এক নাপিত থানায় গেছে চুরি হওয়া 'কাচড়ে কা ডিব্বা' (ডাস্টবিন) খুঁজতে। এজন্য সে নাকি ৭ লাখ রুপি পর্যন্ত ঘুষ দিতেও প্রস্তুত! শুনে প্রথমে পাগল ভেবে পাত্তা না দিলেও একটা সামান্য ৫০০-৬০০ রুপির ডাস্টবিনের জন্য ঘুষের অ্যামাউন্ট শুনে অনেক হয়রানি করিয়েও FIR না নিয়ে পুলিশ CSR নিতে রাজি হয়। শুরুতে ছবি দেখে ঐ রকম একটা ডাস্টবিন বানিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করলেও ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসে এক গোপন কাহিনী, যা শুনতে কেউ কখনও প্রস্তুত থাকে না।
হারানো 'কাচড়ে কা ডিব্বা' খুঁজতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, আসলে এটা শুধু এক সামান্য ডাস্টবিন চুরির কেস না, এটা একটা রেইপ কেস। আসলে চোররা উক্ত নাপিতের বাড়িতে গিয়ে নাপিতের উপরের রাগ ঝেড়েছে তার মেয়ের উপর! চোরের সর্দার ভেবেছিলো নাপিতের কারণেই সে ১৫ বছর জেলে থেকেছে। কোনোমতে মেয়েটিকে বাঁচিয়ে রাখলেও, প্রতিশোধকামী চোর কি ভুলেও ভেবেছিলো মেয়েটি আসলে তারই? মোটেও না। জানলে সে এই কাজ করতে দিতো না।
না দিলেই বা কি? মেয়েটি যদি জানতো তার বাবা এতটা নরাধম, তাহলে কি সে তার সাথে যেত? যেত না। পুলিশই আসামীদের খুঁজে এনে নাপিতকে রিভেঞ্জ নিতে হেল্প করে। কেননা তাদের সবার ঘরেই মেয়ে আছে। এমন অপরাধীর নি:শ্বাস নেওয়া মানে ঘরেও কেউই নিরাপদ নয়। চোরের সাগরেদদের উচিত শিক্ষা দিলেও, চোরের সর্দার সব বুঝতে পেরে নিজেই নিজেকে শেষ করে দেয়। আর এভাবেই দু:খভরা একটা ছবি শেষ হয়।
আজকের এই দিনে নারী দিবসে সবাইকে ছবিটি দেখার অনুরোধ করছি। বিজয় সেতুপতি আর অনুরাগ কাশ্যপের অনবদ্য অভিনয় ছবিটিকে মাস্টারপিস করে তুলেছে। গল্প তো অতুলনীয়, মেকিংও অসাধারণ। দেব দুলাল গুহ।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৫