লালান শাহ
বাঘা যতিন
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে ১৮৯৭ সালে বাংলা সাহিত্যের প্রখ্যাত কবি গোলাম মোস্তফা জম্মগ্রহণ করেন।
কবি গোলাম মোস্তফার সংক্ষিপ্ত পরিচয়ঃ
নামঃ গোলাম মোস্তফা
পিতাঃ কাজী গোলাম রাব্বানী
মাতাঃ বিবি শরীফুন্নেসা।
স্ত্রীঃ
পিতামহঃ কাজী গোলাম সরওয়ার। (পিতা এবং পিতামহ তাঁরা ছিলেন সাহিত্যানুরাগী-ফারসী ও আরবী ভাষায় সুপন্ডিত। তাঁর তিন পুত্রের মাঝে একজন হলেন বিখ্যাত পাপেটনির্মাতা ও চিত্রশিল্পী মুস্তফা মনোয়ার এবং সাম্প্রতিককালের অস্কারজয়ী বাংলাদেশী নাফিস বিন জাফর তাঁর নাতি।)
শিক্ষাঃ কবি শৈলকুপা হাইস্কুল থেকে ১৯১৪ সালে ম্যাট্রিকুলেশন, দৌলতপুর কলেজ থেকে ১৯১৬ সালে আই,এ এবং কলকাতার রিপন কলেজ থেকে ১৯১৮ সালে বি,এ পাশ করেন।
কর্মজীবনঃ ১৯২০ সালে ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর সরকারী হাইস্কুলে সহকারী শিক্ষকরুপে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। পরে ডেভিড হেয়ার ট্রেনিং কলেজ থেকে বি,টি পাশ করেন এবং......
প্রধান শিক্ষক পদে উন্নীত হয়ে ১৯৪৬ সালে ফরিদপুর জেলা স্কুলে যোগদান করেন। ১৯৫০ সালে তিনি চাকুরী হতে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৪৯ সালে পূর্ব পাকিস্তান সরকার গঠিত ভাষা সংস্কার কমিটির সচিব ছিলেন।
সাহিত্যে অবদানঃ গীত রচনা, কাব্য, উপন্যাস, জীবনী, অনুবাদসহ সাহিত্যের প্রায় সকল শাখায় তাঁর স্বছন্দ পদচারণা ছিল। ১৯১৩ সালে দশম শ্রেণীর ছাত্র থাকাকালে আদ্রিয়ানোপল উদ্ধার' কবিতাটি প্রকাশিত হয়।
কাব্য গ্রন্থঃ কাব্য-রক্তরাগ (১৯২৪), খোশরোজ (১৯২৯), কাব্য কাহিনী (১৯৩২), সাহারা (১৯৩৬), হাসনাহেনা (১৩৩৪), তারানা-ই-পাকিস্তান (১৯৪৮), বনি-আদম (১৯৫৮); উপন্যাস-রুপের নেশা (১৩২৬), ভাঙ্গাবুক (১৩২৮), একমন এক প্রাণ; জীবনী-বিশ্বনবী (১৯৪২) ; ইসলাম বিষয়ক গ্রমহ-ইসলাম ও জেহাদ (১৯৪৭), ইসলাম ও কমিউনিজম (২য় সং -১৯৪৯), মরু দুলাল; প্রবন্ধ পুস্তক-আমার চিন্তাধারা (১৯৬২) ; অনুবাদগ্রন্থ-মুসাদ্দাস-ই-হালী (১৯৪৯), মুরু দুলাল; প্রবন্ধ পুস্তক-আমার চিন্তাধারা (১৯৫৮) শিকওয়া ও জওয়াব-ই-শিকওয়া (১৯৬০), জয়পরাজয়। এছাড়া গীতি সঞ্চয়ন (১৯৬৮) এবং গোলাম মোস্তফা কাব্য গ্রন্থাবলী (১৯৬০) বিশ্বনবী' গ্রন্থখানি গদ্য সাহিত্য তাঁর শ্রেষ্ঠ অবদান।
কাব্যের বৈশিষ্ট্যঃ তাঁর কাব্যের বৈশিষ্ট্য হল সহজ সাবলীল শিল্পসম্মত প্রকাশ ও ছন্দ লালিত্য। তাঁর কাব্যে মুসলিম জাতীয়তাবাদী চেতনা প্রকাশ পায়। তিনি গীতিকার ও গায়ক ছিলেন। তাঁর নিজের সুরারোপিত বেশ কয়েকটি গানের রেকর্ডও পাওয়া যায়।
সম্মাননা/পদকঃ ১৯৫২ সালে যশোর সাহিত্য সংঘ কাব্য সুধাকর' ও ১৯৬০ এ পাকিস্তান সরকার সিতারা-ই-ইমতিয়াজ' উপাধি দেয়।
নাগরিকত্বঃ ব্রিটিশ ভারতীয় (১৮৯৭-১৯৪৭),
পাকিস্তানি(১৯৪৭-১৯৬৪)
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানঃ কলকাতা রিপন কলেজ
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারঃ সিতারা ই ইমতিয়াজ
প্রেসিডেন্ট মেডেল
মৃত্যুঃ ১৯৬৪ সালের ১৩ অক্টোবর ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।
তথ্য সূত্র ও ছবিঃ ইন্টারনেট (গুগোল, ফেসবুক ও বেশতো)
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২০