয়ে মারুফ দেখতে চেষ্টা করলো লোকটি কে। কিন্তু মাথা নাড়াতে পারলো না। মাথার কাছে এসে লোকটি তাঁর কপালে হাত রাখলো। মারুফ বুঝতে পাড়ল তাঁর বাবা এসেছে। মারুফ তাঁর বাবার দিকে অপলক তাকিয়ে আছে। মারুফের খোলা চোখের দিকে তাকিয়ে আছে মারুফের বাবাও। কেউ কোন কথা বলছে না। অপলক তাকিয়ে আছে। মারুফের দু’চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে অশ্রুধারা। মারুফের বাবা সেই অশ্রুধারা থামানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। সন্তানের বেঁচে ফেরার আনন্দাশ্রু এবার বাবার চোখেও সংক্রমিত হলো…।
--০--

সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৯
৯টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×