
ছবিতে দেখছেন, আমেরিকার নিউইয়র্কে গিয়ে বিদেশী মুরুব্বি নারীর সাথে হাত মেলাননি এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। এটা দেখে যারা বাহবা দিচ্ছেন, তারা আসলে ইসলাম কতটা জানেন?
.
পরনারীর সাথে হাত না মেলানো ইসলাম ধর্ম মতে ঠিক আছে। তবে তাসনিম জারাও যেহেতু পরনারী, অন্যের স্ত্রী এবং তিনি যেহেতু বেপর্দা চলাফেরা করেন, তাই তাঁকে সাথে নিয়ে ইসলাম ধর্ম মতে একসাথে চলাফেরা করা যায় না।
.
আবার ইউনূস স্যার যেহেতু সুদের ব্যবসার সাথে জড়িত, শুধু এই কারণেই তাঁর সাথে উঠবস করা, একইসাথে খাওয়া-দাওয়া করাটাও ইসলাম ধর্ম মতে মেনে নেয়া যায় না।
.
আবার দেখুন, ঐ বিদেশী নারীও পরনারী। তিনিও বেপর্দা ছিলেন এবং ঐ নারীর সাথে হাত না মিলিয়ে আখতার তাঁর সামনে হাতজোড় করে মাথা নত করেছেন, যা ইসলাম ধর্ম মতে ঠিক নয়। ইসলাম বলে একমাত্র মহান আল্লাহ ছাড়া আর কারো সামনে মাথা নত করা যাবে না।
.
সুতরাং, এক কথা বলা যায় আখতার হোসেন সঠিক ধর্ম পালন করেন না। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, তিনি একই সময়ে ধর্ম নিয়ে ত্রিমুখী নীতি প্রকাশ করেছেন। আসলে অন্য সকল রাজনীতিবিদের মত তিনিও এই বয়সেই ভণ্ডামি শিখে গেছেন। শিখবেনই বা না কেন? তাদের সকলের গুরু যে ঐ পথ হারানো নষ্টকবি ও দুষ্টচিন্তক ফ্রড মজার!
.
আচ্ছা, জুলাই আন্দোলনের সময় আখতার কোথায় ছিলেন? অল্পবয়েসি মেয়েদের সাথে গা ঘেষাঘেষি করে আন্দোলন করেন নাই? করেছেন। তাহলে এখন বিদেশী মায়ের বয়সী নারীর সাথে হাত মেলাতে কীসের এত সমস্যা?
.
এই ছবিটি বিশ্বের কাছে কী বার্তা দেবে? বার্তা দেবে যে একজন নোবেল জয়ী বাংলাদেশের দায়িত্বে আছেন, যিনি নারীদের সাথে হাত মেলালেও, তাঁর নিয়োগকর্তারা মোটেও প্রগতিশীল নন। কেবল এই বার্তাটাই বাংলাদেশে বিদেশী অনুদান, ইনভেস্টমেন্ট ও পর্যটকে ক্ষরা আনলো বলে। প্রস্তুত হোন!
দেব দুলাল গুহ -- দেবু ফরিদী
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১:০৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


