
আজ দুইবার ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাকের পরেও তামিম বেঁচে আছেন যে হাসপাতালের ডাক্তার-স্টাফদের কারণে, সেটি গাজীপুরের একটি বিশেষায়িত হাসপাতাল, যা শেখ হাসিনার মায়ের নামে। তামিমের এতটাই খারাপ অবস্থা ছিলো যে, তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স তথা হেলিকপ্টারে নেওয়ার অবস্থাও ছিলো না। সেই অবস্থায় প্রথমে বিকেএসপির মেডিক্যাল সেন্টারে, তারপর অবস্থার আরও অবণতি হলে এই স্পেশালাইজড হাসপাতালে নেয়া হয়। দেশের সেরা ডাক্তাররা যুক্ত হন এবং হার্টের ১০০% ব্লকেজ কাটিয়ে বাইপাস সার্জারি করে তাকে নতুন জীবন দান করেন।
যারা বিনা চিকিৎসায় স্বজন হারিয়েছেন, তারা বুঝবেন এমন একটি হাসপাতাল কতটা প্রয়োজন। এর নির্মাণ খরচ সবটাই আমাদের সরকারের, মালয়েশিয়ারও সাপোর্ট আছে। কিন্তু এই ব্যবস্থাপনার সাপোর্ট আনতে পারাটাও একটা চ্যালেঞ্জ। কাজেই, এর পেছনে যারা জড়িত, সবাই এর জন্য ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য। এমনকি নানা অপরাধের অভিযোগ থাকা শেখ হাসিনাও যেটুকু করেছেন তার ক্রেডিট পাওয়ার যোগ্য।
তামিমের বেলায় যেভাবে VVIP সাপোর্ট দেওয়া হলো, এটা কি অন্য সব খেলোয়াড় পাবে? আমার মনে হয় না। তিনি আমাদের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন, এজন্য তিনি স্পেশাল কেয়ার পেতেই পারেন। কিন্তু এটাও অস্বীকার করা যাবে না যে বিসিবির প্রেসিডেন্ট তার চাচা, আপন ছোটভাই নাফিস ইকবালসহ সব মিলিয়ে ৫ জনই আছেন বিসিবির কর্তা ও খেলোয়াড়। তাছাড়া তামিম ইকবাল মূলত বিএনপিঘেঁষা পরিবারের, এই জুলাই আন্দোলনের সমর্থক সেলিব্রিটি। সুতরাং তিনি সবার চেয়ে উঁচু মানের চিকিৎসা পাবেন এটাই স্বাভাবিক। তবুও আজ এই হাসপাতালটি এখানে না থাকলে হয়তো আজ তামিমের জানাজা পড়তে হতো! দেব দুলাল গুহ।
প্রায় ১১ বছর আগে মালয়েশীয় প্রতিষ্ঠান কেপিজের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের যৌথ উদ্যোগে এ হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়।
এর নামকরণ হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের নামে।
বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে নির্মিত আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত এ হাসপাতালের সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে মালয়েশিয়ার বিখ্যাত সেবা সংস্থা কামপুলান পেরুতান জহর (কেপিজে)।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০২৫ রাত ৮:৫৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




