somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বৃত্তের বাহিরে

০৭ ই এপ্রিল, ২০১১ রাত ৯:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রিনি আমার মামার বাড়ি সাবলেটে থাকে, ইডেনে
পড়ে, হোস্টেলে সিট না পাওয়াতে লালবাগ মামার বাসায় সাবলেট নিয়েছে, আমি চাকরীর সুবাদে মামার একটি ব্যালকানির পাশে রুম দখল নিয়াছি, তার আগে থেকেই রিনি এ বাড়িতে আগমন হয়েছে, প্রাইভেট কম্পানির আইটি বিভাগে চাকরীর কারণে দুমাস ঢাকায় থাকতে, হবে হঠাৎ কোথায় উঠবো তাই মামার অনুরোধে তার বাসায় দখল নিলাম, আগে রুমটা রিনি ব্যবহার করতো, তার পরিক্ষা শেষ, দুই তিন মাসের মেধ্যে লেখা পড়ার সে রকম চাপ নাই, তাই, মামতো বোনদের সাথে সে বর্তমান বাস।বর্তমান যুগের ষ্টাইলিষ্ট মেয়ে রিনি, প্যান্ট টি সাট তার প্রিয় পোষাক, (আমার তাই মনে হয়েছে, কারন বাসায় যখনি দেখিছি, এই পোষাকেই দেখিছি,) ছেলেদের মতো সার্ট ও পড়ে, । মধ্যবৃত্তের ঘরের মেয়ে, মামিদের দূর সম্পকের আত্নীয় হয়, আমি আসাতে তার কোন সমস্য হবে কি না এমন জিঙ্গাসাতে তার উত্তর ছিল, সে তার মত থাকবে আমি আমার মত, এসে সমস্যার কি আছে।
সন্ধ্যার সময় মামার বাসায় পৌছালাম,গোছল করে চা খেয়ে বিশ্রাম নিয়ে কম্পিউটার চালু করতেই দেখি পিছনে রিনি দাড়িয়ে আছে, তার সাথে আমার পরিচয় এখনো হয় নি। ভাবলেশহীন, র্স্মাট ভাবে আমার দিকে এগিয়ে বলল কেমন আছেন।
সুন্দরী মেয়ের সঙ্গ যে কোন পরুষের কাম্য, তার পর সে যদি হয় র্স্মাট তবে তো পোয়া বার, আমি বিগলিত হয়ে তাকে বসতে বলতেই বলল,
আমি কিন্তু এই বাড়ির আপনার চেয়ে পুরাতন মেম্বা্র, সুতরাং মানুষ হিসাবে আপনার চাইতই এ বাড়িতে আমার অধিকার বেশি, যদিও আপনি আমার চাইতেই এ বাড়ির ঘনিষ্ট আত্নীয়।আমি আপনার কথা শুনেছি, এ রুমটি আপনার ছিল তাও জানি সাময়ীক সম্যসা করার জন্য
দুঃখিত, অবশ্যই দুমাস পার আপনি আপনার সম্পতি আবার ফেরত পাবেন, যদিও এর মধ্যেই আপনার লেখাপড়ার অনেক ক্ষতি হবে।
সে ক্ষতি পোষাবার জন্যইতো আসলাম, যদিও প্রথম দিন, তার পর ও বলি আপনার সাথে কপিউটার আছে, সেটা আমার জন্য উম্মক্ত করে দিতে হবে।তা কি করে সম্ভব, সব কিছু সবার সাথে শেয়ার করা যায়, ম্যানিব্যাগ, ডায়রী, পাসোনাল কম্পিউটার, এগুলি হলো ব্যক্তি গত সম্পতি, এগুলি অন্যটা দেখতে নেই, এবং অন্যকেউ দেখাতে নেই,
উহ, আমি কি মাঝে মাঝে গেম, ও খেলতে পাবো না??সেটা হয়তো আমার উপস্থিতিতে।তা কি ভাল দেখাবে ,
সরি, আমি আপনাকে আমার কমপিউটার ধরতে হলে আমার উপস্থিতিতেই ধরতে হবে।
ওকে যা আপনার মর্জি, রিনি উঠে ব্যালকানীতে চলে গেল, দেখি তার পকেট থেকে
সিগারেট বার করে অগ্নি সংযোগ করছে।আমি তো তাজ্জব বনে গেলাম, ওরে বাবা, কি এলাহি কান্ড,
মামীর কাছে ও সর্ম্পকে বলতেই বলল, ও কে নিয়ে গেটো না বাবা, ওকে ওকে ওর মতো থাকতে দাও, ওর জিবনে অনেক কষ্ট , বাব নেই, মার অন্য জায়গায় বিয়ে হয়েছে,নানার বাড়িতে মানুষ হয়ছে, এখন নানা ও মারা গিয়াছে, মামারা আলাদা হয়ে যাওয়াতে তার স্থান আর হয়নি মামার বাড়িতে , তাই আমি এখানে নিয়ে আসলাম,
মেয়েটি তত মেধাবি নয়, তবো ও আপ্রয়ন চেস্টা নিজের পায়ে দাড়াবার,ওকে অনেক বলিছি ওর নিজের বাড়ির মত থাকতে তার পরও ও মনে করে সে এ বাড়িতে আশ্রিতা।
রিনি দেখতে ততোটা সুন্দরি না হলেও ওর বডি ফিটনেস ভাল, ববকাটিং চুল, স্কীনটাইট পেন্ট, শেম্পু করা চুল ছেড়ে যদি রাস্তায় বের হয়, তবে আশি বছরের বুড়োর ও হার্ডবিট বেড়ে যাবে।
সারা দিন হাড়ভাঙ্গা খুটুনির পর বিকেলে যখন বাসায় ফিরি তখন আর বের হতে ইচ্ছা হয় না। তা ছাড়া এ এলাকায় আমার বন্ধু বান্দব ও নেই, তাই ইন্টার নেটে চ্যাট, করা ও গান শুনা ছাড়া আমার কোন কাজ ও নেই, রিনি ও বিকালে আমার জন্য ও তার নিজের জন্য দুই কাপ চা নিয়ে আমার রুমে এসে ফেজ বুকে চ্যাট করে।
তাকে জিঙ্ঘাসা করলাম, তুমি আগে কোথায় কম্পিউটার ব্যবহার করতে, তার উত্তর, তাদের কলেজে ও সাইবার ক্যাফে বন্ধুদের সাহায়্যে নেট ব্যবহার শিখেছে,।
সেদিন রিকসায় বাসায় ফিরার পথে দেখি, রিনি ্ও একটি মেয়ে আর তিন জন ছেলে বন্ধুদের নিয়ে টি,এসসির মাঠে আড্ডা মারছে, রিনির একটা হাত আবার ওর পাশের ছেলেটির কাধে, ওর বুকের কাছাকাছি ছেলেটির শরীর প্রায় লে্পেট আছে, সাবলীলায় তারা গল্প করছে, আমি দুর থেকে দেখে চলে আসছিলাম, কিন্তু ও কি ভাবে যেন আমাকে দেখেছে, তাই হাত উচিয়ে আমাতে ডাকালো, আমি রিকসা থামাতেই সে কাছে এসে বলল চল তোমাকে আমার বন্ধুদের সাথে পরিচয় করে দিব,
এখন মুড নেই রিনি, অন্য সময় পরিচয় হওয়া যাবে আজকে খুব টায়াট ফিল করছি।
তাহলে আমাকেও নিয়ে চল, আমি তোমার সাথে বাসায় ফিরবো,
তোমার বন্ধুদরে কাছ থেকে কি হুট করে চলে আসা ঠিক হবে??
বেঠিক হওয়ার কিছু নেই, আড্ড দেওয়া কোন জরুরী কাজ নয়,
তোমার বন্ধুরা মাইন্ড করবে না?
আমার যা মন চায় তাই করি, কে কি মনে করলো তা দেখার সময় নেই,
তুমি যা অদ্ভুত অদ্ভুত কথা বল না,
পৃথিবীতে সবই অদ্ভুত, এই আমি ও আমার জীবন সবই অদ্ভুত, দেখ না সবাই মাবা ভাই বোনদের সাথে থাকে, নিজ বাড়ি থেকে লেখাপড়া করে টাকা পয়সার কোন চিন্তা নেই, নিজেদের গাড়িতে চড়ে ক্যম্পাসে আসে,
আর আমি, থাকি একজনের আশ্রিত হয়ে, বই কিনি টিউশনির টাকা দিয়ে, বন্ধুবান্ধবের সাথে খাওয়াদাওয়%E
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১১ সকাল ১০:৫৮
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???

লিখেছেন স্বপ্নের শঙ্খচিল, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৯

তীব্র তাপদাহ চলছে : আমরা কি মানবিক হতে পেরেছি ???



আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকির মুখে আছি,
আমাদেরও যার যার অবস্হান থেকে করণীয় ছিল অনেক ।
বলা হয়ে থাকে গাছ না কেটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যবহারে বংশের পরিচয় নয় ব্যক্তিক পরিচয়।

লিখেছেন এম ডি মুসা, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৫

১ম ধাপঃ

দৈনন্দিন জীবনে চলার পথে কত মানুষের সাথে দেখা হয়। মানুষের প্রকৃত বৈশিষ্ট্য আসলেই লুকিয়ে রাখে। এভাবেই চলাফেরা করে। মানুষের আভিজাত্য বৈশিষ্ট্য তার বৈশিষ্ট্য। সময়ের সাথে সাথে কেউ কেউ সম্পূর্ণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মহিলা আম্পায়ার, কিছু খেলোয়ারদের নারী বিদ্বেষী মনোভাব লুকানো যায় নি

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯



গত বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে ছিলেন সাথিরা জাকির জেসি। অভিযোগ উঠেছে, লিগে দুইয়ে থাকা মোহামেডান ও পাঁচে থাকা প্রাইমের মধ্যকার ম্যাচে নারী আম্পায়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

জানা আপুর আপডেট

লিখেছেন আরাফআহনাফ, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭

জানা আপুর কোন আপডেট পাচ্ছি না অনেকদিন!
কেমন আছেন তিনি - জানলে কেউ কী জানবেন -প্লিজ?
প্রিয় আপুর জন্য অজস্র শুভ কামনা।



বি:দ্র:
নেটে খুঁজে পেলাম এই লিন্ক টা - সবার প্রোফাইল... ...বাকিটুকু পড়ুন

বন্ধুর বউ কে শাড়ি উপহার দিলেন ব্যারিস্টার সুমন। বাটার প্লাই এফেক্ট এর সুন্দর উদাহারন।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭



এক দেশে ছিলো এক ছেলে। তিনি ছিলেন ব্যারিস্টার। তার নাম ব্যারিস্টার সুমন। তিনি একজন সম্মানিত আইনসভার সদস্য। তিনি সরকার কতৃক কিছু শাড়ি পায়, তার জনগণের মাঝে বিলি করার জন্য।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×