
আমাকে অবহেলা করো?
দিনের পর দিন, অকারণেই?
সবকিছুরই শোধ তুলবো আমি।
শুধু একবার বিয়েটা হয়ে যাক-
তোমার হাত আমার হাতের সাথে বেঁধে নেবো
পাগুলি জড়িয়ে নেবো আমার পায়ের সাথে
চড়কির মতো ঘুরে বেড়াবো তোমার সাথে
দিক থেকে বেদিকে, যতদূরেই যাও!
শুধু একবার বিয়েটা হয়ে যাক-
তোমাকে নিয়ে রিক্সায় করে ঘুরে বেড়াবো সারাদেশ
টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া।
তোমাকে খোঁপায় বেঁধে নিয়ে
বর্ষার প্রতিটা আষাঢ়ী বৃষ্টিতেই ভিজবো।
শুধু একবার বিয়েটা হয়ে যাক-
সব দেনাপাওনাই মিটিয়ে দেবো আমি
তোমার বুকে দুমাদুম কিল দিয়ে,
গুনে গুনে আমি দেবো না, তবে
বেশ বাড়তিই হবে কম হবে না বৈকি।
শুধু একবার বিয়েটা হয়ে যাক-
তোমাকে বানাবো পোষ মানানো
উড়ন্ত দুষ্টু প্রজাপতি, কিংবা
হৃদয়ে বয়ে যাওয়া উচ্ছ্বল প্রণয়ের নদী।
শুধু একবার বিয়েটা হয়ে যাক-
তোমার মিষ্টি আলোতে হবো আমি
পাটে বসা কনে, হৃদয়মোহিনী,
তোমার দুরন্ত মনে আমি হবো
উচ্ছলা, চপলা, চঞ্চলা, মায়াবীনি।
রামধনু থেকে রঙ নিয়ে একপোঁচে সহসাই
তোমার সাদাকালো জীবনটা করে দেবো সাতরঙা!
প্রেক্ষাপটঃ
আনকোড়া একটা উপন্যাসের জন্য কিছু কবিতা লিখতে নিতান্তই বাধ্য হচ্ছি। কবিতা সবসময়ই মাথার এন্টিনার উপর দিয়ে যায়। অথচ এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্রই একজন নবীনা কবিতা লেখিকা। যার ফলে কিছু কবিতা না লিখলেই নয়! সমস্যা হলো কবিতাগুলি হতে হবে কিছুটা এ্যামচারিশ। সদ্য প্রেমে পড়া নবীনা লেখিকা তার প্রেমিক’কে পটানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু প্রেমিক মহাশয় পাত্তাই দিচ্ছে না।অগত্যা মনের যত ক্ষোভ কবিতার ছন্দ / অছন্দের ঘুর্ণাবর্তেই…
এই উপন্যাসের বেশ কিছু লেখা ধাপে ধাপে এখানে দেয়া হবে সম্মানিত পাঠকদের মূল্যায়নের জন্য। ভালো না লাগলে অবশ্যই জানিয়ে দেবার অনুরোধ রেখে গেলাম। কাটা/ঘষা/মাজা সব কিছুই চলবে পাঠকের অনুরোধে!
@ জোছনাময়ীঃ মহিউদ্দিন মোহাম্মাদ যুনাইদ, ২০২০
সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভকামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, মে ২০২০
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩১

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



