somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

নির্বাক স্বপ্ন
চিন্তা প্রসবের বেদনা মগজব্যাপী স্থায়ী হওয়ার আগেই কলম ধরতে হতো। মাথার মধ্যে জমে থাকা ভয়ংকর সব চিন্তাগুলোকে পরিণতি দেয়া মত শব্দ কোনো কালেই ছিল না।তারপরও সেই সব গল্প লেখতেই হতো,যেগুলো লেখার পর শান্তিতে ঘুমানো যায়।

রবীন্দ্র সাহিত্যে নারী চরিত্র

০৫ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

'গান্ধারীর আবেদন'য়ে দুর্যোধন বলেছে,'সুখ চাহি নাই মহারাজ/জয়!জয় চেয়েছিনু,জয়ী আমি আজ।/ক্ষুদ্র সুখে ভরে নাকো ক্ষত্রিয়ের ক্ষুদা'।কিন্তু এই খিদেটা কারো ছিল আসলে?শুধুই দুর্যোধনের?যুধিষ্ঠিরের ছিল না খিদে?অর্জুনের ছিল না খিদে?দ্রৌপদীর ছিল না খিদে?সর্বোপরি রবীন্দ্রনাথের জয়ের খিদে ছিল না?

রাক্ষুসে খিদেটা বুঝি রবীন্দ্রনাথেরই সবচে বেশি ছিল।তিনি তো কুমু কে মুক্তি দিতে পারতেন।লড়াইয়ের পথটা খোলা রাখতে পারতেন। রাখেন নি।তিনি সমাজের আয়না ছিলেন,আর সময়ের আয়নাও।সে কারণেই কি জিতিয়ে দিয়েছিলেন সেই সময়ের পুরুষতান্ত্রিক আর পিতৃতান্ত্রিকতা কে?সে কারণেই কি হেরে গেল বিপ্রদাস?বিপ্রদাসের আদরের বোন কুমু?অন্যদিকে বিনোদিনী কি জিতেছিলেন?আসলেই?সত্যিই কি জিতেছিল বিনোদিনী ?এমন জয় কি বিনোদিনী সত্যিই চেয়েছিল?

রবীন্দ্রনাথ যতোটা সময়ের,যতোটা স্থানের,যতোটা সমাজের তিনি ততোটা কি নারীর?ততোটা নারী কি তিনি ছিলেন?কেন পোস্টমাস্টার, রতন কে নিয়ে ফিরলেন না?সুভাকে বা কেন মরতে হলো?প্রতাপ কেন তাকে সঙ্গী করলো না?চন্দরা ই বা কেন এতোটা অভিমান করলো ছিদামের উপর?নাকি অভিমানটা ছিল পুরো ব্যবস্থাটার উপর।সেই ব্যবস্থার উপর,যেই ব্যবস্থাটা বেটা ছেলেরা নিজের মর্জি মতন চালায়।অপু কেন নির্জীব রইল?যতীন লাল ই বা কেন পালিয়ে গেল?রবীন্দ্রনাথ কেন সবাই কে মহামায়া বানালেন না?কেন গিরিবালা আর মৃণাল বানালেন না?

তিনি যুদ্ধটা দিলেন,লড়াই টা দিলেন।কিন্তু জয়টা নয়।মুক্তিটা নয়।কেন?তার কি সেই শক্তি ছিল না?অব্যশই রবীন্দ্রনাথের সে শক্তি ছিল।তার সার্মথ্য ছিল সমাজের সাথে লড়াইয়ের।এবং সেই লড়াই তে তিনিই জিততেন।

কিন্তু তিনি লড়েন নি, কারণ তিনি চেয়েছিলেন মেয়েমানুষেরা নিজেদের লড়াইটা নিজেরাই লড়ুক।নিজের ইচ্ছেতে তারা প্রকাশ হোক।ফুল ফুটাক।গন্ধ ছড়াক।চারুকে কেন অপেক্ষা করতে হবে ভূপতির 'চলো,চারু,আমার সঙ্গেই চলো।' বলার?তার আগেই চারুলতা কেন সাহস পেলো না ভূপতিকে সবকিছু নতুন করে শুরু করতে কথা বলার?কারণ রবীন্দ্রনাথ না ছিল অমল,না ভূপতি,না চারুলতা।

তবে চারুলতার প্রতি রবীন্দ্রনাথের পক্ষপাতিতা ছিল,ছিল ভালোবাসা।আর একধরনের সহমর্মিতা।সে কারণেই তিনি চারুলতাকে স্বাধীনতা দিয়েছেন ডিসিশন নেয়ার।শূন্যতা আর বিরহ টা ছিল চারুলতার একান্তই নিজস্ব সিদ্ধান্ত।এখানে ভূপতির বলার কিছু ছিল না,বলার থাকতে পারে না।এখানে রবীন্দ্রনাথেরও বলার কিছু থাকতে পারে না।জীবনটা চারুলতার।আর লড়াইটাও।

পুনশ্চ-রক্ত করবীতে অধ্যাপক নন্দিনী বলছেন,'সুন্দরী,তুমি যে-সোনা সে তো ধুলোর নয়, সে-যে আলোর।/দরকারের বাঁধনে তাকে কে বাঁধবে।'
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৯
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×