somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শিরোনাম কি জানিনা।তবে এ পোস্টটি আমার মনের ভাবনা

০৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ২:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মানুষের পালস বুঝার জন্য সক্রিয় মস্তিক লাগে। লাগে সচল অনুভুতি।
এদের মস্তিকতো নিস্ক্রিয় হয়ে গেছে। আর অনুভুতি পুরা ভোতা হয়ে আছে।
এই নিস্ক্রিয় মস্তিক আর ভোঁদা অনুভুতি দিয়ে নির্ণয় করবে এরা মানুষের পালস। যাচাই করবে দৃষ্টিভঙ্গি।
হাসালেন ভাই । বড্ড হাসালেন।

শুনেছি,পানি,ইনজেকশন বা ঔষধ দিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলা মানুষকে সুস্থ করতে না পারলে নাকের সামনে দুর্গন্ধযুক্ত জুতা রেখে দেওয়া হয়। গন্ধের প্রভাবে অজ্ঞান মানুষ পুরা সুস্থ। আগেকার দিনে নাকি এ পন্থাই অবলম্বন করতো লোকেরা।

সেনাবাহিনীতে ট্রেনিং নেওয়ার সময় অতিরিক্ত বা সহ্যের সীমা অতিক্রম পরিশ্রমের কারনে নাকি অনেক নবাগত প্রশিক্ষনার্থীরা প্রায়শয় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে বা হাফিয়ে যায়। এসব নবাগত প্রশিক্ষনার্থীদের জ্ঞান ফেরানোর জন্য প্রশিক্ষকরা তাদের পাছায় কইষা লাথি মারে কয়েকটা। লাথির প্রভাবে বুটের আঘাতে অজ্ঞান মানুষ শোয়া থেকে উঠে বসে। হাফিয়ে যাওয়া ল্যাংড়া কুত্তার মত দৌড়ানো প্রশিক্ষণার্থীরা এমন জোরে দৌড়াতে থাকে যে,আরবী ঘোড়া কখনো হতভম্ব হয়ে যায়।

বর্তমান লীগের কপালে মনে হয় এই দুর্গন্ধযুক্ত জুতাই আছে। যদি সেটা কাজে না আসে তাহলে প্রশিক্ষণার্থীদের মত গোয়ায় অসংখ্যা লাথি জুটবে তাদের। কি দরকার ছিল এমন সাজানো নির্বাচনের। এমনিতেই তাদের জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী। তার ওপর কাদের মোল্লার ফাসির পর সেই জনপ্রিয়তা ছাড়িয়ে গেছে অনেকখানি। বিরোধীদের কথামত নির্বাচন দিলে ভোট নিশ্চিত নৌকা মার্কায় পড়তো। তা নাহয়ে হলো কি,প্রহসনের নির্বাচন। স্মরণীয় কলংকময় একটা দিন। জন্ম নিলো অবৈধ সরকার। সন্দেহের তালিকায় পড়ে গেল গণতন্ত্রের মানসকন্যা। মনের কোনে উকি দিতে লাগলো লেন্দুপ দর্জির কথা। যার প্রভাবে সিচকে পড়তে হবে অনেক দুর।

বেশীনা ঢাকার কথাই বলি। ৬ আসনে ২,৪৮,১২৬জনের বিপরীতে যখন ১,৯২,০০০ জন ভোটারেরা ভোট দান থেকে বিরত থাকে,তখন বুঝা যায় সরকারের জনপ্রিয়তা কেমন? ৭আসনে ৩লাখ ৮হাজার ২৬৫জনের বিপরীতে ২,৩৫,০০০ মানুষেরা ভোটের দিন ঘরে বসে সময় কাটায়,তখন বুঝা যায়, মানুষ তাদের কতটা ঘৃনা করে। ১৬ আসনে ৩,৪২,৩৬৬ জনের বিপরীতে ২,৮১,০০০ ভোটেরা উদ্বেগ প্রকাশ করে, তখন এ ধারনা নিশ্চিত হয় যে,এ নির্বাচনে জনতার সমর্থন নাই। ৫আসনে ৪লাখ ১০হাজার ২৮৫ জনের বিপরীতে যদি "না ভোট" অধিকার থাকত,তাহলে এই ৩ লাখ মানুষেরা নীরবে ঘৃনা প্রকাশ করে দিত।


"প্রিয় দেশবাসী,
আমি একজন বাংলাদেশী। আমি আমার দেশকে ভালবাসি। আমার সুস্থমস্তিক ও স্থিরজ্ঞান অনুসারে আপ্রান চেষ্টা করেছিলাম দেশকে ভাল কিছু দেওয়ার। দেশের উন্নতি করার। হয়তোবা আমার কিছু ভুল ছিল বা নিজের অজান্তে দ্রুটি রয়ে গেছে। আমি এতদিন জানতাম,আমি সঠিক পরামর্শ পাচ্ছি। যা কিছু করছি সঠিক করছি। কিন্তু আমার সকল ধারনাকে ভন্ডুল করে বিশ্বাসকে ভেঙ্গে দিয়ে যখন দেশের ৭৫% মানুষেরা ভোট দান থেকে বিরত থাকলো, তখন বুঝতে পারলাম, আমি কত বড় ভুল করেছি। আমার সিদ্ধান্তগুলো কতটা আত্মঘাতী ছিল।

মানুষ মাত্রই ভুল করে। আমিও এর ঊর্ধ্বে নই। ভুলটাকে ভুল হিসেবে দেখার প্রত্যাশী। আমার দেশের জনগনের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। আমার দেশের সকল সম্মানিত নাগরিগদের সাথে একাত্মতা পোষণ করে আজ আমি এ নির্বাচনকে বাতিল বলে ঘোষণা করছি। আমি ও আমার দল ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়িয়ে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে এ পবিত্র দায়িত্বটা অর্পণ করছি। তিনি পরপর্তী বিঁধিমালা ঠিক করে অভিজ্ঞ পরামর্শক ও বিজ্ঞ উপদেষ্টাদের সাথে কথা বলে নির্বাচনের তারিখ চুড়ান্ত করবেন। প্রধান বিরোধীদলসহ নিবন্ধনপ্রাপ্ত সকল বৈধরাজনৈতিক দলেরা সে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবেন বলে আশা করি।
জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।" এই কথাগুলো যদি আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বলে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেন। তাহলে সেটাই হবে মাইলফলক। তার জন্য প্লাস পয়েন্ট। ভুল যাই করুক,সেই ভুলটাকে ভুলে গিয়ে জনতা আবার তাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন। যেমনটি করেছিলো গত পাঁচ বছর আগে। আজীবন তিনি মানুষের মাঝে শ্রদ্ধেয় এবং স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। যেমনটি অমর হয়ে আছেন তার শ্রদ্ধেয় পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

নতুবা এর বিপরীত হলে কি হবে সেটা আমি জানিনা। হয়তোবা কোন একসময় তিনি আস্তাগুড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন। কিংবা স্বাধীনতার পরপর্তী সময়ের মত তিনি বা তার দল ২০ বছর বা তার চেয়েও বেশী ক্ষমতার স্বাদ থেকে বঞ্জিত হবেন।


যতীন সরকারের ভাষায় বলি,
জনগন একতরফায় নেই,নাশকতায় নেই। তারা শান্তিতে আছে। সহজ-সরল শৃংখলাতেই আছে।
জনতা সবচেয়ে দুর্বল দল। আবার এই জনতাই কিন্তু সবচেয়ে শক্তিশালী দল।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:১৯
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×