somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যুবতী ও অবিবাহিত তরুনীদের জন্য ;)

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আগের পর্বঃ যুবক ও অবিবাহিত ভাইদের জন্য :P
জীবন থেকে নেয়াঃ মোখলেসের প্রথম বিবাহ...!

যাদের বিবিধ মেয়েলী সমস্যা আছে এবং যাহারা বাড়াবাড়ি রকমের নারীবাদী; তাহাদের জন্য এই পোস্ট নহে. তাহারা দূরে গিয়া মরুন! কেবলমাত্র বিবাহযোগ্যা প্রজননক্ষম তরুনী বা যুবতীদের জন্য ইহা বিশেষ পাঠ্য। অন্ততঃপক্ষে যদি আগামী শীতে 'বর' নামক পুরুষের লোমশ বুকে নিজেকে সঁপিয়া দিয়া ওম লইতে চান আর কী :P ! গত পর্বে আপনার হবু স্বামীকে সাইজ করিয়া বুঝাইয়াছিলাম, কী করিয়া আপনাকে বাছিয়া নিতে হইবে, আজ আপনার পালা। পোস্ট শেষে আপনিও জানিবেন, মমতাজের আগুনের গোলা কিংবা ভোদাই পোলা চিনিবার তরিকা! আর আপনার মানসিক স্বাস্থ্য/ম্যাচুরিটি সম্পর্কেও আমারা ধাপে ধাপে আলোচনা করিব। আগে আপনার কিরূপ স্বামী পছন্দ জানিয়া লই! হুমমম লম্বা হইতেই হইবে, একটু ম্যানলী আবার কিউট ভাব থাকিতে হইবে (সাংঘর্ষিক ত্বত্ত্ব), সেন্স অফ হিউমার থাকিতে হইবে (কিন্তু সবসময় হাসা যাইবে না), বয়সের পার্থক্য বেশী হওয়া যাইবে না (কতখানি হইবে তা নির্দিষ্ট নয়), অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হইতে হইবে (ইহা মুখে না বলিলেও ক্রমাধিকারে প্রথম), ছোট পরিবার অগ্রাধিকারযোগ্য, মফস্বলে সেটেল্ড পরিবার হইবে না, স্বভাব চরিত্র ভাল (আপেক্ষিক) হইতে হইবে, বাড়ী-গাড়ী থাকিলে প্লাস...ইত্যাদি ইত্যাদি আপনি লজ্জা না রাখিয়া নিঃশঙ্কোচে বলিলেও আপনার মনের ভিতর আসলে কী খেলা করে, তা আপনি কখনই বলিবেন না। এখানেই শেষ নহে, এর পর আছে আপনার পরিবারের বিবিধ ক্রাইটেরিয়া, সেগুলো এখানে উহ্য রাখিলাম! তবে আসুন একে এক আপনার পাত্রদের গুণবিচারি শুরু করা যাক ;) ;)

লম্বা পাত্রঃ প্রাগ ঐতিহাসিক আমলে বন্যপ্রানী ও প্রতিকূল পরিবেশ হইতে রক্ষার জন্য দীর্ঘাকায়, সুঠামদেহী পুরষের চাহিদা ছিল। সেটাই জিনে থাকার দরুন, বর্তমান সমাজেও আপনি লম্বাকে একটি গুণের মাঝে নিয়া আসিয়াছেন, নাকি আপনি দৈহিক উচ্চতার সাথে অন্য কোন দৈর্ঘ্যের সম্পর্ক আছে বলিয়া ভাবিতেছেন :| সেটা আপনিই ভাল জানেন! তবে এক্ষেত্রে আপনার পছন্দে নিঃসন্দেহে আগাইয়া থাকিবে আর্মির পোলাপান! তবে উচ্চতা মিলিলেও অকাল বৈধব্যের সম্ভাবনাটাও মাথায় রাখিতে হইবে! আপনি কোনকমেই লম্বায় কম, এমন ছেলের ঘরে যাইবেন না, কারন তাতে আপনার বান্ধবী মহলে মুখ দেখাইবার জো থাকিবে না! কালো মেয়েকে কালো বলিলে যদি বর্ণবাদী আচরন হয় তবে খাটো ছেলেকেও বাইট্যা বলাটাও তদ্রুপ হইবে! তারপরও যদি আপনার স্বামী হইবার জন্য লম্বা হইতেই হইবে, তবে আপনাকেও ঝুঁকি মাথায় রাখিয়া বিবেচনা করিতে হইবে! :P

সুঠামদেহী পাত্রঃ না না না...কোন ভাবেই পাত্রের ভুড়ি থাকা যাইবে না। তাকে হইতে হইবে নিপাট, যাতে শার্ট পড়িলে বুক-পেট টানা দিয়া থাকে! B-) স্লিম পাত্র আপনার পছন্দের তালিকায় আগাইয়া থাকিবে নিশ্চিত! দেহ সুঠাম হইলেও, শাবল দিয়া কতক্ষণ মাটি কোপাইতে পারিবে তা নির্ধারণ করিবে তাহার শাবলের স্ট্যামিনা কতখানি, তার উপর! তবে গায়ে-গতরে খাটিয়া খাওয়া পাত্র, নিশ্চিতভাবে ব্যাপক স্ট্যামিনা সমৃদ্ধ এবং মেদহীন হইবে তা বলা যায়... বাসর রাত্তিরে বিড়াল মারার চেষ্টায় এদের জুড়ি নাই ;) ! কিন্তু আপনার পছন্দ যে আরও একটু উপরে! তবে সুখি সংসারের জন্য শুধুমাত্র মেদহীন দেহ কিংবা রাতভর কুস্তি খেলা আপনার কাম্য হইলে, আপনাকে মানসিক পরিপক্কতার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করিতে হইবে! /:)

অল্পবয়ষ্ক স্বাবলম্বী পাত্রঃ ইহা একটি চরম স্ববিরোধী পছন্দ! আপনি একই সংগে কচি আবার পাত্তিওয়ালা পুরুষের সন্ধানে আছেন! তবে, পাত্র যদি অল্প বয়সেই পাত্তিলাভ করে তবে তা তাহার পিতৃসম্পত্তি / শেয়ার মার্কেট /দুই নম্বরী হইতে প্রাপ্ত! কারণ, আপনার স্বামী যে বিল গেটস বা জুকারবার্গ নয় তা বঙ্গদেশের সবাই জানে B-) আর যদি স্বাবলম্বী চান তবে তাহার বিশ্ববিদ্যালয় হইতেই পাশ করিয়া বাহির হইতেই ৩০ পার হইবে! আর যদি মাথায় ঘিলু খেলে তবে তো বুঝিতেই পারিবেন যে, ছেলে অল্প বয়সে পাত্তি পাইলে কিছু পেঁয়াজ খাইতেই পারে... ;) ! তারপরও যদি এই সাংঘর্ষিক পছন্দ আপনার কাছে কাংখিত হয় তবে বিবাহের পর পেঁয়াজ খাইবার ঝুঁকিটুকু নিতেই হবে গো দিদি! /:)

চরম শিক্ষিত পাত্রঃ পিএইচডি হোল্ডার আপনার এক নম্বর পছন্দ! বুক ফুলাইয়া বান্ধবীকুলের কাছে বলিবেন, আমার হাব্বি আইভি লীগ হইতে পিএইচডি, নাসায় জব করে...ভাবিতেই আপনি শিহরিত বোধ করেন! তবে এইরুপ পাত্র ঘর অপেক্ষা ল্যাব-লাইব্রেরীকে অধিক গুরুত্ব দিবে, আপনাকে নটি জোকস শুনাইতে বা শুনিলেও বুঝিতে অপারগতা প্রকাশ করিবে, আপনার বাহারি অর্ন্তবাস তাহার শরীরকে জাগাইবে না নিশ্চিত! মাঝরাত্তিরে বিছানায় ঘাম ঝরানো তাহার কাছে কেবল শক্তির অপচয় কিংবা রুটিন জব মনে হইবে |-) ! পরিবেন তো মানিয়া নিতে? আর যদি বরের ডিগ্রি দিয়া নিজে সাজিতে চান তবে ঠিক আছে, নতুবা শরীর ঠান্ডা রাখিতে জানিতে হইবে! তারপরও যদি ডিগ্রীধারীই চাই...তবে আগে পিছে বুঝিয়া নিবেন! /:)

বয়ষ্ক, কিন্তু ধনী পাত্রঃ পুরুষ মানুষের আবার বয়স কী? - আপনার দাদীর আর কোন উপদেশ না মানিলেও এটিকে বেদবাক্য বিবেচনা করেন :| ! তবে আমি নিশ্চিত, আপনার উদ্দেশ্য আরও গভীর! ভাবিতেছেন বুড়া হাবড়া মরিয়া গেলে সবকিছুর মালিক তো আপনিই হইবেন! আপনার পছন্দ এবং উদ্দেশ্য ঐ বুড়া জামাইও বুঝে, রাস্তার মোড়ের ডালপুরির দোকানদারও বুঝে! কাজেই, এত সহজে আপনি সবকিছু পাইয়া যাইবেন বলিয়া মনে হয় না! বুড়া নিশ্চই মনে মনে 'প্ল্যান বি' ঠিক করিয়া রাখিয়াছে। আপনার মত অসংখ্য দুধের মাছি হাতাইয়া সে সিদ্ধহস্ত! অবাক হইবেন না, যদি ঘরের বাহিরে তাহার আরও কিছু শুভাকাঙ্খী থাকে, মানিতেই হইবে। আর যদি তিনি প্লেবয়ের মালিক হিউ হফনারের মত দীর্ঘায়ূ হন, যিনি ৮৯ বছর বয়সেও দুই হাতে দুইখান বিকিনি-ললনা লইয়া চলেন B-)) , তবে আপনার উদ্দেশ্য মাঠে মারা যাইবে। আর যদি তা না হয় তবে, আশে পাশে (বিশেষ করিয়া মিডিয়া জগতে) তাকাইয়া দেখুন, আপনার ভবিষ্যৎ পরিষ্কার দেখিতে পাইবেন!

সামাজিক স্ট্যাটাসযুক্ত পাত্রঃ পাত্র কমিশনারের ভাতিজা, দাদা ছয়বার সংসদ সদস্য...! এইপাত্র আপনার চাই ই চাই! অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনের চাইতে যোজনখানেক আগাইয়া থাকিবেন! এই প্রকারের বর আপনাকে সাংসারিক জীবনে কী সুখ দিবে তা নিশ্চিত নয় তেব বহুবিধ প্যারা যে দিবে তা চোখ বন্ধ করিয়া বলা যায়। এইসকল পাত্র মায়ের ন্যাওটা হয়, আঁচলে আঁচলে থাকিতে অভ্যস্ত, কিঞ্চিত বখাটেপনা থাকে! ঘরের চাইতে বাইরে মন থাকে বেশী। খানাপিনা মনপছন্দ না হইলে আপনার খবর আছে, বউ-শাশুড়ীর স্নায়ু যুদ্ধ খুবই কমন এসকল পরিবারে! তারপরও যদি শশুড়বাড়ীর পরিচয়ে পরিচিত হইতে চান, তবে বিবিধ শংকা মাথায় লইয়া অগ্রসর হওয়াটাই উত্তম! :#)

ইমিগ্রান্ট পাত্রঃ দেশে থাকতে চান না, তাই এনআরবি খুঁজিতেছেন? ঐ পাত্র সম্পর্কে আপনি কি আদৌ কিছু জানেন? জানিলেও খুব কমই জানেন! ইমিগ্র্যন্টের দুই প্রকার রহিয়াছে! এক, যাহারা জন্ম বা বাল্যকাল হইতেই সেথায় বসবাসরত আর দুই, দেশী মাল মধ্যবয়সের অতিথি পাখী হইয়াছে! যে প্রকারই হউক না কেন, আপনি সেখানে গিয়া কতখানি কোপ করিতে পারিবেন তা সময়ই বলিবে! বিদেশ সম্পর্কে আপনার ধারণা যদি কেবল টরেন্ট মুভি দেখিয়া হইয়া থাকে তবে বাদ দিন! ভাবিতেছেন, কতই না সুখ! বিচে সান বাথ করিবেন, সমুদ্রে স্নর্লিং করিবেন, বরফের মধ্যে স্কিইং করিবেন, ছুটিতে ডিজনি ল্যান্ডে যাইবেন, সাবওয়েতে বার্গার কামড়াইবেন...ব্লা ব্লা ব্লা :) :) ! কিন্তু দিদি, আপনার যা কোয়ালিফিকেশন (মেট্রিক/পিএইচডি), তাতে সুপার শপে কিছুদিন (বছরখানেক তো বটেই) কাস্টমারের কার্ড পাঞ্চ করিতেই হইবে! সেখানে আপনাকে পটের বিবি হইয়া বসিয়া খাইবার জো নাই! আমাদের দেশের বহু 'নামী-দামী' মডেল/নায়িকা দোকনে আলু-পটল প্যাকেট করিতেছে! তারপরও যদি আপনার ইমিগ্রান্ট পাত্রই চাই তবে আগপাশ ভাবিয়া অগ্রসর হউন! /:)

নির্দিষ্ট পেশার পাত্রঃ আপনি গোঁ ধরিয়াছেন আপনার হাব্বি ইঞ্জিনিয়ার/আইবিএ গ্রাজুয়েট/এমএনসির কর্মকর্তা/এমবিএ/ডাক্তার/বিলাত ফেরত ব্যারিস্টার ব্লা ব্লা ব্লা হইতেই হইবে...! কিন্তু কেন? কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়, আপনার বান্ধবীদের হাব্বিরা উপরোক্ত পেশায়, কাজেই আপনাকে তাদের 'সমকক্ষতা' লাভ করিতে হইবে! কোন নির্দিষ্ট পেশার পাত্রের দিকে ঝুঁকিবার আগে সেই পেশা সম্পর্কে হোমওয়ার্ক করিয়া তাহার প্রস এন্ড কনস গুলা জানিতে হইবে! নতুবা পছন্দসই পেশার পাত্র মিলিলেও বিবাহ পরবর্তী জীবনে আপনার অভিযোগের খাতা ভারী হইতেই থাকিবে। বরের পেশার সাথে আপনার সুখী সাংসারিক জীবনের যে কোন সর্ম্পক নাই, তাহা আগে আপনাকে মানিয়া নিতে হইবে, নতুবা আপনার বান্ধবীরা ভাল থাকিলেও আপনি অন্ধ অনুকরনের দরুণ মনোঃপীড়ায় ভুগিতে পারেন। :-0

আপনার পরিবার সামলানঃ আপনার পরিবার আপনার অবিবাহিত জীবনের সবচাইতে বড় বাধা এবং বিবাহ বিলম্বিত হইবার সবচাইতে বড় কারণ! তাহারা পাত্রর খোঁজ করেন ত্রিশ বছর আগের ধারণা লইয়া, মিলাইয়া দেখেন আশপাশের বন্ধুদের জামাইদের সহিত, বিচার করেন অদ্ভুত সব উদাহরণ দিয়া, পছন্দ করেন কোন যৌক্তিক কারণ ছাড়াই! তাহাদের পছন্দের উপর ভরসা করা কঠিন! আর আপনি যদি কিঞ্চিত ফর্সা-লম্বা-সুন্দরী (কোন যোগ্যতা না থাকলেও) হন, তবে আপনার বাবা-মা'র তো আর পাত্রই পছন্দ হয় না! কন্যাকে রানী এলিজাবেথ ভাবিয়া রাজার সন্ধান করেন। একটু 'ভাল পাত্র' মিলিলে 'আরও একটু' ভাল পাত্রের সন্ধান করেন...এই ভালোর কোন শেষ নাই! তাহারা অতি তুচ্ছ কারণে যোগ্য পাত্রকে বাতিলের খাতায় ফেলিয়া দেন X( । পছন্দের বিষয়ে আপনার অভিভাবক. আপনার চাইতেও এককাঠি উপরে। শুধু পাত্র পছন্দ হইলে হইবে না, পরিবারকেও ভাল লাগিতে হইবে। হাতের পাঁচ আঙ্গুল সমান করিয়াই তবে পাত্রী দিবেন। তাহাদের শুরু হয় 'মেয়ের জন্য একখান ভাল ছেলে চাই...'এই বলিয়া! কিন্তু এই 'ভাল'কে তাহারা জীবদ্দশায় সংগায়িত করিতে পারেন না। এই করিতে করিতে আপনার বয়স যায় বাড়িয়া, সেদিকে যখন খেয়াল হয় তখন মেঘে মেঘে অনেক বেলা হইয়া যায়। :-0

অবশেষে, আপনি আসলে কী চান? এইখান মিলিয়ন ডলার কোশ্চন! উত্তর আপনি নিজেও জানেন না! আপনার মাঝে মাঝে মাঝে মনে হয় সবই চাই, আবার ক্ষণিক পরে মনে হয় কিছুই চাই না - বাবা-মা যা বলিবেন তাহাই- শিরোধার্য! আবার তাহারা পছন্দ করিলে নাক সিঁটকাইবেন...তখন এমুন না উমুন, এইটা না ওইটা, মাথায় চুল কম, পেট একটু মোটা, হাইট কম কম লাগে, দৃষ্টি ভাল নহে, স্মার্টনেস নাই, ড্রেস সেন্স কম, ছোট ভাই-ছোট ভাই লাগে ইত্যাদি ইত্যাদি! আসেন, একটু ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করি! আপনার যে সকল বিষয় বিবাহে প্রাধান্য পাইবে তার প্রায় সবই ক্ষয়িষ্মু; সময়ের সংগে সংগে আপনার রুপ-যৌবন-দেহ সবই কুঞ্চিত হইয়া যাইবে! আর পুরুষের প্রধান্য বিষয়গুলো; কেরিয়ার, সম্পদ, সেন্স অফ সিকিউরিটি সবই বহুতগুণে বাড়িয়া যাইবে (স্বাভাবিক ক্ষেত্রে)। আপনার যৌবন হইলো কচু পাতার পানির মত, দেখিতে দেখিতে কখন যে ঝরিয়া যাইবে বুঝিবারও সময় পাইবেন না! ১৯৯১ এ 'লাভ' ছবির নায়ক সালমান খান আজ অব্দি নায়ক থাকিলেও নায়িকা রেবতী কিন্তু আলিয়া ভাটের মায়ের চরিত্রে আসিয়া গিয়াছে! যাহার জন্য বড়াই করিবেন তা ক্ষণিকের, আর যা আপনি চান না তাহাই আমৃত্যু থাকিবে। তাই বলি কী দিদি, এমন কাউকে বাছিয়া লউন যিনি আপনার যৌবনের মোহ কাটিয়া গেলেও আপনাকে ভালবাসিবেন। আপনি যে বর খুঁজিতেছেন তাহারা আপনার পাণিপ্রার্থী হইবার জন্য আপনার দুয়ারে লাইন দিয়াছে কেন জানেন? ওনারা বিবাহের বাজারে সহজলভ্য! কিন্তু বাস্তব জীবনে দরকার ভাল মনের একজন মানুষ যাহার সংগে দীর্ঘকাল সংসার করিবার পরও মনে হইবে সেদিন তো মাত্র কাবিন করিলেন! যিনি আপনাকে সুসময় কী দুঃসময়-আগলাইয়া রাখিবেন! এঁদেরকে আপনার খুঁজিয়া-চিনিয়া নিতে হইবে! তবেই পাইবেন! সকলের জীবন আলাদা আলাদা, জীবনের গল্পও আলাদা। তাই পরের সাথে অহেতুক তুলনা করিয়া নিজের জীবনের মূলবান সময় নষ্ট করিবেন না! আজ আপনার পাশে সবাই আছে, দশ বছর পরে এরা কেউই আর থাকিবে না। আপনার সংসার-আপনার সমস্যা, আপনাকেই টানিতে হইবে। কাজেই অন্যের পছন্দ নিজের বলিয়া ভাবিয়া ভুল করিবেন না। পস্তাইলে আপনি একাই পস্তাইবেন আর সুখী হইলে সকলেই নিয়াই সুখী হইবেন। তবে চলুন, আসছে শীতে আপনার বিবাহের পাত্র বাছাই শুরু করা যাক!

আগের পর্বঃ যুবক ও অবিবাহিত ভাইদের জন্য :P
জীবন থেকে নেয়াঃ মোখলেসের প্রথম বিবাহ...!

সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৫৯
৩৭টি মন্তব্য ৩৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×