মেক আপের কল্যাণে আজকাল সব মেয়েকেই সুন্দর লাগে। আমরা ছেলেরা যারা সুন্দরের পূজারী, তারা আছি খুব বিপদে। যাকে দেখি তাকেই ভালো লাগে, তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে। ছোটবেলায় যে মেয়েটি কুচকুচে কালো ছিলো, সেও এখন ধবধবা ফর্সা হয়ে ভ্রু প্লাগ করে সেজেগুজে সামনে দিয়ে ঘুরে বেড়ায়। ক্যামনে কি ম্যান?
.
মুরুব্বিরা বলেন, বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়, মন দেখো। মন দেখতে হলে আগে বাহ্যিক সৌন্দর্য দেখেই তো এগোতে হবে। একটা মেয়েকে দেখে ভালো লাগলো, তো কাছে গিয়ে কথা বলতে হবে। এইক্ষেত্রে ছেলেকে বেহায়া হতে হবে। অপমান হওয়ার প্রস্তুতি নিয়েও হাসিমুখে এগিয়ে গিয়ে মেয়েটির সাথে কথা বলতে হবে। আর আমার মতো অতি ভদ্র যারা, তারা দূর থেকেই দেখে যাবে। দেখারাম দেখে যায়, খেলারাম খেলে যায়।
.
এরপর আছে ধর্ম-গোত্রের প্রবলেম। ধরুন, সব প্রতিবন্ধকতা জয় করে একটা মেয়ের সাথে কথা বললেন। তারপর আস্তে আস্তে মেয়েটাকে চিনলেন, জানলেন। কিছুদিন পর প্রেমও হয়ে গেলো। তারপরেও কি সেই মেয়েটিকে আপনি বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন? সেটা কি সেইফ?
.
বিয়ে করতে অনেক সাহস লাগে, লাগে রিস্ক নেওয়ার ক্ষমতা ও যোগ্যতা। তারপর একবার বিয়ে হয়ে গেলে শুরু হয় মানিয়ে নেওয়ার পালা। মানিয়ে নিতেই হবে। উপায় নাই আর। ঝগড়া হবে, মনোমালিন্য হবে। তবুও। বেশি খারাপ পর্যায়ে গেলে যখন একেবারেই মানিয়ে নেওয়া যাবে না, এক ছাদের নিচে কিছুতেই যখন আর থাকা যাবে না, তখন নিতে হবে ডিভোর্স। তারপর আবার মেয়ে দেখা, আবার প্রেম, আবার বিয়ে! এ যেন বায়োলজি বইয়ের আদলে এক চক্র-- মিলনের জীবনচক্র!
.
বিয়ে করার বয়স এলে বোঝা যায় বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া কতটা কঠিন। বিশ্বাস করি জন্ম মৃত্যু বিয়ে আল্লাহর হাতে। আগের প্রেম থাকলে সুবিধা হয় এইক্ষেত্রে, নতুন করে আর হয়রান হতে হয় না। পড়ুয়া আর সংগ্রামী ছেলেদের জন্য সমস্যা এখানেই। জীবন গুছাতে গিয়ে বিয়ের জন্য মেয়ে গুছানোই হয়ে ওঠেনা। তাই বিয়ে করতে হলে জেনে বুঝে সময় নিয়ে করতে হবে। এটা একটা অনেক বড় সিদ্ধান্ত। বুঝলেন?
.
অনেকে বলেন, বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হবে আগে। তারপর কয়েকটা দেখে হুট করে মেয়ে পছন্দ করে বিয়ে করে ফেলতে হবে। বাকিটা ঐ যে, মানিয়ে নেওয়ার উপর! আমি এটা মানতে পারি না। এটা কি এতোই সহজ যে পকেটে টাকা নিয়ে শপিং মলে গেলাম আর কয়েক দোকান ঘুরে নিয়ে এলাম একটা?
.
অভিজ্ঞদের মতামত চাই