শিরোনামটা একটু কেমন যেন মাথা খারাপ মাথা খারাপ টাইপের। কিন্তু বাশঁ খেলে আর আর কেউ বাশঁ দিলে এরকম না লিখে কোন উপায় নেই। তবে জনসারথ্যে জানানো প্রয়োজন যে আপনি যাকেই বাশঁ দেন না কেন বাশেঁর আরেকটা মাথা যে বাইরে থাকে সেটা আপনার :::::::: দিয়ে ঢুকতে পারে। কথা গুলো বলছি নিজের জীবন থেকে।
মানুষ হিসেবে আমরা একে অপরের পাশে দাড়াবো। যত টুকু পারি সাহায্য করার চেষ্টা করবো এটা আমরা সবাই জানি এবং হয়তো সবাই মানি ও। আর সেই গুলো যদি কাছের হয় তবে তাদের জন্য চেষ্টা আরেকটু বেশী থাকে। আমরাও আমার সেই আত্বীয়টাকে নিজের সামর্থ্যের মধ্যে যতটুকু পেরেছি করেছি। বিনিময়ে কখনো কিছু চাইনি আর সেকারনেই হয়তো কখনো তার কাছ থেকে কিছু পাইও নি( যদিও উনি আমাদের বাশঁ দেবার জন্য চেষ্টা করেছেন)। তার সব কথা লিখতে গেলে বিরাট এক ব্লগ হয়ে যাবে সেটা না করে উনি আমার সাথে কি করতে চেয়েছেন আর কি হয়েছে সেটা বলি। আমি যখন এখানে আসি তার বাসতে ভাড়া থাকতাম। উপর তলায় আমরা দু ভাই আর নিজের উনার পরিবার। একবার ভাইয়া মাস খানের জন্য ইতালীর বাইরে গেলে আমি আমার ইয়ে মানে ইয়ের( যে কিনা হবু বধু) অনেক অনেক কথা বলি ফোন। কখনো প্রেম ভালবাসা বা কখনো ঝগড়া ঝাটি সব করতাম। যখনই বাসায় থাকতাম ওর সাথে কথা বলতাম। ওর আবার মাথা গরম রাগলে অনেক কথাই বলে ফেলে একটু পরে আবার মাফটাফ চেয়ে অস্থির। আমার ফোনের আরেকটা লাইন নিচে ছিল যেটা দিয়ে আমার পরম আত্বীয় আমাদের অনেক কথাই শুনেছে গোপনে। ( যেটা আমি পরে জানতে পারি তার মেয়ে কাছ থেকে)
এর কয়েক মাস পরে আমাদের মালিক একটা বাসা দেয় আমাদের । যেকারনে আমরা তার বাসা ছেড়ে চলে আসি। সেটা তাকে অনেক কষ্ট দেয়। কারণ আমরা যে ভাড়াটা দিতাম সেটা তার বাড়ি ভাড়ার প্রায় ৭০ ভাগ এখন তাকে একা পুরোটা ব হন করতে হবে সেকারনে তারা খুব মাইন্ড করে। আর যেহেতু আমি আসার ১ বছরের মধ্যে বাসা বদল তাই তারা ভেবে নেয়। আমার ইচ্ছাতেই ঘটেছে এসব। দিন যায় ভালোই আমরা বাসা বদল করলেও তাদের সব রকম কাজে পাশে থেকেছি। যে এলাকাতে প্রাইভেট কার ছাড়া চলা যায় না তারপরেও আমরা তাদের কারের সব চাহিদা পূরণ করেছি। গত আগস্টে তারা দেশে যায়। এবং আমাকে বাশঁ দেবার সকল আয়োজন করে আসে। আমার মা এবং বড় বোনের কাছে আলাদা ভাবে আমার আর সাথীর সম্পর্কে নানা মিথ্যে কথা বলে আসে। আর সাথীর সম্পর্কে বলে যে ও মেয়ে হিসেবে অনেক খারাপ। আমার ভাইয়ার নামে অনেক বাজে কথা বলেছে। আমার পরিবারে কাউকে দেখতে পারেনা ঐ মেয়ে। যদি ওকে বিয়ে করি তাহলে আমাকে সবার কাছ থেকে আলাদা করে ফেলবে। ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া হবে। এই ধরনের কথা শুনার পরেও আমার মা কোন কিছু বলে নি আমাকে কারণ সে তার ছেলে দের ভালো করে চিনে এবং তার বিশ্বাস আছে আমাদের উপর। কিন্তু আমার বোন সেটা আর বুঝতে চায়নি যে তারা কি জন্য এধরনের কথা বলে এলো। সে আমাকে নানা ভাবে মেন্টালি উইক করতে থাকে( আমার পরম আত্বীয়দের কাছ থেকে শুনা কথা গুলা আমাকে জানতে দেয়নি)। কিন্তু তেমন ভালো সারা না পেয়ে সে আমার ইয়ের দিকে হাত বাড়ায় ওকে নানা রকম বাজে কথা বলে । যেমন বাংলা ছিনেমার বোনেরা বলে থাকে আরকি। সে কথা গুলো আমার ইয়ে স হ্য করতে পারেনি । সে রাগের মাথায় আমাকে অনেক গুলো শর্ত দেয়, যদি আমি ওকে চাই তাহলে শর্ত গুলা মানতে হবে আর নয়তো আলবিদা। আমার পক্ষে ওর সেই শর্ত মানা সম্ভব ছিল না। ফল সরুপ আমরা বিছিন্ন হই।
এই ঘটনার মাস খানেক পরে ভাইয়া আমার পরম আত্বীয়দের জানায় যে সে সামনের বছর বিয়ে করবে তো তার পক্ষে তখন আপনাদের এতো সময় দেয়া সম্ভব হবে না। তাই এখন আপনারা গাড়ীর লাইন্সেসের জন্য চেষ্টা করেন। পরে দরকারে আমার গাড়ী নিয়ে কাজ করবেন। গাড়ী কিনতে হবে না। কিন্তু আমার ভাইয়ার এতো ভালো মানুষতা তারা ভালো ভাবে নিতে পারেনি। আমাদের ঐ আত্বীয় আমাদেরে সাথে নানা রকম খারাপ ব্যব হার করতে থাকে। একদিন ভাইয়া রাগের মাথায় তাকে কিছু কথা শুনিয়ে দেয়। ব্যস আর যায় কোথায়। সেই রাতেই ঢাকাতে ফোন করে আমার বোনের কাছে ভাইয়ার নামে নানা মিথ্যে রটনা বলতে শুরু করে। কিন্তু এমন সব কথা বলে যে গুলা কেউ কোন দিন বিশ্বাস করতএ পারবে না। এরপরই আমার বোন আর ভাইয়া বুঝতে পারে যে আসলে সে কি চায়। আমাদের দু ভাইয়ের মাঝে বিরোধ লাগাতে। কারণ সে আমার বোনের কাছে এমন সব কথা বলেছে যা কিনা আমার ইয়ে ভাইয়ার সম্পর্কে বলেছে সে কথা আমার ভাইয়ার কানে আসলে অনেক বড় কিছু হয়ে যেত।
এরপর আমার আমার পরিবারের সবার সেই আত্বীয় সম্পর্কে ধারনা পরিস্কার হয়। আর তাদের নজরে পড়ে আমি আর আমি নেই ( ভালবাসা বিনে কি আর বাচা যায়) তাদের ভুল ভাঙ্গে আমার আর আমার ইয়ের সম্পর্কে। কিন্তু আমাকে সেটা জানায় না। মা বেশ কয়েক বলতে গিয়েও বলতে পারেনি। জানুয়ারী মাসের শুরুতে ছোট বোনের কাছ থেকে জানতে পারি । আসল ঘটনা আর সে ঘটনার পেছনের ঘটনা আর আমার পাশে বসে থাকা আমার খালা খালু নামক বাশঁ দেনে ওয়ালা আমার সেই পরম আত্বীয়দের। আমাদের বাশঁ দিতে এখন নিজেরাই বাশঁ গুনে। গাড়ী কিনতে হয়েছে। আর ইতালীতে গাড়ী পালা মানে হাতী পালা। যদিও এর পেছনে আমাদের কোন হাত নেই তবে হয়তো আরও অনেক বাশঁ আছে তাদের কপালে।
ভালোই হয়েছে সবাই খুব ভালো ভাবে জেনেছে আমার আর ইয়ে কথা। এখন সামনের ডিসেম্বরে আসছি ভাইয়াকে বিয়ে করাতে ...দেখি নিজের কি করা যায়। ধন্যবাদ খালা খালু আমাকে বাশঁ দেবার জন্য। আর এখন নিজেদেরটা সামলান।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১০ রাত ১২:৪৪