খাতিমা (উপসংহার ও শেষ কথা)
(পৃষ্ঠা ২৭৬-১৮২ – শেষ পৃষ্ঠা)
শায়খুল হাদীস হযরত মাওলানা মুহাম্মাদ যাকারিয়া কান্ধলভী রহমতুল্লাহি আলাইহ তাঁর পুরো কিতাবের সবচেয়ে শেষে অত্যন্ত বিনয় ও বেদনার সাথে লিখেছেন:
“আমি এই কিতাব লিখেছি শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। আমার উদ্দেশ্য কারো সঙ্গে ব্যক্তিগত শত্রুতা বা হিংসা নয়। আমি শুধু দেখিয়েছি যে, মওদূদী সাহেবের লেখা ও জামায়াতে ইসলামীর আক্বীদা-আমল আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামাআহর পথ থেকে বিচ্যুত।
আমার কথাগুলো যদি কারো দিলে আঘাত দেয়, তাহলে আমি আগেই মাফ চেয়ে নিচ্ছি। কিন্তু হক যখন স্পষ্ট হয়ে যায়, তখন চুপ থাকা গুনাহ।
আমি সব মুসলিম ভাইদের – বিশেষ করে নওজোয়ানদের – একটি মাত্র কথা বলব:
১. কুরআন-হাদীস ও সাহাবা-তাবেয়ীন-আইম্মায়ে মুজতাহিদীন-বুযুর্গানে দ্বীনের পথ ছাড়া আর কোনো পথে হিদায়াত নেই।
২. যে কোনো নতুন দল বা-দলি, নতুন “ইজম” বা “আন্দোলন” যদি পুরানো উলামাদের বিরোধিতা করে, তবে সেটা ফিতনা।
৩. তাসাওউফ, তাকওয়া, যিকির, ফযায়েল পড়া – এগুলো কখনো গৌণ নয়। এগুলোই ইসলামের রূহ। রাজনীতি তার শরীর।
৪. খাতমে নবুওয়াত, সাহাবার মহব্বত, উলামায়ে হকের আদব – এগুলো ঈমানের অংশ। এর সঙ্গে খেলা করলে ঈমান চলে যায়।
আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করি:
اَللّٰهُمَّ أَرِنَا الْحَقَّ حَقًّا وَّارْزُقْنَا اتِّبَاعَهُ
وَأَرِنَا الْبَاطِلَ بَاطِلًا وَّارْزُقْنَا اجْتِنَابَهُ
“হে আল্লাহ! আমাদের হককে হক হিসেবে দেখাও এবং তার অনুসরণের তাওফীক দাও।
আর বাতিলকে বাতিল হিসেবে দেখাও এবং তা থেকে বাঁচার তাওফীক দাও।”
যদি আমার কথায় কোনো ভুল থাকে, আল্লাহ আমাকে মাফ করুন।
আর যদি হক বলে থাকি, তবে সবাইকে তার উপর অটল রাখুন।
আমীন বিজাহি নাবিয়্যিল আমীন
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাহবাবিহি ওয়া বারাকা ওয়া সাল্লাম।
লিখেছেন
সবচেয়ে অধম ও গুনাহগার
মুহাম্মাদ যাকারিয়া ইবনে মুহাম্মাদ ইয়াহইয়া
কান্ধলভী
মদীনা মুনাওয়ারাহ
১৩ রজব ১৩৭০ হিজরী”
কিতাব সম্পূর্ণ হলো। আলহামদুলিল্লাহ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে নভেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:০৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




