somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্রিকেটে কখনই অঘটন ঘটা সম্ভব নয়…..আপনি কি বলেন?

০৮ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১১:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সমগ্র বাংলাদেশ খুব সম্প্রতি একটি ক্রিকেটিও ধাক্কা খেয়েছে। আমরা সবাই আশা করছি বাংলাদেশ এই ঝড় সামলে উঠে সোজা হয়ে দাড়াবে এবং আমাদের স্বপ্ন রক্ষায় লড়াই করবে। তবে আমার আজকের লেখাটি শুধু বাংলাদেশ নয় বরং পুরো ক্রিকেট নিয়ে নিজস্ব একটি অনুভুতি। আর সেটি হলো, আমি মনে করি, ক্রিকেটে কখনই অঘটন ঘটা সম্ভব নয়। অন্তত্য পক্ষে আমরা যেসব ঘটনাকে অঘটন বলে খাকি তা মোটেও অঘটন নয় বরং খুবই স্বাভাবিক ও সাধারন ঘটনা। ফ্লুক বা আপসেট এই শব্দগুলো ফুটবলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে। কিন্তু তা কখনও ক্রিকেটের সাথে যায় না। ব্যাখ্যায় যাবার আগে বলে নিই আমি কোন ক্রিকেট বোদ্ধা নই। আমি যা দেখি সেটা শুধু নিজের মত করে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করি।
প্রথমেই বলি ক্রিকেট ফুটবলের মত কোন ভাগ্যের বা দুর্ঘটনার খেলা না। অনেক সময় ফুটবলে হুট করে এমন কিছু ঘটে যেতে পারে যার জন্যে কোন দল সেই ম্যাচ এ হেরে বসবে। পুরো ম্যাচ ভালো খেলেও একটা আত্মঘাতি গোল অথবা পা গলে কোন বল যদি বিপক্ষ দলের কেউ জালে জরায় এবং আপনি যদি সেই গোলটি পরিশোধ করতে না পারেন তাহলে আপনি হেরে যাবেন। অথবা শেষ মিনিটে ভাগ্যক্রমে একটি গোল করল আপনার প্রতিপক্ষ। আপনি কিছুই করতে পারবেন না।
কিন্তু ক্রিকেটে প্রেক্ষাপট ভিন্ন। যে জিতে তাকে খেলেই জিততে হয়। ভালো করতে হয় তার প্রতিপক্ষের চাইতে। হুট করে কিছু হবার কোন সম্ভবনা নেই।যদি ছয় বলে ছয়টি উইকেটও পড়ে তারও একটা কারন থাকে, বাস্তব ব্যাখ্যা থাকে, ওটাও অঘটন নয়।
উদাহরন দিচ্ছি। আমাদের দেশের ক্রিকেটের প্রথম ‘অঘটন’ ছিলো পাকিস্তান কে বিশ্বকাপে হারিয়ে দেয়া। সেইদিন পাকিস্তান আর বাংলাদেশের খেলায় এমন কিছুই ঘটেনি যেটার কারনে আমরা তাকে ফ্লুক বলব। বাংলাদেশ একই ব্যাট ও বল ( মানে যা পুরো বিশ্বকাপে ব্যাবহার হয়েছে!!) দিয়েই খেলেছে। পাকিস্তানের বোলাররা একই পিচে বল করেছে। তারা ঐদিন চোখের কোন সমস্যা নিয়ে মাঠে নামেনি বা ছেড়ে খেলেনি যে তারা ঠিক মত বল করেনি এই রকম অভিযোগ তোলা যায়। একই যায়গায় যদি অস্ট্রেলিয়া থাকত তাহলে তারা একই বল ই করত। এবং সেই একই রকম বলে বাংলাদেশ ২৩২ রান করে যা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং একটা স্কোর। বাংলাদেশ যেভাবে বল করেছে তাতেই অলৌকিক কিছু ছিলো না। বরং সেদিন আমাদের দেশের খেলোয়াররা যে রকম ফিল্ডিং করেছে সেরকম ফিল্ডিং চেইস করে ঐ টার্গেটে পৌছা যথেষ্ট কষ্টকর। তাহলে অঘটন ঘটল কোথায়?? এই কাজটা বাংলাদেশ না করে যদি ইন্ডিয়া করত তাহলে কি অঘটন হতো?? একই রকম বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং করে অস্ট্রেরিয়া জিতলে কি কোন সমস্যা থাকতো?? তো??? অতএব সেটি অঘটন ছিলো না। সেটি একটি সাধারন ঘটনাই ছিলো। হ্যা, একটা নতুন দলের কাছ থেকে এই রকম জয় অনাকাঙ্খিত বটে, তবে তা কখনই ‘অঘটন” নয়। পুরো খেলাটায় ভালো না করলে, হুটহাট ভালো করে বাংলাদেশ কখনই জিততে পারতো না।
তাহলে প্রশ্ন হলো বাংলাদেশ জিতল কিভাবে? উত্তর টা আমার ‘ধারনা’ তাই অপরাধ ক্ষমা করবেন। আর সেই কারনটি হলো আত্মবিশ্বাস। ক্রিকেটে জেতার জন্যে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস। একই ভাবে অপর দলকে হারানোর সহজ উপায় হলো তাদের আত্মবিশ্বাস ভেঙ্গে দিতে হবে।
খেলার মাঠে খেলোয়াররা যদি বিশ্বাস করে যে তারা আজকে জিতবে তাহলে তাদের কেউ হারাতে পারে না। আয়ারল্যান্ডের সাখে বাংলাদেশের খেলাটাতে যেই একটা দুটো উইকেট শেষে এসে পড়া শুরু করলো তখনই বাংলাদেশের খেলোয়ারদের মনে দৃঢ়তা চলে আসলো তারা জিততে পারবে। আরও দুটো পড়ার পর আয়ারল্যান্ডের খেলোয়ারদের আত্মবিশ্বাস ভেঙ্গে গেলো যে তারা জিততে পারবে না। ব্যাস এরপর বাংলাদেশের জয় আটকানো যেতো না।
আবার উভয় দলের জয়ের প্রতি আত্ববিশ্বাস যদি সমান হয় তাহলে ম্যাচ ড্র হবে….যেমন ভারত ইংল্যান্ড ম্যাচ?!?!?!?!?!
তবে এই আত্মবিশ্বাস বেড়ে যদি ওভার কন্ফিডেন্সে রুপ নেয় তাহলে হার আসবে। যেমন ২০০৭ সালে বাংলাদেশের সাথে ভারতের ম্যাচ।
অতএব ক্রিকেটে কোর ‘অঘটন” ঘটে না। এইটা আমার আবিষ্কার….এইবার আমারে নো-বে(ই)ল প্রাইজ দেয়া হোওওওওওক
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×