somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রেক্ষিত : মোস্তফা জব্বারের টুইটার, জিমেইল, ফেসবুক হ‍্যাক্ড : পর্যালোচনা > কার লাভ কার ক্ষতি?

০৬ ই মে, ২০১০ রাত ১:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মেসেজটি হলো U cant reset Password. Send a email for password. Also spread this news on Paper, TV,radio that ur facebook, gmail and Twitter ID hacked.

এটি মোস্তফা জব্বারের টুইটারে দেখা যাচ্ছে আজ সন্ধ‍্যা হতে। গতকাল আমি তার টুইটার নিয়ে পোস্ট দেবার ৫মিনিটের মাথায় ১৫ই ডিসেম্বরের পর নতুন টুইট আসে Account is Hacked.

সাধারণ অন্য যেকোনো সময় হলে আমার ওগুলো দেখার মতো কোনো রুচি বা সময় হতো না। কিন্তু একটা নৈতিক চাপ থেকে এ ব্যাপারটি এ মুহূর্তে উপেক্ষা করতে পারছিনা। সাদাচোখে ভেবে বলুন তো এখন মোস্তফা জব্বারের টুইটার, ফেসবুক, জিমেইল হ্যাক হলে কার বেশি লাভ? তার টুইটারে মাত্র ১৯টি টুইট আছে আর তার মধ্যে ২টিই হলো হ্যাকার(অথবা তথাকথিত হ্যাকারের*)

* [তথাকথিত কেনো বললাম তার ব্যাখ্যা প্রয়োজন তাইনা? একটু পরই দিচ্ছি।]
এটির বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করি।
এই মুহূর্তে অভ্রের সাথে সংহতিপূর্ণ কমিউনিটির বন্ধু কেউ কাগুর এই জিমেইল, ফেসবুক বা টুইটার হ‍্যাক করলেও টিভি রেডিওতে প্রচার করার কথা বলার কথা নয়। আর তা করলে কাগুর জন‍্যই সুবিধা। কারণ কাগুর ভূয়া অভিযোগ ছিলো অভ্র টীমের বিরুদ্ধে যে তারা হ‍্যাকার, পাইরেট, ইউএনডিপি এবং নির্বাচন কমিশন তাদের এই হ‍্যাকিংয়ে সহায়তা করেছে। তাই শুধু নয়, কাগু আরো এক ধাপ এগিয়ে বলেছে প্রায় সকল সরকারি ওয়েবসাইট হ‍্যাকিংয়ের মূল কারণ এই অভ্র ব‍্যবহার!

সুতরাং এই হ‍্যাকিং এই সময়ে উদ্দেশ‍্যপূর্ণ অ‍্যালিবাই হয়ে যাচ্ছে।

এই টুইটে সব জায়গায় প্রচারের কথাও বলা হচ্ছে।

এই প্রেক্ষিতে আরেকটি ঘটনার উল্লেখ করবো। যাতে বুঝতে পারেন কারো জিমেইল, টুইটার ইত্যাদি চাইবামাত্র হ্যাক করে ফেলা যায়না। যদি নির্দিষ্ট কিছু নিরাপত্তা টিপস মেনে চলা যায়। এই ব্লগের এই একজন রূপকার, অর্থাৎ ডেভেলপার সবার চেনা হাসিন হায়দার (যিনি সামুর ফোনেটিক'ও ডেভেলপ করেছেন)। তার টুইটার, জিমেইল, ইয়াহু, ওয়ার্ডপ্রেস এর ব্লগ, ফেসবুক ইত‍্যাদি সবকিছু হ‍্যাকড হয়ে যায়! সেদিন ছিলো তার জন্মদিন। আসলে কাহিনি ছিলো তারই সুযোগ‍্য ভাগ্নে ক'দিন আগে বেড়াতে গিয়েছিলো এবং মামাকে জন্মদিনের সারপ্রাইজ হিসেবে নিজের কারিশমা দিয়ে ভড়কে দেয়ার ইচ্ছাতে এই কাজ করা। তার ভাষ‍্যমতে জন্মদিনে তাকে কোনোভাবেই অনলাইনে কারো সাথে যোগাযোগ করতে দেবেনা ইত‍্যাদি.. যাহোক। কিভাবে সেটি করেছিলো? যেহেতু তার মামা নিজের ভাগিনাকে ব‍্যবহার করতে দিয়েছেন তেমন একটা নিরাপত্তার কথা ভাবেননি। (আপনারা ভুলেও এটি করবেন না! যেমন সেভ করে রাখা পাসওয়ার্ড, ডোন্ট ফরগেট অপশন সিলেক্ট করে রাখা!)। তো ভাগ্নে ওভাবেই হিন্ট পেয়ে গিয়ে তা থেকে অনুমান করে একটি পাসওয়ার্ড বের করে তা দিয়েই একে একে বাকীগুলো ব্রেক করে ফেলে(ফরগট পাসওয়ার্ড অপশন দিয়ে)। এটি কিন্তু মূলত হ‍্যাকিং এর পর্যায়ে পড়েই না। জন্মদিনের দিন ঘুম থেকে উঠে এই অবস্থা দেখে ত্রাহি অবস্থা!

জব্বার সাহেবের একাউন্টগুলো যদি হ‍্যাকড হয়ে থাকেও তবে তার কাছের কেউ করে থাকবে। আমার এবং আরো অনেকের কেনো যেনো সন্দেহ হচ্ছে, জব্বার সাহেব এবার আরেকটি দুর্বুদ্ধি এঁটে নিজেই প্রচার চাইছেন যে তার একাউন্টগুলোও হ‍্যাকড।

প্রথম থেকেই িতনি যা নয় তা বানিয়ে বানিয়ে তিলকে তাল করে যাচ্ছিলেন। এখন যদি সাথে যোগ করতে পারেন যে তার অ‍্যাকাউন্টও হ‍্যাকড তাহলে বলতে সুবিধে হবে যে: এটাও অভ্রেরই কাজ!

কারণ তিনি অভ্রের ডেভেলপারদের এবং ইউএনডিপি+নির্বাচন কমিশনকেও দোষী করেছেন এই বলে যে তারা হ‍্যাকিং ও পাইরেসিকে উৎসাহিত করছেন।
তিনি এও বলেছেন যে, অভ্রের মতো পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলেই দেশের সব সরকারি ওয়েবসাইটগুলো হ্যাকড হচ্ছে। হ্যাকাররা গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য পাইরেটেড সফটওয়্যার অভ্রের মাধ্যমেই পেয়ে যাচ্ছে

মূল কথাটি হচ্ছে তার নির্বাচন কমিশনে ৫কোটি টাকায় বিজয় বিক্রি করতে না পারার খলনায়ক অভ্রকে ধূলিস্যাৎ করতে চাইছেন যেনতেনপ্রকারেণ।

তবে, এই হ্যাকিং বা তার অ্যাকাউন্টগুলোর চুরি যদি সত্যিই অন্য কেউ করে থাকেন তবে তাদের বলবো অনতিবিলম্বে সেগুলো আসল মালিককে ফেরৎ দিতে। এটি কেবল গর্হিত অপরাধই নয়, সেই সাথে এটি অভ্র টিমের বিরুদ্ধে যাচ্ছে যখন তারা মোস্তফা জব্বারের আইনি মারপ্যাঁচের ধাক্কা সামলাচ্ছেন।

কেনো আমার এবং আরো অনেকের এই চুরি/হ্যাকিং'র কথা বিশ্বাস হচ্ছেনা? কারণ হলো হ্যাকার সরাসরি সব মিডিয়াতে প্রচার চাইছে। মোস্তফা জব্বারেরই তো তাতে লাভ!

পাঠক, আপনাদের মনের ভাবনাগুলোও তুলে ধরতে পারেন। আমি মোস্তফা জব্বারের ফেসবুক ফলো করিনা, তাই কেউ তার এই মুহূর্তের অবস্থা জানালেও খুশি হবো।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১২ সকাল ১১:১৭
২৯টি মন্তব্য ৩০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×