পেশাগত কারনে প্রতি বৎসর বানিজ্য মেলা করা হয় আমার। ঢাকা এবং চট্টগ্রাম। প্রতি বৎসরে দুই দুইটি মেলা। একেক বৎসরে একেকরকম অভিজ্ঞতা অর্জন। নানান ঘটনার মুখোমুখি এবং জানা-অজানা অনেক মানুষের সাথে পরিচয়।
সুহুদরা বলতো, বানিজ্য মেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে ব্লগে কিছু লিখতে। লিখবো লিখবো করে ব্যাস্ততার কারনে আর কিছু লিখা হয়না। ইচ্ছা ছিল এবৎসরে একটা ফটো ব্লগ পোষ্ট দিতে। কিন্তু ঐযে ব্যাস্ততা। সকালে স্টলে ঢুকি আর বের হই সেই রাত্র বারটায়। পুরো স্টলের দায়িত্বটা আমার উপরে থাকার কারনে একটা মুহূর্তের জন্য দোকান থেকে বের হতে পারিনা। আর ছবিযে তুলবো এর জন্য প্রচুর সময়ের ব্যাপার। তাই আর করা হয়নি। আগামী বছরে এ নিয়ে অনেক চিন্তা আর পূর্ব প্রস্তুদি আছে। সেটা আগামী বৎসর আসুক তারপর। তার আগে এ বৎসরে কিছু দিনলিপি কিছু ঘটনা প্রকাশ করি।
পুরো ত্রিশটা দিন নিয়ে ঢাকা বানিজ্য মেলা। একেক দিনের একেক ঘটনা। তাই সময় করে একেক ঘটনা একেক পর্বে সাজিয়ে পোষ্ট লিখলাম।
মেলার প্রথমদিন। শুভ উদ্বোধন।
গত বৎসর মেলা শেষ হয়েছিলো চরম অব্যাবস্থাপনা আর বিশৃংখলার মধ্যে দিয়ে। আর এ বছর মেলা শুরু হয়েছে সেই চরম অব্যাবস্থাপনা আর বিশৃংখলার মধ্যে দিয়ে। না কোন দোকানের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে না রাস্তাঘাট গেটগুলো পরিপূর্ণ হয়েছে। মেলা শুরু হওয়ার তিন দিন আগে গেট নির্মাণ ইজারাদারদের জিজ্ঞাসা করেছিলাম, গেট নির্মাণের কাজ কবে নাগাদ শেষ হতে পারে। তারা বলেছিল, জোরসে কাজ করলে সাত দিন আর। এই জোরসে কাজ তারা তিন দিনেই প্রায় ৭৫% শেষ করে ফেললো। প্রথম দিন গিয়ে দেখলাম, গেটের সামনে কোন রেলিং নাই। পোলাপানগুলো রশি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। স্বল্প কয়েকটি দোকান কোন রকম মালামাল গুছিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এই অবস্থায় উদ্বোধন করা হল ঢাকা আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলা। প্রতি বৎসর মেলার প্রথম দিন দুপুর ১টা পর্যন্ত মেলায় প্রবেশ দোকানদারদের জন্য ফ্রী করা হয়। এ বৎসর চাওয়া হয়েছে একটা টিকেট। যার মুল্য ত্রিশ টাকা। অথচ বেশীর ভাগ দোকানদারেরা এখনো গেট পাস পায়নি। ইপিবি থেকে দেওয়া হয় নাই।