অশ্লীলতার –শ্লীলতার বির্তকে পড়ে আদালত কর্তৃক এই উপন্যাস নিষিদ্ধের তালিকায় পড়ে । বহু বছর মামলা চলল। বুদ্ধদেব বসু এবং নরেশ গুহ, সমরেশ বসুর পক্ষে কোর্টে দাঁড়িয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত অশ্লীলতার দায় থেকে মুক্তি পায় এই উপন্যাস।
শহরের আধুনিক যান্ত্রিক জীবন যাপনের যৌথপরিবার কিভাবে ভাঙ্গন ধরেছে তা খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছে লেখক। উপন্যাসের নায়ক ঐ সময়ের একজন রকবাজ বা সোজা কথায় যাকে বলে মাস্তান টাইপ ছেলে। উপন্যাসের সমাপ্তি ট্র্যাজিক। নায়ক একটি র্দূঘটনায় মারা যায়। পাঠকের মনে তখন গুন্ডা সুখেনের জন্য সহানুভুতিই জন্মে। মন্দ চরিত্রের সুখেনের ভালো দিকটার কথা মনে হয়। যেভাবে সেই ঘটনাচক্রের শিকার হলো সে জন্য দুঃখবোধ হয়। একজন মাস্তান কিভাবে নায়িকা শিখার সংস্পর্শে এসে মন্দ মানুষ থেকে ভালো মানুষ হওয়ার ইচ্ছা পোষন করেছে । আমি মনে করি , এইখানে এই প্রজাপ্রতি উপন্যাসের সার্থকতা ।
এক নজরে…
বইয়ের নামঃ প্রজাপ্রতি
লেখকের নামঃ সমরেশ বসু (Samaresh Basu) [দুটো ছদ্মনাম ছিল তাঁর। কালকূট এবং ভ্রমর। ]
প্রকাশকঃ আনন্দ পাবলিশার্স (ভারত)
প্রথশ প্রকাশঃ জুলাই ১৯৬৭
শেষ প্রকাশঃ অক্টোবর ২০১৫
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ১৮৮
মূল্যঃ ৩৬০ টাকা
ভাষাঃ বাংলা
ISBN : 9788170664697
ক্যাটাগরি : সমকালীন-উপন্যাস
বইয়ের রেটিং (ব্যক্তিগত)ঃ ৫ এ ৪
বই নিয়ে অন্য রিভিউ সমূহঃ
মহাজীবন এক্সপ্রেস - নাদিম মজিদ
যদ্যপি আমার গুরু - আহমদ ছফা
সাম্প্রতিক বিবেচনা: বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস - আহমদ ছফা
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১১