somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইসলামের বিরুদ্ধে মুনাফিকী আর কত দিন করে যাবেন?

২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


*** নাস্তিক এবং অমুসলিমদের এই পোস্ট এড়িয়ে যাবার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। ***


আপনি কী নিজেকে মুসলিম মনে করেন?
আপনার ধর্ম কি ইসলাম?


আপনি কি জানেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাত্র কিছুদিন আগে, চলতি মাসের প্রারম্ভেই সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় নূন্যতম শিষ্টাচার না মেনে এই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম এবং প্রধান ধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে বেশ কিছু চরমতম ঘৃণাবাক্য উচ্চারণ করেছেন। তিনি ‘ইসলাম’কে সমগ্র পৃথিবী’র জন্য ‘সংকট’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

কেউ যদি মনে করেন এটা হুট করে হয়েছে, সেটা ভুল ধারণা। ফ্রান্সের ইসলাম বিরোধী এইসব আচরণ নতুন কিছু নয়, সেই ক্রুসেডের সময় থেকেই এরা ইসলামের নামে প্রোপাগান্ডা এবং ধংসাত্মক আচরণ করে যাচ্ছে। আরো কয়েকবছর আগে ২০১৫ সালের দিকে এই দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইসলামকে পরিমার্জনের আলাপ তুলে ‘মৌলবাদী ইসলাম’ নাম দিয়ে মূলত মূলধারার ইসলামের বিরুদ্ধেই প্রকাশ্য ‘যুদ্ধ ঘোষণা’র কথা বলেছিল। সুতরাং এখন প্রেসিডেন্ট ইম্মানুয়েল মাক্রোন যা বলেছেন সেটা ধারাবাহিক ঘোষণা। প্রেসিডেন্ট ইম্মানুয়েল মাক্রোন সারা ফ্রান্স জুড়ে হজরত মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম’কে নিয়ে কিছু ব্যঙ্গচিত্র প্রর্দশনের রাষ্ট্রীয়ভাবে ব্যবস্থা করেছেন। বাক স্বাধীনতার অর্থ এটা নয় যে, সেটা অন্য মানুষজনের একান্ত পবিত্র ধর্ম বিশ্বাস’কে আঘাত করবে। ভব্যতা এবং বাক স্বাধীনতার নামে এই পাশ্চাত্য দেশগুলি যে শুধুই ফাঁকা বুলি আওড়ায় সেটা এবার প্রকাশ্যভাবেই প্রমাণিত হলো।

কিন্তু এইবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট যা করেছে সেটা আগের সব কিছুকে ছাপিয়ে গেছে। প্রেসিডেন্ট ইম্মানুয়েল মাক্রোন সরাসরিভাবে হজরত মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম’কে আক্রমন করেছে। মুসলিম হিসেবে সারা বিশ্বের প্রায় সব জায়গা থেকেই এই সুতীব্র প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। প্রতিবাদ উঠবে এটাই স্বাভাবিক। প্রতিটা মুসলিমের জন্য এই প্রতিবাদ করা অত্যাবশ্যকীয়। যদি তার মধ্যে বিন্দুমাত্রও ইসলামের কিছু অবশিষ্ট থাকে!

কিছু কিছু মুসলিম নামধারী কপট মুনাফিকদের ঠিক এই সময়ে আসল মুখোশধারী চেহারা এবার প্রকাশ পেয়েছে। এই জঘন্য নিন্দনীয় আচরণের প্রতিবাদ তো এরাই করছেই না বরং উল্টো মানুষজন’কে বুঝানো চেষ্টা করছে প্রতিবাদ না করার। এরা মুনাফিক। পবিত্র কুরআন শরীফে এবং সহী হাদিস গ্রন্থগুলিতে এইসব কপট ভণ্ড মুনাফিকদের ব্যাপারেই আমাদের সদা সর্তক থাকার জন্য বার বার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এইসব মুনাফিকরা মহানবীর আমল থেকেই ছিল এবং কিয়ামতের আগ পর্যন্ত থাকবে। এদের পূর্ব পুরুষরাই সাহাবীদের বিভ্রান্ত করেছে, তাবঈ, তাবঈ-তাবেঈন বিভ্রান্ত করেছে এবং এরা এখনও তাই করছে। এটাই এদের স্বভাব।
ইসলামের বিরুদ্ধে মুনাফিকী করা এদের রক্ত অস্থিমজ্জার সাথে মিশে আছে।
এরাই মুনাফিকদের সর্দার আব্দুল্লাহ ইবন উবাইয়ের বংশধারা………………………

এই লেখাটা পড়ার সময় অনেকেই হয়তো বলে উঠবেন, আমরা তো মুনাফিক না।
কেন আমাদের মুনাফিক বলছেন?

উত্তর খুব সোজা, কারণ নামে মুসলমান কিন্তু হৃদয়ে ঈমান নেই। আপনার পরিচয় কি তাহলে?

যেই হৃদয়ে রাসূলে করীম সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লামের জন্য ভক্তি আসে না, তার অপমানে কান্না আসে না, ঘৃণা জাগ্রত হয় না, তাতে প্রকৃতপক্ষে ঈমান থাকার প্রশ্নই উঠে না। মূমীনের জীবনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি মহব্বতের গুরুত্ব অপরিসীম। মহব্বতে রাসূল তো ঈমানের রূহ, মূমীনের জীবনের অন্যতম লক্ষ্য। তাঁর জন্য ঈশক এবং মোহব্বত ছাড়া না ঈমানের পূর্ণতা আসবে না, ঈমানের প্রকৃত স্বাদ অনুভূত হবে না।

শুধু তাঁকে ভালোবাসাই যথেষ্ট নয়, বরং পার্থিব জীবনের সমস্ত কিছুর উপর এই ভালোবাসাকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং তাঁর প্রতি আনুগত্যের মাধ্যমে সেই ভালোবাসার প্রকাশ ঘটাতে হবে। ঈমানের স্বাদ সেই পাবে, যার নিকট আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ভালোবাসা সমস্ত কিছুর ঊর্ধ্বে থাকে।

হযরত আনাস রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিতঃ
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “তিনটি গুণ যার মধ্যে আছে, সে ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করতে পারে। ১) আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তার নিকট অন্য সবকিছুর চাইতেও অধিকতর প্রিয় হওয়া…………..” (সুত্রঃ সহী বুখারী শরীফ, হাদিস নাম্বার ১৬/১ম খন্ড, ২১, ৬০৪১, ৬৯৪১, সহী মুসলিম শরীফ, হাদিস নাম্বার ১৫/১ম খন্ড, আহমদ ইবন হাম্বাল ১২০০২)


হযরত আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিতঃ
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “সেই আল্লাহর শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ, তোমাদের মধ্যে সে প্রকৃত মূমীন হতে পারবে না, যতক্ষণ না আমি তার নিকট তার পিতা এবং সন্তানাদির চেয়েও অধিক ভালোবাসার পাত্র হই”। (সুত্রঃ সহী বুখারী শরীফ, হাদিস নাম্বার ১৪/১ম খন্ড)


এটা শুধু নীতিবাক্যই নয়। সকলের উপর, সবকিছুর উপর প্রাধান্য দিতে হবে আল্লাহ’কে, আল্লাহর রাসূলকে, এমনকি নিজের প্রাণের উপরও। শুনুন হযরত উমর ইবন খাত্তাব রাদিআল্লাহু আনহুর ঘটনা। আব্দুল্লাহ ইবনে হিশাম রাদিআল্লাহু আনহু থেকে বর্নিতঃ
“একদিন আমরা নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলাম। নবীজী উমর রাদিআল্লাহু আনহুর হাত ধরা ছিলেন। উমর রাদিআল্লাহু আনহু তাকে বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার জান ছাড়া আপনি আমার কাছে সবকিছু থেকে প্রিয়। তখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না, যার হাতে আমার প্রাণ সেই সত্ত্বার কসম! তোমার কাছে আমি যেন তোমার প্রাণের চেয়েও প্রিয় হই। তখন উমর রাদিআল্লাহু আনহু তাকে বললেনঃ আল্লাহর কসম, এখন থেকে আপনি আমার কাছে আমার প্রাণের চেয়েও বেশি প্রিয়। তখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ হাঁ উমর! এখন তুমি সত্যিকারের ঈমানদার হলে। (সূত্রঃ সহীহ বুখারী, ৬ষ্ঠ খন্ড হাদীস ৬৬৩২)


যেখানে প্রত্যেক মুসলিমের নিজের জানের চেয়েও নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বেশি প্রিয় হবার কথা, সেখানে এই মুনাফিকরা নবীজী অপমানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে নিষেধ করে।
এই নোংরা কটুক্তি এবং ব্যঙ্গচিত্রগুলির কথা শুনে আমাদের হৃদয় যেখানে ভেঙ্গেচূড়ে চুরমার হয়ে যায়, সেখানে এইসব ভণ্ড মুনাফিকরা চুপ করে থেকে আত্মতৃপ্তি পায়।

এই পৃথিবীর বুকে পদচারণ করে যাওয়া সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহা মানব হযরত মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম’কে নিয়ে কাফিররা ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ ও কটুক্তি করেছে। কাফিরদের পক্ষ থেকে এরূপ ভয়াবহ অপরাধ এটাই প্রথম নয়, বরং এটা তাদের পূর্বতন বয়ে আসা স্বভাব, ইসলামের সূচনা লগ্ন থেকেই চলে আসা একটি নোংরা সংক্রামিত রোগ।

কিন্তু এই রোগ কি ইসলামের লেবাসধারী এই ভণ্ডদের মাঝে আসবে?
উত্তর হলোঃ আসবে, কারণ এইসব লেবাসধারীরা আদতে মুনাফিক এবং মুনাফিকদের চরিত্র সবসময়, যুগ যুগ ধরেই একই রকম।

এইসব মুনাফিকরা সোশাল মিডিয়ার বিভিন্ন লেখাতে এই ঘটনাগুলি এড়িয়ে যেতে বলে, ধৈর্য্য ধারণের কথা বলে, মাফ করে দিতে বলে, যার প্রতিটাই ইসলামের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক। কারণ, রাসূলে করীম সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লামের প্রতি কোন অবমাননার ক্ষেত্রে দু’ধরনের অধিকার লঙ্ঘন করা হয়ঃ
১) আল্লাহর অধিকারঃ আল্লাহর অধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টি সুস্পষ্ট; কারণ এক্ষেত্রে তাঁর আয়াত, তাঁর কিতাব এবং তাঁর নাযিলকৃত ধর্মের উপর নিন্দা আরোপ করা হচ্ছে।
২) বান্দার অধিকারঃ বান্দার অধিকারের বিষয়টিও সুস্পষ্ট; কারণ রাসূল সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম’কে অপমান করা, তাঁর উপর মিথ্যা আরোপ করার শামিল। এক্ষেত্রে আল্লাহর হক্ব এবং বান্দার হক্ব উভয়ই জড়িত থাকে, সেক্ষেত্রে অপরাধী ব্যক্তি তওবা করলেই বান্দার হক্ব লঙ্ঘনের শাস্তি মাফ হয়ে যায় না।

এদের অনেকেই আবার বলে বেড়াচ্ছেন, “আমরা কি তাকে ক্ষমা করে দিতে পারি না? কারণ রাসূল সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবদ্দশায় তো অনেককেই ক্ষমা করে দিয়েছিলেন”।
এই কথার বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট জবাব হলোঃ রাসূল সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম তাঁর উদ্দেশ্যে কটূক্তিকারীদের কাউকে ক্ষমা করে দিয়েছেন আবার করেননি। কিন্তু এখন তাঁর মৃত্যুর পর, তাঁর ক্ষমা করার বিষয়টি আর তার কাছ থেকে জেনে নেয়া সম্ভব নয়। [সূত্রঃ আল-সারিম আল-মাসলুল, ২/৪৩৮]

সেখানেই এই পিপীলিকার চেয়ে নগন্য মুনাফিকরা কিভাবে নতুন ফতোয়া আবিষ্কার করে? এইসব মুনাফিকরা ইচ্ছাকৃতভাবে ইসলাম সর্ম্পকে না জেনে, আন্দাজে জ্ঞান বিতরণ করে বেড়াচ্ছে। এদের উদ্দেশ্য একটাই, যুগ যুগ ধরে এদের পূর্ব পুরুষরা করে আসছে, ইসলামে ভিতর সন্দেহ সৃষ্টি করা, অনর্থক ঝামেলা লাগানো।

সাম্প্রতিক সময়ে কফির, মুনাফিক আর নাস্তিকের দল রাসূল সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম’কে নিয়ে কটূক্তি করার দুঃসাহস দেখাচ্ছে। কারণ তারা দেখতে পাচ্ছে, মুসলিমরা আজ ভাবলেশহীন এবং নিজেদের ধর্ম আর রাসূলের প্রতি যে মহব্বত থাকার কথা তা তারা হারিয়ে ফেলেছে। আজকে যদি মুসলিমরা এই জঘন্য পাপের জন্য শার’ঈ শাস্তি বাস্তবায়ন করতো, তাহলে কেউ আর সারা পৃথিবীতে এইরকম দুঃসাহস দেখানোর চেষ্টাও করতো না।
[শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়্যাহ রহিমাহুল্লাহ এই বিষয়ে অত্যন্ত মূল্যবান একটি বই লিখেছেন, যার নাম ‘আল-সারিম আল-মাসলুল ‘আলা শাতিম আর-রাসূল’, যাদের আর বেশি জানার ইচ্ছে তারা এই বইটা পড়তে পারেন]

যদি একজন মুসলিম কোন কাফিরকে রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম’কে ব্যঙ্গ করতে শোনে এবং চুপ থাকে এই ভয়ে যে ঐ লোক হয়তো আরও বেশি করে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করবে; তবে তার এই চিন্তাভাবনা ভুল। তাদের কথায় মোটেই পাত্তা দেয়া যাবে না, যারা বলে যে তাদেরকে অপমান করলে এবং তাদের কথার প্রতিবাদ করলে তাদের একগুয়েমী আড় বাড়বে, এটাও ভুল। একজন মুসলিমের অবশ্যই প্রতিরোধমূলক ঈর্ষাবোধ থাকতে হবে এবং আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টির জন্য এ বিষয়ে তাকে উত্তেজিত হতে হবে। যে কেউ রাসুলের সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম’কে অপমানিত হতে দেখবে এবং কোন ধরনের ক্রোধ বা হিংসা অনুভব করবে না, সে মুমিন হতে পারে না। আমরা আল্লাহ তা’আলার কাছে অপমান, কুফর ও শয়তানের হাত থেকে সুরক্ষা চাই। [সূত্রঃ শেইখ আবদ আর-রহমান আল-বাররাক, মাজাল্লাত আদ-দাওয়াহ, মহররম, ইস্যু নং ১৯৩৩]

রাসূল সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লাম’কে নিয়ে কটাক্ষ ও বিদ্রূপ করার মত জঘন্য অপরাধ সংগঠিত হওয়ার পর কোন মুসলিমের নিশ্চুপ থাকার কোনো সুযোগ নেই। এ ক্ষেত্রে একজন ঈমানদার বান্দা হিসেবে প্রত্যেকেই তার যোগ্যতা অনুযায়ী ভূমিকা রাখতে হবে। একজন মুসলিম কখনো এমন হতে পারে না যে, মহানবীর অবমাননা হওয়ার কথা জানার পরও নিশ্চুপ বসে থাকবে, কেননা এটা একটি মহা অন্যায় কাজ। আর ঈমানের লক্ষণ হলো অন্যায়ের প্রতিবাদ করা। মহান আল্লাহ আল কুরআনে ইরশাদ করছেনঃ “আর মূমীন পুরুষ ও মূমীনা নারীরা একে অপরের বন্ধু, তারা ভালো কাজের আদেশ দেয় আর অন্যায় কাজ থেকে নিষেধ করে।’ (সূত্রঃ সুরা আত-তাওবাহ, আয়াত : ৭১)

হযরত ইবনে মাসউদ রাদিআল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিতঃ “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আমার পূর্বে আল্লাহ যে কোন নবীকে যে কোন উম্মতের মাঝে পাঠিয়েছেন তাদের মধ্যে তাঁর (কিছু) সহযোগী ও সঙ্গী হত। তারা তাঁর সুন্নাতের উপর আমল করত এবং তাঁর আদেশের অনুসরণ করত। অতঃপর তাদের পরে এমন অপদার্থ লোক সৃষ্টি হয় যে, তারা যা বলে, তা করে না এবং তারা তা করে, যার আদেশ তাদেরকে দেওয়া হয় না। সুতরাং যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নিজ হাত দ্বারা সংগ্রাম করবে সে মু’মিন, যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নিজ জিভ দ্বারা সংগ্রাম করবে সে মু’মিন এবং যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে নিজ অন্তর দ্বারা জিহাদ করবে সে মু’মিন। আর এর পর সরিষার দানা পরিমাণও ঈমান নেই”। (সূত্রঃ হাদিস নাম্বার ১৫৯১, Click This Link)

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিতঃ “আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, ‘‘তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন গর্হিত কাজ দেখবে, সে যেন তা নিজ হাত দ্বারা পরিবর্তন করে দেয়। যদি (তাতে) ক্ষমতা না রাখে, তাহলে নিজ জিভ দ্বারা (উপদেশ দিয়ে পরিবর্তন করে)। যদি (তাতেও) সামর্থ্য না রাখে, তাহলে অন্তর দ্বারা (ঘৃণা করে)। আর এ হল সবচেয়ে দুর্বল ঈমান”। (সূত্রঃ আহমাদ ১১০৭৪, মুসলিম ১৮৬, মুসলিম ১৮৮, আসহাবে সুনান, হাদিস নাম্বার ১৫৯০, Click This Link)

একশ্রেণীর মুসলিম নামধারী মুনাফিকরা বলে বেড়াচ্ছে এই বিচার আল্লাহ করবেন, অতএব আমাদের কিছুই করার দরকার নেই। একজন মুসলিম হিসেবে এই ধরণের কথা বলার কোন সুযোগই নেই, প্রতিবাদ করতেই হবে। এরা যে মুনাফিক এবং এরা যে এই ধরণের আল্লাহর এবং রাসূলের বিরুদ্ধে আচরণ করবে সেটা পবিত্র কুরআন শরীফেই স্পষ্টভাবে দেয়া আছেঃ
“তুমি আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাসী এমন কোনো সম্প্রদায় পাবে না যারা আল্লাহ ও তার রাসূলের বিরুদ্ধাচারীদের ভালবাসে। হোক না এ বিরুদ্ধাচারীরা তাদের পিতা, পুত্র, ভ্রাতা অথবা তাদের জ্ঞাতি-গোত্র।’ (সূত্রঃ সুরা আল-মুজাদালাহ, আয়াতঃ ২২)


এইসব কপট ভণ্ড মুনাফিকরা কোনভাবেই নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে কিছু বলে না, ইনিয়ে বিনিয়ে বহু কথা বলে বেড়াবে কিন্তু স্পষ্টভাবে কিছুই স্বীকার করবে না। পবিত্র কুরআন মাজীদে এদের সর্ম্পকে বলা আছেঃ “তারা এর মধ্যে দোদুল্যমান, না এদের দিকে আর না ওদের দিকে। আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তুমি কখনো তার জন্য কোনো পথ পাবে না।’ (সূত্রঃ সুরা আন-নিসা, আয়াতঃ ১৪৩)
হযরত মুহাম্মাদ সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লামের সম্মান ও মর্যাদা আল্লাহ তা’আলা নির্ধারণ করেছেন। ইচ্ছা করে কেউ তার মর্যাদা কেউ বাড়াতে বা কমাতে পারবে না। তারা উনা’কে নিয়ে যতই কটূক্তি এবং অবমাননা করুক আল্লাহ ততই তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেবেন। আল্লাহ্ বলেন, “আর আমি আপনার খ্যাতিকে উচ্চ মর্যাদা দান করেছি।” (সূত্রঃ সুরা আল-ইনশিরাহ, আয়াতঃ ৪)

প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আযানে বিশ্বব্যাপী মসজিদে মসজিদে তার সুপবিত্র নাম উচ্চারিত হচ্ছে। প্রত্যেক মুয়াজ্জিন সুউচ্চ কন্ঠে ঘোষণা দিচ্ছেনঃ
“আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূলুল্লাহ্” অর্থাৎ “আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল”। যারা মহানবী সাল্লালাহু আলাহিস ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধে কটু কথা বলে বেড়ায় তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তা'আলা আল-কুর'আনে উল্লেখ করেছেনঃ
১) "বিদ্রুপকারীদের জন্যে আমিই আপনার পক্ষ থেকে যথেষ্ট।" [সূত্রঃ সুরা আল হিজর, আয়াতঃ ৯৫]
২) “নিশ্চয় যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ্ তাদের প্রতি দুনিয়া ও আখিরাতে অভিসম্পাত করেন এবং তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন অবমাননাকর শাস্তি।” [সূত্রঃ সূরা আল-আহযাব, আয়াতঃ ৫৭]
৩) “অতএব যারা তাঁর নির্দেশের বিরুদ্ধাচরণ করে তারা যেন তাদের ওপর বিপর্যয় নেমে আসা অথবা যন্ত্রণাদায়ক আযাব পৌঁছার ভয় করে।” [সূত্রঃ সূরা আন-নূর, আয়াতঃ ৬৩]
৪) “আর তোমার পূর্বেও অনেক রাসুলকে ঠাট্টা-বিদ্রূপ করা হয়েছিল, পরিণামে তারা যা নিয়ে ঠাট্টা করত তাই বিদ্রূপকারীদেরকে ঘিরে ফেলেছিল” (সূত্রঃ সুরা আম্বিয়া, আয়াতঃ ৪১)
৫) “বরং আমি মিথ্যার উপর সত্য নিক্ষেপ করি, ফলে তা মিথ্যাকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেয় এবং নিমিষেই তা বিলুপ্ত হয়। আর তোমাদের জন্য রয়েছে দুর্ভোগ তোমরা যা বলছ তার জন্য”। (সূত্রঃ সুরা আম্বিয়া, আয়াতঃ ১৮)


আপনি কি জানেন?
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জগতের সকলের প্রতি আল্লাহ পাকের খাস রহমত। মূমীন, কাফির নির্বিশেষে সকল মাখলুকই কিয়ামত পর্যন্ত এই মহান রহমতের মাধ্যমে উপকৃত হতে থাকবে। মূমীনদের’কে তো আল্লাহ তাআলা তাঁর মাধ্যমে হিদায়াত দান করেছেন। তাঁর উপর ঈমান আনা এবং তিনি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে যে পয়গাম নিয়ে এসেছেন সে অনুযায়ী আমল করার কারণে তাকে জান্নাত দেবেন। আর এই উম্মতের অবিশ্বাসীকে শুধু তাঁর কারণেই পূর্ববর্তী উম্মতের অবিশ্বাসীর মতো নগদ/তৎক্ষনাত শাস্তি দেবেন না। (সূত্রঃ তাফসীরে ত্ববারী ১৮/৫৫২)

এইসব মুনাফিকরা জানেও না কত বড় জঘন্য শাস্তির কাজ তারা করে বেড়াচ্ছে। পবিত্র কুরআন শরীফে দেয়া আছেঃ “হে ঈমানদারগণ, তোমরা নবীর আওয়াজের উপর তোমাদের আওয়াজ উঁচু করো না এবং তোমরা নিজেরা পরস্পর যেমন উচ্চস্বরে কথা বল, তাঁর সঙ্গে সেরকম উচ্চস্বরে কথা বলো না। এ আশঙ্কায় যে তোমাদের সকল আমল নিষ্ফল হয়ে যাবে অথচ তোমরা উপলব্ধিও করতে পারবে না।’ [সূত্রঃ সুরা হুজুরাত, আয়াতঃ ২ নং]
অথচ এই মুনাফিকরা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিরুদ্ধে কটুক্তিকারীদের বিরুদ্ধে কথা বলতে নিষেধ করছে!

আজ যারা নিজের সামর্থ্য, অর্থ, ক্ষমতার প্রভাবে নবী প্রেমের বিরুদ্ধাচারণ করেছে, তারা কত দিন বেঁচে থাকবে? জীবনের তো অর্ধেকের চেয়ে বেশি উজানকাল পার করে এসেছে।
বাকি আছে আর কতদিন? দশ বছর? বিশ বছর? পঞ্চাশ বছর? ধরলাম একশ বছর? তারপর? মরতে কিন্তু তো হবেই!
হযরত আদম আলাহিস ওয়াসাল্লাম এর সময় থেকে আজ পর্যন্ত প্রতিটা মানুষের মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হয়েছে। কেউ পার পায়নি। না নমরুদ, না ফিরাঊন, না হিটলার!
"প্রত্যেক প্রাণীকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। আর কিয়ামতের দিন তোমাদের পরিপূর্ণ বদলা দেওয়া হবে। তারপর যাকে দোযখ থেকে দূরে রাখা হবে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হবে, সেই সফলকাম। আর পার্থিব জীবন ধোঁকার বস্তু ছাড়া কিছুই নয়।" (সূত্রঃ সূরা আল ইমরান, আয়াত: ১৮৫)

এরা জানে এদের মৃত্যুর সময় কী ঘটবে?
মালাকুল মউত আল্লাহর নির্দেশ পেয়ে এমন কদাকার বেশে ঐ বান্দার নিকট আগমন করে যে,
কেউ কোনো দিন এমন আকৃতি দেখেনি। তার কাছে এমন একটি লৌহ শলাকা থাকে যা শাখা ও কাঁটা বিশিষ্ট। মালাকুল মউতের সাথে আরো পাঁচশত ফিরিশতা থাকে। এদের প্রত্যেকের সাথেই থাকে জাহান্নাম থেকে নিয়ে আসা আগুনের চাবুক। মালাকুল মউত অবাধ্য বান্দাকে চাবুক দিয়ে এমনভাবে আঘাত করে যে, প্রতিটি কাঁটা তার সারাদেহে তন্ত্রের মূলে বিদ্ধ হয়ে যায়। অতঃপর সেটি পাকিয়ে টেনে বের করে এবং তার পায়ের নখের তলদেশ থেকে পর্যন্ত আত্মাকে বের করে নিয়ে আসে। এরপর সেই লৌহ শলাকাটি তার উভয় পায়ের গোড়ালিতে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। তখন আল্লাহর এই দুশমনের এতই কষ্ট হয় যে, বেদনায় সে কাতরাতে থাকে। এমন সময় বাকি ফিরিশতারা তাদের হাতের চাবুক দিয়ে তার মুখমন্ডল এবং পশ্চাৎদেশে অনবরত প্রহার করতে থাকে। এই সময় তার আত্মাকে টেনে সারা দেহ থেকে গোড়ালিতে নিয়ে আসা হয়। শাস্তির এই পর্যায়ে শলাকাটি তার হাঁটুতে ফোটানো হয়। তখন বেদনায় সে ছটফট করতে থাকে। এমন সময় ফিরিশতারা আবার আগুনের চাবুক দিয়ে তার মুখ ও নিতম্বে মারতে শুরু করে। হাঁটু থেকে শলাকাটি বের করে ঢুকানো হয় তার নিতম্ব দেশে। অতঃপর বুকে এবং সব শেষে কন্ঠনালীতে, তারপর পূর্বের মতই সেটিকে টেনে বের করা হয়। এরপর ফিরিশতারা জাহান্নাম থেকে সংগ্রহ করা অঙ্গার তার থুতনীর নিচে বিছিয়ে দিয়ে বলে, “হে অপবিত্র আত্মা! তুমি বেরিয়ে আস। তুমি থাকবে প্রখর বাষ্পে, উত্তপ্ত পানিতে, এবং ধুম্রকুঞ্জের ছায়ায়। যা শীতল নয় এবং আরামদায়কও নয়”। [সূত্রঃ সূরা ওয়াকেয়া ৪২-৪৪]
তার কবরে জাহান্নামের উত্তাপ ও লু হাওয়া আসতে থাকে। তার কবর এতটা সংকীর্ণ করে দেওয়া হয় যে তার এক পাঁজরের হাড়গুলো অন্য পাঁজরে ঢুকে যায়। তার কাছে একজন কুৎসিত চেহারা, দূষিত পোশাক ও দুর্গন্ধযুক্ত এক লোক এসে বলে, “দুঃসংবাদ গ্রহণ করো। তোমাকে এই দিনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল”। সে বলবে, “তুমি কে? কেন অকল্যাণ নিয়ে এসেছ”? লোকটি বলবে, “আমি তোমার বদ আমল”। তারপর ভীত হয়ে পাপী ব্যক্তি বলবে, “হে আমার রব! কিয়ামত যেন সংঘটিত না হয়”। [সূত্রঃ মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নাম্বারঃ ১৮৫৫৭]

এরপর কিয়ামত পর্যন্ত কবরে তার নিরন্তর ভয়ংকরতম শাস্তি চলতেই থাকবে। একে বাঁচাতে শুধু একজনই দোয়া করতে পারবেন। তিনি হলেন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। কিন্তু রোজ হাশরের ময়দানে তিনি যখন জিজ্ঞেস করবেনঃ
“হে আমার উম্মত! যেদিন আমাকে তোমার সামনে অপমানজনক কথা বলা হয়েছিল, ব্যঙ্গক্তি করা হইয়েছিল, কটুক্তি করা হয়েছিল তখন তুমি কী বলেছ? কি করেছে আমার জন্য?”

তখন এইসব মুনাফিকরা হ্যাডম থাকলে যেন আল্লাহর সামনে, সকল ফেরেস্তাদের সামনে, হাশরের ময়দানে, সাক্ষাত জাহান্নামের সামনে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রশ্নের জবাব দেয়!

সেদিন এইসব কাফির ইমানুয়েল মাক্রোন’দের দালালী করার শাস্তি কী সেটা এরা হাড়ে হাড়েই টের পাবে!
কিন্তু হায় সেদিন এরা পাশে আর কাউকেই পাবে না!

প্রিয় রাসূলের অপমানে যদি না কাঁদে তোর মন
রোজ হাশরের দিন কী হাতে নিয়ে দাড়াবি তুই!
তুই তো মুসলিম নয়, মুনাফিক তুই, ভন্ড কপট
বাহ্যিক অবয়বের আড়ালে অন্তঃসাড় শূন্য ভাড়!
আল্লাহ, রাসূল, ফেরেশতা কেউ চিনবে না তোকে
রাসূল মুখ ফিরিয়ে নেবেন, তুই ইসলামের দুশমন!


এই পার্থিব দুনিয়াবী জীবনে আর কতটুকু মুনাফিকী করে বেড়াবে এরা?

সবাইকে ধন্যবাদ ও শুভ কামনা রইল।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত @ নীল আকাশ, অক্টোবর ২০২০

সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:০৮
৬২টি মন্তব্য ৫৭টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।

লিখেছেন সাইয়িদ রফিকুল হক, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৩:১৫



ভারতীয় পণ্য বয়কটের কেন এই ডাক। একটি সমীক্ষা-অভিমত।।
সাইয়িদ রফিকুল হক

বিএনপি ২০২৪ খ্রিস্টাব্দে দেশে অনুষ্ঠিত “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে”-এ অংশগ্রহণ করেনি। তারা এই নির্বাচনের বহু আগে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×