রোববার দুপুরের পর থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত শুধু রাজধানী ঢাকায়ই পুড়ানো হল ১৯টি যানবাহন (সূত্র-বিডিনিউজ ২৪)। আর সারাদেশে এ সংখ্যা আরো অনেক বেশি। কিন্তু আমার প্রশ্ন কার হুকুমে এই গাড়ি পুড়ানো হচ্ছে? যিনি হুকুম দিচ্ছেন তিনি কি অপরাধী না? তিনি কি আইনের উর্ধ্বে? আর যদি আইনের উর্ধ্বে না হন তাহলে তাকে কেন বিচারের আওতায় আনা হচ্ছে না?
র্আ এই গাড়ি পুড়ানো হচ্ছে কার স্বার্থে? হরতালের নামে দেশের সম্পদ নষ্ট করে কি নির্বাচিত কোন সরকারকে গত ২০ বছরে ক্ষমতা থেকে নামানো গিয়েছে নাকি নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে? যদি তাই হয় তাহলে কেন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য এমন তান্ডব?
আমরা দেখেছি ১৯৯১ সালে নির্বাচিত বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে অনেক আন্দোলন করেও নির্ধারিত মেয়াদের একদিন আগেও ক্ষমতা থেকে বিদায় করা যায়নি। বরং ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি আরেকরাব সরকার গঠন করে। তারপর ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়। তাহলে যদি নির্বাচিত সরকারকে নামানোই না যায় তাহলে হরতালের নামে এসব জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ করতে হবে।
তাছাড়া সাদা চোখে যা দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে-এখন যে হরতাল হচ্ছে সেটা তো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্থ করতে এবং জামায়াতে ইসলামীকে রক্ষা করতেই হরতাল ডাকা হচ্ছে।
এদিকে ম্যাডাম বেজি গত শনিবার (১৬ মার্চ/১৩) মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের পশ্চিম গোবিন্দলের শোকসমাবেশে স্পষ্ট করে বলেছেন, “এ সরকারের পতন ছাড়া কোন সমস্যার সমাধান হবে না।এ জন্য আন্দোলন করতে হবে। আন্দোলন করতে গেলে আরো কিছু প্রাণহানি হবে। জানমালের ক্ষতি হবে। কিন্তু দেশের স্বার্থে এই ক্ষতি মেনে নিতে হবে।”
স্পষ্টতো তিনি এখানে উস্কানি দিয়েছেন। আন্দোলন করেন ভালো কথা, কিন্তু লাশের দরকার কি। লাশ পড়লে আপনি লাভবান হবেন, ক্ষমতায় যাবেন, তারপর...। কিন্তু যার সন্তান, স্বামী বা বাবা মারা যাবে তার কি লাভ? প্রশ্ন জ্বালাও-পোড়াও তান্ডব চালিয়ে আর মানুষ মরলে দেশেরই বা কি লাভ হচ্ছে?
তাছাড়া ক্ষমতায় যেতে লাশের দরকার কি? জনগণ আপনাকে পছন্দ করলে আপনি নির্বাচিত হবেন।