somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অভ্রের বিরুদ্ধে শাব্দিক টিমের অভিযোগ এবং জব্বার কাগুর ইউনিবিজয়ের মিল প্রসঙ্গে

২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে সবাই হয়তো পছন্দ করে। জব্বার কাগু কেবলমাত্র ইউনিবিজয়কে অভ্রতে যোগ করাতে যেসব হ‍্যাকিং, পাইরেসি, ট্রেডমার্ক, কপিরাইট, প‍্যাটেন্ট, সাইট হ‍্যাকিং ইত‍্যাদি অভিযোগ করে শেষে লেজ গুটালেন। এই ঘোলা পানিতে শাহ আসাদুজ্জামান, মু আ হাকিম নিউটন এবং জিয়া (শাব্দিক নামক আরেকটি সফটওয়‍্যারের সত্ত্বাধিকারি) আরেক প্রোপাগান্ডা করে যাচ্ছেন অভ্র নাকি মোটেই অনবদ‍্য নয়। এটি নাকি পুরোই আইডিয়া চোরের কাজ। কোনো ইনোভেশন নেই এতে। মেহেদী শাব্দিকের আইডিয়া মেরে দিয়ে সব করেছেন। মু আ হাকিম নিউটন এটিই প্রমান করতে চাচ্ছেন তার সাম্প্রতিক পোস্টগুলোতে। Click This Link

প্রশ্ন হচ্ছে এতোদিন কোথায় ছিলেন? লোভী, চোর, জোচ্চোর, ছ্যাচ্চোর, বাটপার হলে মেহেদী নির্বাচন কমিশন থেকে ৫০টা হাজার টাকা নিয়ে আসতে পারতোনা? কেউ কিছু কইতো? আপনাদের ভাষায় যার ইনোভেশন জানা নাই (আপনারাই সব ইনোভেশনের প‍্যাটেন্টেড ওউনার), সে কি করে লোভ সামলালো?

আপনাদের শাব্দিক তো আগে পয়সা দিয়ে কিনতে হতো। পরে বিনামূলে‍্যর করেছেন। আপনাদেরটির নাম কয়জন জানে? এই সেদিনের ছেলে সিউল রায়হানও নতুন একটি কীবোর্ড তৈরি করে সবাইকে আহ্বান করেছে সেটি পরীক্ষা করে দেখতে। আপনারা অন্তত তার দেখাদেখি ব্লগে একটা পোস্ট দিয়ে আহ্বান করতেন আপনাদের অ‍্যালগরিদম বিশ্বসেরা। সিউল তো দাবী করছে তার অ‍্যালগরিদম গুগলের চেয়েও ফাস্ট।

মূলকথা হচ্ছে আপনারা মুনাফালোভী। তাই আপনার বন্ধু শাহ আসাদুজ্জামান(সচলায়তনে ক্রমাগতভাবে অভব‍্যভাবে মন্তব‍্য রেখে ট্রল হিসেবে ব‍্যানড) এবং আপনি ভাবতেই পারছেন না অভ্র মুনাফা চায়না। অমিক্রনল‍্যাব একটি প্রতিষ্ঠান নয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংঘ মাত্র। অভ্র কখনোই দাম দিয়ে কাউকে কিনতে হয়নি এটি শুরু থেকেই ফ্রি ছিলো।

আপনার লেখায় শিফট কী দু'বার চাপার বিষয়টি ইনোভেশন উল্লেখ করেছেন কিন্তু ব‍্যাপারটি তো ৯৬/৯৭ সালেই উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের 'এক্সেসিবিলিটি' এর অন্তর্গত ছিলো স্টিকি কী এর আদলে। স্টিকি কী এর আইডিয়াটি শাব্দিক টীম তাহলে মেরে দেয়নি? স্টিকি কী এর সাথে এর কোলিশনও হবার কথা।

দুটো ফিচারের কথা বলেই কাগুর সাথে এক হয়ে অভ্রের উপর চেপে বসতে চাইছেন? এখন বলছেন ইউনিবিজয় বিজয়ের কপি। হ‍্যাঁ কপি এটি বিজয়ের ইউনিকোড রূপান্তর মাত্র। জব্বার কাগু তো ন‍্যাশনাল থেকে শুরু করে অন‍্যান‍্য সফটওয়‍্যারে যুক্ত সরাসরি 'বিজয়' নামের লেআউটের বিরুদ্ধে টু শব্দটি করেননি। কারণ তার ৫কোটি টাকা এবং সেই সাথে ভবিষ‍্যতের আয়ের সম্ভাবনা বন্ধ হবার খলনায়ক 'অভ্র'।

NJ বাটনটি জব্বার কাগু বলেছেন কোনো দরকার নেই বাংলাতে। কিন্তু ওটা নন-জয়েনার হওয়াতে অনেক সময়ই যুক্তাক্ষর দরকার নেই এমন ক্ষেত্রে ওটির দরকার। কাগু তো এমনকি ও-কার এবং ঔ-কার কেও বাংলায় অত‍্যন্ত অল্প ব‍্যবহৃত বলেছেন। কারণ???? কারণ হলো ইউনিজয়ে ওখানেই কিছু ইনোভেশন করা হয়েছে জনাব!!

এ-কার, ক এর বদলে ক, এ-কার = কে
এ-কার, ক, ও-কার এর বদলে ক, ও-কার = কো

অথচ জব্বার কাগু তা অস্বীকার করতে চাইছেন।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:২৭
৪১টি মন্তব্য ৩৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×