
ভীড়ের লোকাল বাস থেকে আসা যাক রিকশায় ভ্রমনে। এখানে পাশের পুরুষটি অপরিচিত নয়। আমার এক বান্ধবী এমই এক রিকশা ভ্রমনে আমাকে জিজ্ঞেসা করেছিলো আমি দিন দিন এতো মোটা হচ্ছি কেন। উত্তরে বলেছিলাম, মোটা হবার সুবিধা হচ্ছে কোন মেয়ের সাথে রিকশায় উঠলে বেশ ঘেষাঘেষি করেই বসা যায়। প্রচন্ড আমুদের বিষয়। বান্ধবীটি মজা ভেবে উড়িয়ে দিলো আরেকটি সত্যকে। পৌরুষিক সত্য।
আবার বাস,ট্রেন ইস্যু। তবে এবারেরটা ইন্টার সিটি। একলা কোন পুরুষ বাসে ট্রেনে উঠেছেন এবং মনে মনে পাশে কোন সুন্দরী সহযাত্রী আশা করেননি এমনটা দুর্লভ। অন্তত আমি সেই দুর্লভ দলের না। কিন্তু ভাগ্য এদের সাথে খুব একটা সমীহ হয় না। আমার অধিকাংশ একলা ভ্রমনের সঙ্গী আঙ্কেল বয়সী উপদেশ প্রদানকারী শ্রেনী। যাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন কিন্তু তারা কথা বার্তা চালাতে পারেনি তাদের সহযাত্রীদের সাথে তারা কেউ কেউ আবার আশ্রয় নেন স্পর্শ-আনন্দের কাছে। ব্রমনের সময়ে ঘুমানো যেহেতু অপরাধ নয় তাই ঘুমের ভানটি( অথবা সত্যিকারের ঘুম) বেশ কাজে দেয়। কি কাজ করে ব্লগাররা আশা করি জানেন।
ভীড় সবসময় স্পর্শ-আনন্দের তীর্থস্থান। খুব ভীড়ের যায়গা গুলোতে কিছু মানুষ প্রায়ই জুটে যায় যারা ঘুরে ঘুরে এই স্পর্শ আনন্দ লাভ করেন। ছুটির দিনের বানিজ্য মেলার স্বন্ধ্যা, ঈদের গাউসিয়া মার্কেট কিংবা প্যাসেঞ্জার লিফট। আপনি হয়ত অভিজ্ঞতা পাননি, আমি পেয়েছি। আমরা পেয়েছি। যাদের অন্তরটা কৃষ্ণকায় বলে আপনি দাবি করেন।
ফ্যান্টাসি কিংডমের ওয়াটটার ওয়ার্ল্ড গিয়েছেন? ওগুলো এখনো এই লেখায় উল্লেখিত আম ঘটনার পর্যায়ে আসেনি। যেমনটি আসেসি কোন সাধারন লাইনে আপনার সামনে দাড়ানো নারীটি এবং আপনি।
আমরা মহাপুরুষ হতে পারিনি তবে পেরেছি পুরুষ হতে। ধারন করেছি আদি অকৃত্রিম পৌরুষিক সত্য।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




