নিজের ক্যাম্পাসে দ্রুত হাঁটার সময় ওড়নাটা একটু সরে যাওয়ার অপরাধে ছাত্রীকে ওড়না ঠিক করতে বলার কথা নিজেই স্বীকার করলো ঢাবির এই কর্মচারী! স্বীকার করলো পরিচয় জানতে চাইলে ভূয়া পরিচয় দিয়েছে! রোজা রেখে মিথ্যা বললে রোজা কি হালকা হয়ে যায় না? আরে মিয়া আগে নিজের আমল ঠিক করো, তারপর অন্যকে ছবক দাও। মামলা খেয়ে জেলে গিয়ে এমনভাবে কথা বলছে এখন, যেন ভাজা মাছটা উলটে খেতে জানে না!
একজন ছাত্রী দুপুরবেলা নিজের ক্যাম্পাসে সালোয়ার-কামিজ পরে হাঁটছিলো, ওড়নাটা কিছুটা সরে গিয়েছিলো হয়তো। যেতেই পারে, হাঁটতে গেলে কিছুটা সরে যেতেই পারে। এটা ইচ্ছাকৃত নয়। ওড়না ছাড়া ফতুয়া বা টিশার্ট পরে হাঁটাও অপরাধ নয়। সেখানে এই মেয়েটি ভদ্র মার্জিত পোশাকই পরেছিলো। তবুও তুমি তাকে হ্যারাজ করেছো। তুমি তাকে ওড়না ঠিক করতে বলা মানে তাকে লজ্জা দেওয়া, হ্যানস্তা করা। তুমি যে গেঞ্জি-প্যান্ট পরো, প্যান্টটা ফুলে থাকলে কি কোনো মেয়ে বলে "ভাইয়া, প্যান্টে ওড়না লাগান"? এটা কি সভ্য সমাজে বলা যায়? তোমার নিজের বোনই তো ওড়না গলায় পরে, বুক পুরোপুরি ঢাকে না! তাকে কি তুমি শাসন করো? (ছবি কমেন্টে)
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েরা মাদ্রাসায় পড়ে না যে তাদেরকে সারাক্ষণ বোরকা পরে চলতে হবে। তারা ইচ্ছা হলে সালোয়ার-কামিজ পরবে, ইচ্ছা হলে শাড়ি পরবে, ইচ্ছা হলে ওয়েস্টার্ন ড্রেসও পরবে। আবার কারো ইচ্ছা হলে বোরকাও পরবে। তুমি সামান্য এক কর্মচারী হয়ে বলে দিতে পারো না কে কি পোশাক পরবে। বিশ্ববিদ্যালয় তোমাকে এ দায়িত্ব দেয় নাই। তুমি লাইব্রেরিতে কাজ করো, সে কাজটাই মন দিয়ে করা উচিত ছিলো। অথচ মনে হচ্ছে তুমি সেখানেও মেয়েদের দিকে কুদৃষ্টি দাও, এভাবে হ্যারাজ করো!
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, চেন্নাইয়ের সেই মেয়েটির বোরকা পরার স্বাধীনতা চেয়ে আন্দোলনের মতো এবার বোরকা না পরার স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন আসন্ন। আজ সালোয়ার-কামিজে অশালীনতা পেয়েছে, কাল শাড়িতেও যে পাবে না, তার কি গ্যারান্টি?
বিস্তারিত: https://www.facebook.com/share/v/156iDzAggo/
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই মার্চ, ২০২৫ ভোর ৪:৩৮