আজ দারুণ মজা পাইলাম...হা...হা...হা...
সন্ধ্যায় আমার কর্মস্থলে চার-পাঁচজন সিনিয়র সহকর্মী বসে শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চসহ সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এ সময় একজন সিনিয়র সহকর্মী বললেন, আমাদের অফিসে অনেকেই আছে শাহবাগ গণজাগরণকে সমর্থন করে। কিন্তু আমি একজনকে স্যালুট করি...সে হচ্ছে বিপুল, যে মনে প্রাণে শাহবাগ আন্দোলনের সাথে একাত্ব হয়ে আছে। তার চেতনাকে আমি শ্রদ্ধা জানাই। এ কথা শুনেই আরেক সিনিয়র সহকর্মী বললেন, আরে না সে তো না বুঝেই ওখানে যায়, সমর্থন করে, লাফালাফি করে। এই সহকর্মী আবার তিনি আবার জামায়াতপন্থী বিএনপি সমর্থক। তার এ কথা শুনেই আমি তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ করলাম। বললাম না জেনে কোন কিছু বলবেন না। অবশ্য আপনি তো আবার মনের ভিতরের খবর জানেন...
আমাদের সমাজে কিছু লোক আছে যারা সবজান্তা শমসের...আমার কাছে মনে হল আমার ওই সহকর্মীও বোধহয় ওই দলের। তাছাড়া যারা শাহবাগ জাগরণের বিশ্বাস করে না তাদের কাছে সবই মনে হয় ‘না বুঝে’ এর মত...।
তবে জেনে রাখা ভালো শাহবাগে যারা যায় তারা সবাই বুঝে-শুনে যায়। তারা চেতনা থেকে যায়। কংলকের দায় মুক্তির জন্য যায়...তারা দেশকে ভালোবেসে ওখানে যায়...। শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে ইচ্ছা থাকলেও কিছু কিছু মানুষ যেতে পারে না...এরা যাবার যোগ্যতাও রাখে না, কারণ এখানে যেতে হলে আগে নিজেকে একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক বাঙালী হিসেবে তৈরি করতে হবে। রাজাকারদের সঙ্গ ছাড়তে হবে। ইনিয়ে বিনিয়ে রাজাকারদের পক্ষালম্বন করা যাবে না। তবেই শাহবাগে যাবার সুযোগ তৈরি হবে। আশা করি, এখনো যারা নির্বোধের মত রাজাকারদের ফাঁসির দাবি জানানো থেকে বিরত রয়েছেন শিগগির তাদের বোধদয় ঘটবে।
আমি যাচ্ছি, আমি যাব, এ লড়াই আমার অস্তিত্বের, এ লড়াইয়ে আমি সব সময় সামনের সারির সৈনিক।
জয় বাংলা...জয় বাংলা...