আমরা সকল ধর্মের মানুষজন এক সৃষ্টিকর্তাতে বিশ্বাস করি । কিন্তু ইবাদতের বেলায় ভিন্নতা দেখা যায় । মুসলিমরা শুধুমাত্র এক আল্লাহর ইবাদত করে ,হিন্দুরা অনেক দেব দেবীর পূজা করে ,খৃস্টানরা যীশুর ইবাদত করে ইত্যাদি ।আমি জানিনা আমি ঠিক ধারণা করি কি না তবে আমার মনে হয় প্রতিটি মানুষের প্রতিটি ধর্মীয় ব্ই পড়া ,বুঝার চেষ্টা করা এবং ব্ইগুলোর বিষয়বস্তুগুলো চিন্তা করে যার কাছে যে ধর্ম সঠিক মনে হয় তার সেই ধর্ম্ই পালন করা উচিত ।আমরা যদি মন থেকে সঠিক ধর্ম খুঁজি ইনশাআল্লাহ সৃষ্টিকর্তা আমাদেরকে সঠিক পথ প্রদর্শন করবেন ।নিশ্চয় একমাত্র সৃষ্টিকর্তাই হেদায়াতের মালিক ।তিনি আমাদের সকলকে সৎ পথ প্রদর্শন করুন আমীন ।আমি ধর্মনির্বিশেষে সকলকে আহবান করছি প্রতিটি ধর্মের প্রতিটি ধর্মীয় ব্ই পড়ুন ও তা ভালভাবে বুঝে সিদ্ধান্ত নিন ।কারণ মৃত্যুর পর আমাদের যে চিরস্থায়ী জীবন রয়েছে ,তা সম্পর্কে ভাবাটা আমাদের জন্য খুব জরুরী ।আমরা নিশ্চয় কেউ চাইব না চিরস্থায়ীভাবে জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে ।আমি ভরসা করি যিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন সেই সৃষ্টিকর্তার উপর ।তিনি চাইলে আমাদের সকলকে তিনি হেদায়েত করতে পারেন আর যদি তিনি আমাদেরকে গোমরাহ করতে চান তাহলে তাও পারেন ।হে আমাদের সৃষ্টিকর্তা ,আমাদের প্রতিপালক ,আমরা গোমরাহী থেকে পানাহ চাই ।আমরা যারা মুসলিম , মুসলিম ঘরে জন্ম নেয়াটা যে কত বড় নেয়ামত ! এই বিষয়টা ,আমরা তথাকথিত মুসলিমদের অনেকেই হয়ত জানিনা ।আমরা এই পাস সেই পাস দেয়ার জন্য এবং মনের খোরাকের জন্য যতসব ব্ই পড়ি ,এগুলোর পাশাপাশি যদি সহীহ হাদীস ও কোর্আন শরীফ এর বাংলা অর্থ পড়তাম তাহলে আমরা সবাই যেসব নেয়ামত প্রতিনিয়ত ভোগ করি তার জন্য আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ তৈরি হত ।সাধারণভাবে আমরা সবাই বলি যে ,আমরা তো কৃতজ্ঞ্ই ।কিন্তু আমাদের আচরণে কৃতজ্ঞতার কোন ছাপ কি দেখা যায় ? তখন অনেকে বলি ,আমাদের মনে কৃতজ্ঞতাবোধ আছে ।আল্লাহ কিন্তু শুধু অন্তরের দিকে তাকাবেন না আবার শুধু কর্মের দিকেও তাকাবেন না ।আল্লাহ প্রতিটা বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করেই কাউকে জান্নাত দান করবেন এবং জাহান্নামের আযাব থেকে মুক্তি দিবেন ।আল্লাহ সকলের অন্তরের খবর জানেন এবং তার কর্ম্ও দেখেন ।সো বি কেয়ারফুল , এসব বলে পার পাওয়ার সুযোগ নাই ।আমি যা লিখছি এ ব্যপারে আল্লাহ ভাল জানেন ।তিনি সবকিছু সম্পর্কে সম্যক জ্ঞাত ।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৪০