দুপুর ২টা। করোনার আতংক নিয়ে পায়ে হেটে চলছি পেটের দায়ে। বাউনিয়া বটতলা হতে উত্তরা ৩ নাম্বার সেক্টর। রাস্তায় মানুষ খুব কম। যারা দিন আনে দিন খায় তারা ছাড়া খুব কম লোকই বের হয়েছে রাস্তায়। পথ চলতে চলতে বট গাছের নিচে আমার চোখ আটকে গেল। ছোট্র একটা কাঠের বক্স নিয়ে সাইকেল মেরামত করেন তিনি। গরমে তার শরীর ঘেমে যাচ্ছে। পাশে বসে আছে তার ১০ বছরের মেয়ে। তার করুন মুখ বলে দিচ্ছিল অনাহারে আছে কয়েকদিন। দেশ স্বাভাবিক থাকার সময় দৈনিক আয় হত ৩০০ টাকা। এখন আয় হয় ৫০-৮০ টাকা। সংসারে সদস্য সংখ্যা ৫ জন। বাসাভাড়া ৩০০০টাকা। কোন সাহায্য পেয়েছেন কিনা জিঙ্গাসা করলাম। তিনি বললেন এলাকার জনপ্রতিনি চাল দিয়েছে সবাইকে কিন্তু আমাকে দেয়নি কারণ আমার বাড়ি জামালপুর। আমি ঢাকার ভোটার আইডি কার্ড দেখাতে পারিনি বিধায় আমাকে ত্রাণ দেয়নি। কথাটি শুনে আমি নিশ্চুপ হয়ে গেলাম। নিজের সাধ্য মত সহযোগিতা করে ত্রাণ পাঠিয়ে দিব বলে চলে আসলাম। পরের দিন আমি আমাদের প্রতিষ্ঠান বিশ্বাস পোল্ট্রি এন্ড ফিস ফিডস্ লিঃ হতে তাকে ত্রাণ পেীছে দিয়েছি। হায়রে দেশ, হায়রে জনপ্রতিনিধি। মানুষের চাইতে ভোটের গুরুত্ব বেশী। এই সময়ে যারা ভোটের রাজনীতি করেন তারা মানুষ নামের কলংক। আমি আইন শৃংখলা বাহিনীর দৃষ্টি আর্কষন করছি। আপনারা এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখুন যেন কেউ ত্রাণ থেকে মাহরুম না হয়। মানুষ মানুষের জন্য , জীবন জীবনের জন্য, একটু সহানুভুতি কি মানুষ পেতে পারে না ও বন্ধু।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ১:৩৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




