১।
জনৈক ব্যক্তি সরকারী চাকুরীতে আবেদন করার জন্য নিউজপেপারে প্রকাশিত নিয়মগুলি পড়ার পর জানতে পারলেন যে, তার একটা চারিত্রিক সার্টিফিকেট দরকার। বাসা থেকে একটু দূরেই একজন শীর্ষস্থানীয় সরকারী আমলা থাকেন।
পরেরদিন বিকালবেলা উনি উনার সব কাগজপত্র নিয়ে ঐ সরকারী আমলার বাসায় গেলেন চারিত্রিক সার্টিফিকেট আনার জন্য।
বেশ কিছুক্ষন কলিং বেল দেবার পর বাসার দাড়োয়ান দরজা খুললে উনি জানতে চাইলেন-
জনৈক: ডিসি সাহেব বাসায় আছেন?
দাড়োয়ান: কেন?
জনৈক : আমার একটা চারিত্রিক সার্টিফিকেট দরকার।
দাড়োয়ান: তিন মাস পরে আসেন, উনি সম্প্রতি একটা নারীঘটিত মামলায় ছয় মাসের জেলে আছেন। তিনমাস পরে উনি ছাড়া পাবেন। তখন আসলেই আপনাকে চারিত্রিক সার্টিফিকেট যোগাড় করে দেয়া যাবে।
২।
একদিন এক কৃষকের বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলেন এক পুলিশের গোয়েন্দা। সহজ-সরল কৃষককে ধমক দিয়ে-
গোয়েন্দা: সরে দাঁড়াও, আজ তোমার বাড়িতে তল্লাশি করব!
কৃষক: তল্লাশি করতে চান, করুন স্যার। কিন্তু দয়া করে ভুলেও বাড়ির উত্তর দিকের কোনাটাতে যাবেন না।
গোয়েন্দা কৃষকের নাকের ডগায় পরিচয়পত্রটা ঝুলিয়ে-
গোয়েন্দা: এটা চেন? এখানে আমার নাম লেখা আছে! এটা দেখলে যে কেউ ভয়ে কুঁকড়ে যায়! আর তুমি কিনা আমার কাজে বাধা দিতে চাও?
ধমক খেয়ে আর কিছু বললেন না কৃষক।
কিছুক্ষণ পরই দেখা গেল উত্তর দিকের মাঠ থেকে গোয়েন্দা চিৎকার করে দৌড়াচ্ছেন-
গোয়েন্দা: বাঁচাও! আমাকে বাঁচাও।
কৃষক ছুটে গিয়ে দেখলেন একটা জবরদস্ত ষাঁড় গোয়েন্দাকে তাড়া করছে।
দূর থেকে কৃষক বললেন, ‘স্যার, ওকে আপনার পরিচয়পত্রটা দেখান!’
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ, আগস্ট ২০১৯