
বাঙ্গালী হলো সংগ্রামী জাতি। আমরা লড়াই করেই বেচেঁ আছি। আশা করি করোনার সাথে লড়াই করেও বাচঁতে পারব ইনশাআল্লাহ। কেননা আমরা ভেজাল খাবার খাই, ভেজাল ঔষধ খাই, ভেজাল চিকিৎসা পাই, ভেজাল শিক্ষা পাই, নেতাদের কাছ থেকে ভেজাল কথা শুনতে পাই। সবই হজম করে আমরা বেচেঁ আছি। একটা সময় দেশে যক্ষা হলে রক্ষা নাই, কান্সারের কোন এনছার নাই এবং ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় আমরা নাজেহাল ছিলাম। এই সব রোগ এখন আমাদের কাছে খুবই স্বাভাবিক। আমার বিশ্বাস করোনার ভাইরাসও একসময় আমাদের বডিতে স্বাভাবিক হবে এবং এন্টিবডি তৈরি হবে। তাই এ বিষয়ে খুব বেশী ভীতি সৃষ্টি না করাটাই বেশি যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয়। আমাদের দেশ তো আমেরিকা কিংবা ইতালি নয় যে অসুস্থ হলে ১০ মিনিটের মধ্যে আমার বাসায় এ্যাম্বুলেন্স চলে আসবে। আসবেই বা কিভাবে ইচ্ছা থাকলে ওপারবে না কারণ আমি কোথায় থাকি , কি করি, কিছুই সরকার জানে না। যেহেতু ভোটার লিস্টে নাম ছাড়া আর কোন তথ্য সরকারের কাছে নেই অতএব আমাদের বাসায় বাসায় প্রনোদনার টাকা, চাল সহ ত্রাণের জিনিস পেীছে যাবে তা বলা বোকামী ছাড়া আর কিছুই নয়। আর যাদের মাধ্যমে পেীছাবে সেই জনপ্রতিনিধিগণ তো নিজেরাই ???? কি বলে সম্বোধন করব বুঝতে পারছি না । যারা ত্রাণ বিতরণের ছবি তোলা শেষে ত্রাণ কেড়ে নেয়, যারা নিজ ঘরে ত্রাণ মাটিচাপা দেয়, যারা ত্রাণের তেল খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে এই সব চরিত্রের লোক দিয়ে কখনো এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রি বললেন করোনার ৮০% রোগী এমনিতেই ভালো হয়ে যায় যদি তাই হয় তবে ২০% লোকের জন্য ৮০% লোককে বেকার ঘরে বসিয়ে রেখে দেশের শিল্পকারখানা বন্ধ রেখে অর্থনেতিক ভাবে ধ্বংস না হয়ে সকল কিছু খুলে দেওয়াই যুক্তিযুক্ত বলে আমি মনে করি। কারণ রাস্তার পাশে বট গাছের নিচে একটি বক্স নিয়ে সাইকেল মেরামত করতে দেখে পুলিশ বলল দোকান খুলেছিস কেন? লোকটি বলল স্যার কাজ না করলে বউ বাচ্চা নিয়ে না খেয়ে মরতে হবে, কবে করোনা আসবে আমাকে হাসপাতালে নিবেন তারপর মরতে হবে কিন্তু স্যার তার আগে তো কাজ না করলে কালকেই না খেয়ে মরতে হবে । পুলিশ কোন উত্তর না দিয়ে চলে গেল। আমরা কাজ করে খাই,নিজে বাচিঁ আর দেশকে এগিয়ে নিতে চাই। এভাবে এক/দুই মাস চলতে থাকলে মানুষ এমনিতেই ঘরে খাদ্য ও চিকিৎসার অভাবে পুষ্টিহীনতায় ধুকে ধুকে মারা যাবে। সরকার এই অবস্থা রোধ করার জন্য প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষনা করায় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু আমার মনে প্রশ্ন এই প্রনোদনার টাকা আসবে কোথা থেকে? ব্যাংক থেকে , ব্যাংক টাকা পাবে কোথায় জনগণের কাছ থেকে, জনগণ টাকা পাবে কোথায় মালিকদের কাছ থেকে, মালিক আয় করবে কি করে, প্রতিষ্ঠান সচল রেখে। কিন্তু প্রতিষ্ঠান তো বন্ধ। তবে ? শিল্প প্রতিষ্ঠান না চললে সরকারের রাজস্ব আয় হবে কিভাবে? রাজস্ব আয় না হলে মুখ থুবড়ে পড়বে অর্থনীতি। ভাবছেন বিশ্ব ব্যাংক দিবে , না বিশ্ব ব্যাংক আজ ঋন দিতে অক্ষম কারণ সারা বিশ্বই আজ অচল। তাহলে সরকার প্রণোদনার এই টাকা পাবে কোথায় আর কতদিনই বা দিতে সক্ষম হবে। তাই সরকারকে এবিষয়ে চিন্তা ভাবনা করে দ্রুত সিন্ধান্ত নেওয়ার জন্য সবিনয় অনুরোধ করছি। আমি মনে করি ১৬ কোটি মানুষের ৩২কোটি হাত চললে এদেশ ও দেশের মানুষ বাচঁবে , না হলে সরকারকে এক কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে যা আমরা কল্পনাও করিনি কোন দিন। একটি আহবান রেখে আমি শেষ করতে চাই-
এসো রাখি হাতে হাত
দিধা ভয় দুরে যাক
করব মোরা সবাই কাজ
করোনা সব নিপাত যাক
ভরসা রাখি আল্লাহতে
মরলে ভয় কি তাতে।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ বিকাল ৪:২৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




