নতুন পাসপোর্ট করতে গিয়ে জানলাম আগেরটায় ধর্ম লেখা ছিলো 'ইসলাম'। মনে হচ্ছে ইমিগ্রেশনে ধর্মান্তরিত হয়েছি ভেবে অফিসিয়াল পাসপোর্ট দেখেও এতোদিন বেশি হয়রানি করেছে! এই 'ভুল'-এর দায় কার?
২০১৭ সালে যখন পাসপোর্ট করি, তখন ফরিদপুর আঞ্চলিক অফিসের দায়িত্বে ছিলেন মো: আজমল কবির। তাঁকে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছেন মানিক দেবনাথ দাদা, যিনি আমাদের জগন্নাথ হলের। তাঁরা আমার সব জেনেও কেন এই ভুলটা শুধরাননি? দালালের দৌরাত্ম্য ও হয়রানির প্রতিবাদ করেছিলাম, তাই?
পাসপোর্টে ধর্ম পরিচয় লেখা থাকে না। মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ নতুন করে করতে গেলাম। তখন এটা ধরা পড়লো, কারণ এখন অনলাইনে নিজে হাতে পূরণ করেছি। তাই এবার সেখানে লেখা হিন্দু। অথচ আগেরটা পাসপোর্ট অফিস পূরণ করেছে, তারাই ইসলাম লিখে রাখছে। আগে নিজে ধর্ম ইনপুট দেওয়ার সুযোগ ছিলো না।
আমার মনে হয় এটা ইচ্ছাকৃত ভুল। তাদের অফিসের দুর্নীতি ও দালালচক্রের বিরুদ্ধে লিখেছিলাম, তাই এমনটা করেছে তারা। আজ ওদের সার্ভারেই দেখলাম আগেরটায় ধর্ম ইসলাম দেখাচ্ছে। তার মানে আমার পাসপোর্টে লেখা না থাকলেও এটা স্ক্যান করলেই ইমিগ্রেশনে তারা জেনে গেছে আমার ধর্ম কী। তারপর যা হওয়ার হয়েছে।
ইচ্ছা করেই এসব ভুল করে যাতে এই ভুল শুধরাতে আবার যেতে হয়। কাউকে করে শত্রুতা করে হয়রানি করতে আবার কাউকে করে টাকা খাওয়ার আশায়। এই কাজটা সরকারের প্রায় সব দপ্তরেই করে। এজন্যই কম্পিউটার অপারেটর পদে মাস্টার রোলেও যেতে অনেক ঘুষ দিয়ে অনেকে ঢোকে। দেব দুলাল গুহ
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৪০