মানুষ বুড়ো কালে তার সঞ্জিত সম্পদ নিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে মক্কায় পাড়ি দেয় কেন।
নিশ্চয় আনন্দ-ফুর্তি করার জন্য নয়।
পাপ প্রতিটি মানুষই করে। এবং প্রত্যেক পাপীরাই তার কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনায় ভুগে। যে ব্যাটা চোর। সে জানে এটা খারাপ কাজ। যে ব্যাটা ঘুষখোর। সেও বুঝে এটা জঘন্য। নেশায় বুদ থাকলেও প্রতিটি মাদকসেবীরাও মানে এটা অনুচিত। আর খুনী ব্যাক্তিরা টাটকা রক্ততে তৃপ্তি পেলেও, সে জানে এটা ঠিকনা। আর এ কারনে দুনিয়ার সকল চোর-ডাকাত,বাটপার,সন্ত্রাসী,খুনীরা সহ পৃথিবীর সকল মানুষেরা জীবনে একবার হলেও শেষ বেলাতে এসে জীবনের ঝুকি নিয়ে সম্পদের মায়া ত্যাগ করে মক্কার পানে দীরঘ পথ পাড়ি দেয়। উদ্দেশ্য পাপের প্রায়চিস্ত করা। প্রভুর নেক দৃষ্টি অর্জন করা।
হজ্ব ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ। প্রতিটি মুসলমানের স্বপ্ন। শুধু আবেগের বিষয় নয় অন্যতম দায়িত্ব। প্রানের দাবী। আর এ নিয়ে সরকারের অন্যতম দায়িত্বশীল মন্ত্রী বিরুপ মন্তব্য করার সাহস কিভাবে পায় আমি বুঝিনা।
একটা সাধারন মানুষ সাধারন অবস্থায় অনেক মন্তব্য করতে পারে। তার শত্রুকে গালি দিতে পারে। তাকে অশালীন মন্তব্য করতে পারে। সমালোচনা করতে পারে। কিন্তু সেই মানুষটা যখন কোন গনমানুষের নেতা হয়। কিংবা একটা দায়িত্বশীল মন্ত্রী হয়। তখন সে কাউকে গালি দিতে পারেনা। কারোর সমালোচনা করতে পারেনা। কারন সে তখন আর ব্যাক্তি ব্যাক্তি থাকেনা। সে তখন হয় নেতা কিংবা মন্ত্রী। সে তার ঘরের লোকদের নেতা। নিজ দলের লোকদের নেতা। পুরো জাতির নেতা। পুরো দেশের নেতা। এমনকি তার শত্রুরও নেতা। কাজেই সে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় কখনো কারোর সম্পরকে বিরুপ মন্তব্য করতে পারেননা। কাউকে নিয়ে অশালীন মন্তব্য করতে পারেনা। যদি সে করে থাকে। তাহলে সে গন মানুষের নেতা হতে পারেনা। সে হয়ে পড়ে নিদৃষ্ট একটা গোষ্ঠীর নেতা। তার দায়িত্ব পালনের অধিকার সে হারিয়ে ফেলে।
মন্ত্রী আব্দুল লতীফ সিদ্দিকী যে মন্তব্য করেছিলেন, সেটা যদি কোন সাধারন কেউ করতো, তাহলে আমি এটাকে গুরুত্ব দিতামনা। কারন এ ধরনের মন্তব্য অনেক সাধারন মুসলিমরা অনন্য ধর্মকে নিয়ে করে। আবার অনন্য ধর্মের লোকেরা করে। যেহেতু মন্তব্যটা করেছে একটা মন্ত্রীর কাছ থেকে। তিনি এমন একটা দেশের নেতা,যেখানে বেশীর ভাগ মানুষ মুসলিম। ওনার উচিৎ এধরনের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়া। কিংবা পদত্যাগ করা।
আর প্রধানমন্ত্রীর উচিৎ এধরনের মন্তব্যের জন্য তাকে বরখাস্ত করা। বিচারের মুখোমুখি করা। কারন তিনি নিজেই একজন মুসলিম। সর্বপরি গনমানুশের নেতা। জাতি,ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে একটা গনতান্ত্রিক দেশের প্রধানমন্ত্রী। তার ওপর প্রায়শয় হজ্বে যান তিনি। তাকে নিয়ে কেউ ব্যাঙ্গ করলে তিনি সেটা সহ্য করতে পারেননা। কোন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য শুনলে তেলেবেলে জ্বলে উঠেন। দোষীকে বিচারের মুখোমুখি করে শাস্তি দেন। আমি মনে করি, মন্ত্রী লতিফ বিরুপ মন্তব্য করে শুধু মুসলিম জাতিকে আঘাত করেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও অপমান করছে।
এখন দেখা যাক, এর প্রতিক্রিয়ায় সাধারন মুসলিমরা কি করে। আর প্রধানমন্ত্রী কি পদক্ষেপ নেন।