somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

Paypal একাউন্ট একটি জরুরী প্রয়োজন

০৮ ই জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৩:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশের মানুষ এখনো পেপ্যাল একাউন্ট করতে পারেনা। এই মুহূর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফাহমিদুল হক একটি জরীপ চালাচ্ছেন সেখানে একটি পয়েন্ট হলো অনলাইন কমিউনিটি হিসেবে ব্লগগুলো কোনো জরুরী প্রয়োজনে এগিয়ে আসে কীনা? আসে নি:সন্দেহে। আমরা প্রথম পাতার ডান পাশের একটি বক্সে দেখতে পাই 'হাত বাড়িয়ে দাও' শীর্ষক একটি বক্স। আপনারা জানেন প্রয়োজনে সবাই যদি চারআনা করেও সাহায্য করা যায় অনেকেরই জরুরী প্রয়োজন তাতে মিটেও অনেক বেশি। কিন্তু সাহায্য করবেন কী করে? আপনি থাকতে পারেন অস্ট্রেলিয়াতে, কিংবা কানাডা, কিংবা ইউকে, সাউদিয়া এসব নানান প্রান্তে। এসব জায়গা থেকে দেশে টাকা পাঠানোতে নানা ঝক্কির কারণে অনেকেই শেষে এগিয়ে আসেন না।

এটি গেলো একটি প্রেক্ষিত, এমনি হাজারো ব্যাপার আছে। আপনি বাইরে আউট সোর্সিং করবেন? টাকা পাঠাবেন? কেউ আপনাকে টাকা পাঠাবে? কোনো প্রোডাক্ট কেনা-বেচা করবেন? ইত্যাদি নানা প্রয়োজনে পে-প্যাল সর্বব্যাপী নির্ভরযোগ্য একটি মাধ্যম। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে কারো পে-প্যাল একাউন্ট করার জো নেই। কারণ তাদের তালিকাতেই নেই বাংলাদেশ। থাকবে কী করে? আপনি একটি এমন ব্যাঙ্ক একাউন্ট করতে পারবেন না যেটিতে সরাসরি বিদেশ থেকে ডলারে টাকা পাঠাবে। যা থেকে আপনি প্রয়োজনে লেনদেন করতে পারবেন। আপনি দেশে বসে বাইরে থেকে টাকা এনে দেবেন তাও সম্ভব নয়।

কী ভাবে হবে? ৯১ সালে যখন ফাইবার অপটিক কেবল বিনামূল্যে সংযোগ দিয়ে দিতে চাইলো SEA-ME-WE(South East Asia - Middle East - West Europe) কেবল দিয়ে তখন সব প্রযুক্তিবিদ ও প্রযুক্তি প্রেমিকগণ অনেক সরব হয়ে উঠলেও শেষমেষ বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর বিজ্ঞ(!?) ইডি(এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর) সাহেব বলে দিলেন, 'না না তা করা যাবে না! ইন্টারনেট কানেকশন হলে, দেশের কারেন্টের তার দিয়ে সব তথ্য আমেরিকা চলে যাবে।' এধরণের জুজু'র ভয় দেখিয়ে আমরা এমন এক ফান্দে পড়ে আছি যে আজো প্রায় দুই দশক পরে আমরা ফাইবার অপটিক লাইনে দশভাগের একভাগ গতিতে যুক্ত নই। তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা নেবার জন্য আমরা একটি দারুণভাবে উপযুক্ত দেশ। কেবলই তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসেই বিশ্বের সব প্রান্তের কাজ করে হয়ে উঠতে পারে স্বাবলম্বী প্রতি ঘরের বেকার ছেলেটা। কিন্তু এসব দিকে উন্নতি না করে দেশ এগিয়ে যায় মরণ নেশায়। ফেনসিডিল, গাঁজা, ইয়াবা, শীশ, ইঞ্জেকশন আরো কতো কী। না চাইতেই হাতের মুঠোয় সেসব।

ধরুন বাংলাদেশে পে-প্যাল আছে, কী কী ঘটতে পারে সম্ভাব্য ঘটনা:
১. একটি ছেলে ঘরে বসে তার স্কুলজীবনেই HTML, Javascript, CSSএর ন্যূনতম জ্ঞান দিয়ে আয় করতে পারে পড়ার খরচ। তারও দরকার নেই, হয়তো কারও ওয়েবসাইট হালকা মেইনটেইন করে দিতে হবে, বা হালকা রদবদল(Tweak)।
২. ছোট-খাটো কোম্পানীগুলো নানান প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে সরাসরি বাইরের কাজ করতে পারে। দীর্ঘসূত্রিতার প্রয়োজন নেই।
৩. ধরুন কারো সাহায্য প্রয়োজন, তার পেপ্যাল ডোনেট বাটন দিয়ে রাখলে সবাই যদি একটি করে সেন্টও জমা দেয় অনেক টাকা। ডানপাশের 'হাত বাড়িয়ে দাও' পোস্টগুলোর মানুষগুলোকে আমরা কজন নানান ঝামেলা পেড়িয়ে সাহায্য করতে গিয়েছি একটি টাকা? খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি হওয়ায় আমরা ঐ পোস্টগুলো পড়েই দেখি না! কারণ জানি সাহায্য করতে পারবো না অতো সময় নিয়ে। আমি আমজনতার কথা বলছি।
৪. আপনার কোনো ডোমেইন বা হোস্টিং একাউন্ট দরকার তা দেশি কোম্পানি থেকে অনেক প্রতারণামূলক অফার থেকে বেছে নিতে হয়। সরাসরি কিনে নিতে পারেন অনলাইনেই।

আরো এমন অনেক অনেক লেখা যায়...... কথা হচ্ছে কবে পাবো?

দেশের ভেতরেই তো ই-ট্রান্স্যাকশন হয়না। টাকা হস্তান্তর মূলত হাতে হাতে। ই-গভার্ন্যান্স, ই-কমার্স এসব কবে আসবে? যতো দেরি করা যায় ততোই আগামী নির্বাচনের ম্যান্ডেট দেয়া যায়, তাই না? কারণ এগুলো তো দিলেও আসবে না দিলেও। দেশকে পিছিয়ে রেখে দল বা ব্যক্তিগত বাণিজ্য আর কতো? শুনেছি পূর্বের টার্মের আওয়ামী আমলেও কী একটা কমিশনের জন্য পিছিয়ে যায় আরেকবার এই ফাইবার কেবল। আমরা কী আরেকটু ছাড় দিতে পারিনা? কেবলই মহাথির হতে হয়? মহাথির মোহাম্মদ ছাড়া আর কোনো মানুষের হৃদয়ে দেশের জন্য একবিন্দু ভালোবাসা থাকেনা? আপনার নেই? আমার নেই?
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:৩৮
৩৩টি মন্তব্য ৩২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×