কাহিনী সূত্র
সিনেমাটি তৈরি করা হয়েছে এস্কেইপ ফ্রম অ্যালকাট্র্যাজ নামক নন-ফিকশন বই থেকে। জে ক্যাম্পবেল ব্রুস রচিত এই বইটি ১৯৬৩ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। অ্যালকাট্র্যাজ কারাগেরের ইতিহাস এবং সেখান থেকে পালানোর সফল ও ব্যর্থ প্রচেষ্টাগুলোই ছিল বইয়ের বিষয়বস্তু। বইয়ের একটি অংশে ফ্র্যাংক মরিস অন্য দুইজন কয়েদীর পালানোর বর্ণনা আছে। এই অংশটুকু থেকেই সিনেমা করা হয়েছে। উল্লেখ্য এর আগে অ্যালকাট্র্যাজ থেকে কেউ পালাতে পারেনি, এর পরেও পারেনি। অ্যামেরিকার অন্যতম কুখ্যাত আসামীদের এখানে পাঠানো হতো। এখানে সবাইকে ব্যক্তিগত সেল দেয়া হতো এবং কঠোর তদারকিতে রাখা হতো। পালানো ছিল খুবই কষ্টকর। মরিস ও অন্য দুজন পালানোর পরপরই অ্যালকাট্র্যাজকে চিরতরে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। জেলখানার কঠিন জীবন এবং বন্ধ হয়ে যাবার আগে এই কারাগারের অবস্থাই সিনেমাতে উঠে এসেছে।
সিনেমার শেষ অংশে কিছু সূত্র দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে যে, তারা সফলভাবে পালাতে পেরেছে। কিন্তু, তারা আদৌ পেরেছিল কি-না তা জানা যায়নি, এখন পর্যন্ত রহস্যই রয়ে গেছে। ওয়ার্ডেন মনে করেছিলেন, তারা ডুবে মারা গেছে।
চরিত্রসমূহ
অ্যালকাট্র্যাজ কারাগারের একটি সেল। প্রতি সেলে একজন করে থাকতো - এস্কেইপ ফ্রম অ্যালকাট্র্যাজ
ক্লিন্ট ইস্টউড - ফ্র্যাংক মরিস (পালানোর প্রধান পরিকল্পনাকারী)
প্যাট্রিক ম্যাকগুহান - ওয়ার্ডেন
রবার্ট ব্লোজোম - ডক
ফ্রেড ওয়ার্ড - জন অ্যাংলিন (মরিসের সাথে পালায়)
জ্যাক টিবো - ক্ল্যারেন্স অ্যাংলিন (মরিসের সাথে পালায়, জনের ভাই)
পল বেঞ্জামিন - ইংলিশ
ল্যারি হ্যানকিন - চার্লি বাট্স (মরিসের পাশের সেলের কয়েদী যে পালাতে পারেনি)
ব্রুস এম ফিশার - উল্ফ (মরিসকে মারার চেষ্টা করে)
ফ্র্যাংক রোঞ্জিও - লিটমাস
ফ্রেড স্টুথম্যান - ওয়েগনার
ম্যাডিসন আর্নল্ড - জিমারম্যান
প্রতিক্রিয়া
১৯৭৯ সালের ২৪শে জুন মুক্তি পাওয়ার ঐ সপ্তাহেই ছবিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫,৩০৬,৩৫৪ ডলার আয় করে। ৮১৫টি হলে তা দেখানো হয়েছিল। সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এর আয় ছিল ৪৩,০০০,০০০ মার্কিন ডলার।
সমালোচকদের কাছেও ছবিটি প্রশংসিত হয়েছে। রটেন টম্যাটোস-এ এর রেটিং ৯৩%, অর্থাৎ তাদের সংগৃহীত রিভিউগুলোর শতকরা ৯৩টিতেই এ ছবির প্রশংসা করা হয়েছে। রিভিউ অবশ্য বেশি না,মাত্র ১৪টি। উচ্ছসিত প্রশংসা না করলেও অধিকাংশই একে সাধারণের চেয়ে ভাল প্রিজন ব্রেক চলচ্চিত্র হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।
অসংগতি
ছবির শুরুতেই মাউন্ট সাট্রো টাওয়ার দেখানো হয় এবং পাশে লেখা দেখা যায়, ছবির সময়কাল ১৯৬০ সাল। অথচ এই টাওয়ারের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ১৯৭১ সালে এবং শেষ হয়েছে ১৯৭২ সালে। মরিস যখন কাঠের সাথে ধাতু দিয়ে তৈরি খণ্ডটি মেটাল ডিটেক্টরের মধ্য দিয়ে নিয়ে যায়, তখন পাশে একটি ওসিলোস্কোপ দেখা যায়। এ ধরনের ওসিলোস্কোপ ১৯৭০-এর দশকে বাজারে এসেছে। মনিসকে যখন নৌকায় করে অ্যালকাট্র্যাজ জেলে নিয়ে আসা হচ্ছিল তখন নৌকার উপর একটি রাডার ঘুরতে দেখা যায়। এ ধরনের রাডারও ১৯৭০-এর দশকে নির্মীত হয়েছে।
সহযোগিতায়
QuickiWiki