প্রথম কথা,
মালালা যা করেছেন, সেটা তার ছোট্ট একটা এলাকায় করেছেন। ব্লগে লিখে বিবিসি কে জানানোর সুবিধা পেয়েছন যেখানে স্কুলে যাওয়ার সুবিধাই নাই। তাজ্জব ব্যপার! কিভাবে হইলো এতকিছু, সেইটা জানিনা। কিন্তু এইরকম হাজার হাজার মানুষ আছেন যারা এর চেয়েও বেশী করছেন, প্রান দিচ্ছেন। সামাজিক কাজ করছেন কিন্তু তাকে কেউ চেনেনা এমন মানুষও আছেন। আমার কথা হল তাহলে সবাইকে দেয়া হোক শান্তি পুরস্কার!
তার এই ঘটনায় কই শান্তি আসছে সেইটা দেখতে চাই। শান্তি না আসলেও ওইরকম অবস্থা হইসে, সেইটা দেখতে চাই। আর মালালাকে যদি শান্তি পুরষ্কার দিতেই হয় তাহলে ফিলিস্তিনিদের আগে দেয়া উচিত। ওইখানে পলিটিক্সের বাইরে অনেক মানুষ আছে যারা মালালার চেয়ে খারাপ অবস্থায় সুখ শান্তি আনতে কাজ করছে। কিন্তু মিডিয়ার কারনে তারা দুনিয়াকে জানতে পারছেনা।
দ্বিতীয় কথা,
সর্বশেষ পাওয়া ১২টা শান্তি পুরস্কারের ৫টাই মুসলমান ব্যক্তির পাওয়া। বিষয়টা হল, সারা দুনিয়াকে জানানো আছে, মুসলমান মানেই সন্ত্রাসী, শান্তির বিরুদ্ধ একটা শক্তি। তাহলে তাদের প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে পরিচালিত হয়ে এইসব মুসলিম ব্যক্তি কিভাবে নোবেল পায়? যদি এতে ওইসব প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে নোবেল পায় মুসলমানরা তাহলে মুসলমানদের সন্ত্রাসী জাতি বলা যাবেনা। আর যদি এটা বলতে না পারে,তাহলে বুঝতে হবে নোবেল পুরস্কার কমিটি হইলো "সুবিধাবাদি"।
নোবেল পুরস্কার একটা সম্মান। দুনিয়া আজকেও নোবেল পাওয়া ব্যক্তিদের মনে রাখে। বিজ্ঞানী নোবেলের উইল ছিলো এমন, " to those who, during the preceding year, shall have conferred the greatest benefit on mankind." আমার মনে হয় নোবেল প্রাইজ কমিটি এইটার অর্থ বুঝেনা মাঝে মাঝে। নাইলে ওবামা, ইয়াসির আরাফাত, আল গোর তারপরে সবশেষে মালালা....কিভাবে নোবেল পায়।
বাংলাদেশী তো আমি, তাই একটা আবদার করতে চাই নোবেল প্রাইজ কমিটির কাছে। আমি চাই, আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রীকেও একটা নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হোক। তিনি অনেক ডক্টরেট ডিগ্রি পেয়ছেন, এইটাই বাকি আছে,পাইলে তার আশাটা পুরন হবে। আর কিছু না হোক, ইউনুস সাহেবকে ভাল মত গালমন্দ করতে পারবেন তিনি। কেউ পারলে আমার এই ইচ্ছার কথা নোবেল কমিটিকে জানাবেন প্লিজ।