somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি অনেক পুরানো ছড়া!! মনে পড়লো, তাই..... - একটি স্মৃতিচারণামূলক পোষ্ট। :P ;) :-/ :-/

১০ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গত কয়েকদিন যাবত আমার একটি অনেক পুরানো ছড়া মনে পড়ছে। ছড়াটি ছোটবেলায় আমার খুব প্রিয় ছিল। কারণও আছে। সব কথাই বলছি।




ছড়াটির কথা আমি একপ্রকার ভুলেই গিয়েছিলাম। তবে, গত কয়েকদিন আগে এই ব্লগেরই একজন ব্লগার ছড়াটির একটি লাইন একটু অন্যরকম করে বলেছিলেন। শুধুমাত্র একটি শব্দ পাল্টে বলেছিলেন। শুনে খুব মজা পেয়েছিলাম। সেই সাথে ছড়াটিও অনেকদিন পরে আবার মনে পড়লো।


ছড়াটি আমি সর্বপ্রথম শুনেছিলাম আমার বড় বোনের কাছে। আমরা তিন ভাই-বোন। আমার বোন দুইজন এবং যথারীতি আমি একা একমাত্র আদরের ভাই। এবং উভয় বোনই আমার চাইতে বড়।


ছড়াটি ওদের কাছেই শুনতাম। ছড়াটির প্রতি আমার আকর্ষণ সৃষ্টি হয়েছিল কয়েকটি কারণে। স্বাভাবিকভাবেই ছোট ছোট ছেলেপুলেদের, যারা ছোট জন্য লিখতে-পড়তে জানে না, এই সকল ক্ষেত্রে তাদের আকর্ষণের কারণ হয়ে থাকে ছড়া কিংবা গল্পের সাথে যে ছবিগুলো দেয়া থাকে, সেগুলো। অথবা চরিত্রের নাম। আমার ক্ষেত্রে কার্যকর ছিলো ছবি। ছড়ার সাথের সেই ছবিটি(একজন লোক কাত হয়ে মাটিতে পড়ে চিল্লাচ্ছে। আর তার নাকের ওপর একটি উঁইপোকা বসে আছে।) দেখার পর থেকেই এই ছড়াটির প্রতি আমার টান। অনেক ছোট ছিলাম জন্য আমিও পড়তে কিংবা লিখতে জানতাম না। কাজেই, আমার প্রিয় বোনদ্বয়কে বলতাম, ছড়াটি আমাকে পড়ে শোনাতে। ওরাও শোনাত। আস্তে আস্তে যখন ছড়ার কথাগুলোর মানে ওদেরকে জিজ্ঞাসা করতাম এবং ওরা বুঝিয়ে বলত, তখন সোজাসুজি ছড়াটির ওপরই আমার আকর্ষণ আরও বেড়ে গেলো। ওরাও আমাকে ছড়াটি শোনাতে খুব মজা পেত। ওরা দুইজনই এই ছড়াটি খুব সম্ভবতঃ প্রথম শ্রেণীতে থাকতে পড়েছিল। শুনতে শুনতে ছড়াটি আমার মুখস্ত হয়ে গিয়েছিল।

পরে পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন আনার জন্যেই সম্ভবতঃ ছড়াটি বাদ পড়ে যায়। অথবা থাকতেও পারে। আমি নিশ্চিত না।

যাই হোক, ছড়াটি এখন বলি??? ছড়ার নামটা সঠিক মনে পড়ছে না। তবুও যেটা মনে হচ্ছে, সেটাই লিখে দিলাম।




বড়াই
===========

লোকটা শুধু করত বড়াই,
দেখে নিতাম লাগলে লড়াই।
উঁইঢিবিতে মারত ঘুসি,
চোখ পাকিয়ে জোরসে ঠুসি।

বাহু ঠুকে ফুলিয়ে ছাতি,
বলত আসুক, বাঘ কি হাতি।
আমি কি আর কারেও ডরাই?
ভাঙতে পারি লোহার কড়াই।
শুনে সবে কাঁপত ডরে,
খিল লাগিয়ে থাকত ঘরে।

একদিন এক ভোরের বেলায়,
বেবাক লোকের ঘুম ভেঙে যায়।
ঘর ছেড়ে সব বাইরে এসে,
বাড়িয়ে গলা, দেখলো সবে।
ঢিবির পাশে, বাঁধের গোড়ায়,
লোকটা কেবল গড়িয়ে বেড়ায়।

ব্যাপার কি ভাই, ব্যাপার কি ভাই,
ফিসফিসিয়ে, বললো সবাই।
লোকটা তখন, চেঁচিয়ে জানায়,
উঁই ধরেছে, নাকের ডগায়!!!


=p~ =p~ =p~ =p~ :-B :-B :-B :-B

ছড়াটি পড়ে সবার কাছে হাস্যকর মনে না-ও হতে পারে। কিন্তু আমার ছোটবেলায় এটিই ছিলো আমার কাছে অতি মজাদার একটি ছড়া।



এবং, "নীল-দর্পণ" নামের এই ব্লগের একজন ব্লগার কিছুদিন আগে কথাপ্রসঙ্গে "ভাঙতে পারি লোহার কড়াই" এই লাইনটি বলেছিলেন। তবে সামান্য পরিবর্তন ঘটিয়ে। উনি বলেছিলেন, "ভাঙতে পারি মাটির(!) কড়াই"!! শুনে আমি অনেকটা "হা হা প গে"।

যাই হোক, উনার বলা ছড়াটির রিমিক্স(!) লাইনটি শুনে এই ছড়াটির কথা আমার আবার মনে পড়ে গিয়েছিল। তাই ভাবলাম, আমার মনের কথাগুলো আপনাদের সাথে একটু শেয়ার করি। :) :)


কষ্ট করে এই বিরক্তিকর পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

বিঃদ্রঃ ছড়াটির কথাগুলোতে আমি ভুল করে ভুল কিছু লিখতে পারি। কারণ, ছড়াটি খাঁটিভাবে আমার মনে পড়ছে না। যতটুকু মনে আছে, ততটুকু সঠিকভাবে লেখার চেষ্টা করেছি। ভুল করে থাকলে আগেই ক্ষমাপ্রার্থী। :)


সবাই সবসময় ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। :) :)
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৪৮
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×