আমার আছে জল পর্ব ১ Click This Link
আমার আছে জল পর্ব ২ Click This Link
এখানে প্রতিটি চরিত্র রূপক। এটা একটা সত্য কাহিনীর রূপান্তর গল্পে। আমি নিজ চোখে এই ঘটনার সাক্ষী। মূল কাহিনিটা সার হল, একটা স্কুলে দুইজন শিক্ষিকা। একজন বিবাহিত আরেকজন অবিবাহিত দুইজন বান্ধবি। দুইজনই একই লোকের সাথে প্রেম করে। লোকটি কোন প্রেমট্রেম করছে না সে দুজনকেই ব্যবহার করছে। টাইম পাস করছে। দুইজনই লোকটাকে ফোন করে। বিবাহিত মহিলা তো তার বাসায় পর্যন্ত চলে যাচ্ছিল। আমি অনেক ছোট তাই কিছু বলতে পারছিনা।
আমার কথা:- পৃথিবীতে আমরা সবাই পুতুল। সময় আমাদের কে ব্যবহার করছে। সময় যেমন চাচ্ছে আমরা তেমনই নাচ্ছি। আমাদের কখন কি হবে আমরা জানিনা। সত্যি ঘটনাটা আরোও জঘন্য। আপনারা বলতে পারেন রথির তো কোন দোষ নেই। তারও দোষ আছে যা আমি এখানে উল্লেখ করিনি। আমি বলি ছেলে আর মেয়ে উভযেরই দোষ আছে। ছেলেটা সুযোগ দিয়েছে। মিথ্যা কথা বলে প্রতারণা করছে। আমি বলেই দেই লোকটি ওই স্কুলের কমিটির মেমবার। সে এমন ধরনের কাজ করে। আমি অবাক হয়ে যাই। মানুষ এতটা নিচে নেমে যায় কেমন করে। মানুষ শিক্ষিত হয় কেন? এমন শিক্ষার কোন দাম আছে। এত জঘন্য, আমার ভাবতেও ঘৃণা লাগে।
একটা মেয়ে বিবাহ সম্পন্ন হয়ে যাবার পর তার সব স্বপ্ন ভুলে যেতে হয়। সময় যে তাকে এত দু:খ দিয়েছে এই সময়ই একদিন তাকে অনেক সুখও দিবে। তার জন্য শুধু অপেক্ষা করতে হবে। নিজের পরিচয়টাকে ভুলে গিয়ে কি সব খেলায় তারা মত্ত থাকে। আমি মানতে পারিনা বিবাহিত মেয়ের এই সব আচরণ। তার কথা এখনো আমার মনে আছে ২৭ বছরের জীবনে যদি রোমান্স না করতে পারি তাহলে আর বিয়ে কেন করলাম। বিয়ের আগেই তো ভাল ছিলাম। এই ধরনের মেয়েদের কি বলা যায়। আমার কাছে এদের জন্য ভাষা নেই।
রোমান্স করার জন্য যারা বিবাহিত সাইনবোর্ড গলায় টাঙ্গিয়ে সমাজে অপকর্ম করে বেড়ায়। তারা মনে সমাজে এখন তারা সবকিছু করার লাইসেন্স পেয়ে গেছে।
আমরা কি পৃথিবীটাকে সুন্দর করব বরং আরো এই পৃথিবীটাকে জাহান্নাম বানাচ্ছি। আমি বুঝিনা আজকালের মেয়েদের মাথায় এত রোমান্স কোথা থেকে আসে। তাও দশম শ্রেনীতে পড়া মেয়েদের মাথায়। কি বিদঘুটে স্বপ্ন দেখে- খোপায় বেলিফুল, গরম চায়ে আঙ্গুল ডুবানো। জানিনা এই পৃথিবীর কি হবে। সেই সময় বেশি দূরে নেই যে সময় মানুষ অন্য কেওকে দোষ দিতে পারবে না নিজের ভুলেই তার আত্মসম্মান হারাবে। আমি বলি আমরা ভাল হয়ে চলি। যা সমভব না তার চিন্তা মাথায় আনিনা। যা আমাদের পক্ষে সম্ভব তা নিয়ে খুশি থাকি।
সমাজে যতদিন এধরনের রাবন আছে ততদিন এই সমাজের কোন উন্নতি হবেনা। আগে আমাদের এই রাবনদের তাড়াতে হবে সমাজ থেকে। তাহলেই আমরা আমাদের সমাজকে ভালো করতে পারব।
আজকে খবর পেলাম পৃথি আর রাবন একসাথে বসুন্ধরায় ছবি দেখতে গেছে।