পঞ্চম পর্বের জন্য এখানে যান : Click This Link
৬তম পর্ব
নির্বাচনী ইশতেহার(যে আইন বিধি-বিধান আমরা রাজনৈতিক দল/সংসদকে দিয়ে করাতে চাই)
সংসদ ও জনপ্রতিনিধী
১. বিতর্কিত রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত [ বিদেশি রাষ্ট্যের সাথে বিতর্কিত চুক্তি(রামপাল),বিতর্কিত আইন তৈরির উদ্যোগ (তত্বাবধায়ক সরকার বাতিল),হরতাল-অবরোধ ডাকা ইত্যাদি ] ঠেকাতে আয়কর প্রদানকারীদের(টানা ৩ বছর আয়কর দেওয়ার রেকর্ড থাকতে হবে) বিশষ ভোটিং বায়োমেট্রিক( ভোট হবে ডিসি অফিসে ফিঙ্গার সনাক্তকারী মেশিনের মাধ্যমে এবং এর সার্ভার থাকবে UN,BTIN(আয়কর প্রদানকারী) ও ARMY এর যৌথ নিয়ন্ত্রনে তথ্য দিবে EC ও NBR) এর মাধ্যমে চূড়ান্ত সমাধান দেওয়া। সহজে-দ্রুতগতিতে-কমখরচে চুরি বাটপারী মুক্তভাবে জাতীয় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে বা জাতীয় সাংর্ঘষিক অবস্থার অবসান ঘটাতে এর চেয়ে ভালো উপায় আছে কি?
২. প্রতি সরকারের মেয়াদের মাঝা-মাঝি সময়ে সরকারের জনসমর্থন যাচাই করার জন্য BTIN ধারীদের YES/NO ভোট নেওয়া হবে। ৩৩% সমথন পেতে ব্যার্থ হলে EC ৩ মাসের মধ্যে নতুন জাতীয় নিবাচন ঘোষণা দিবে।
৩. প্রচলিত নিয়মে নির্বাচিত সংসদের/ সরকারের মেয়াদ হবে ৩ বছর। প্রতি বছর প্রত্যেক আসনের MP(লাল্টু-পিন্টু, শামীম উসমান বা তত্বাবধায়ক সরকার আসলে যারা পালায় যায় তাদের বরখাস্ত করার জন্য ) কে আলাদাভাবে উক্ত এলাকার BTIN ধারীদের YES/NO ভোটে (UK এর MP Re-call করার মতো) কমপক্ষে ৫০% সমথন পেতে হবে।এই সমর্থন না পেলে ঐ আসনে নতুন করে নিবাচন হবে। আর এই ভোটে যদি সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় তাহলেও EC নতুন জাতীয় নিবাচন ঘোষণা করবে। উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান পদ বাতিল করা এবং এখান থেকে সাশ্রয়ী অর্থ দিয়ে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো, প্রয়োজন হলে ইউনিয়ন পরিষদের একজন চেয়ারম্যান অস্থায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে । নির্বাচনী খরচ কমাতে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের মেয়াদ ১০ বছর করা যেতে পারে, তবে ১০ বছর মেয়াদের আগেই যদি , ৩৩ শতাংশ এর বিশি ভোটার স্বাক্ষর সহ চলতি সদস্যের প্রতি অনাস্থা জানায় তাহলে নির্বাচন করা যাবে। ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বা চেয়ারম্যান হিসেবে ৫৭ বছরের কম বয়সী লোকজনকে প্রতিযোগীতা করার সুযোগ না দিলে নির্বাচনী সহিংসতা ও দুর্নীতি কমতে পারে।
৪. সরকারের কোন সিদ্ধান্ত আটকাতে- প্রধান বিরোধীদল/ নাগরিক সংগঠন ( তার স্থায়ী কমিটির সদস্যদের ২০% সম্পত্তি জামানত স্বাপেক্ষে বছরে একাধিক বার) বছরে একবার BTIN ধারীদের YES/NO ভোট ডাকতে পারবে।
৫. সংসদের বর্তমান সংরক্ষিত নারী আসন বাতিল করা। এর পরিবর্তে ৩০০টি আসনের মধ্যে ৩০টি (পরিবর্তনশীল) আসন শুধুমাত্র নারীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা, যেখানে শুধুমাত্র নারীরা প্রতিযোগীতা করতে পারবে অথবা প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল প্রতি ৩জনে ১জন বা ২জনে ১ জন নারীকে মনোনয়ন দিতে বাধ্য থাকবে। এখান থেকে সাশ্রয়ী অর্থ দিয়ে বিচারকের সংখ্যা বাড়ানো। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত কোন সংসদ সদস্য কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য থাকতে পারবেনা ।
৬. ভোটিং পাওয়ার সহ ১০টি সংরক্ষিত আসন(সংসদের উচ্চ কক্ষ্যের মত) থাকবে যাদের আয়কর প্রদানকারীদের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দিবেন । দলনিরপেক্ষ্য ব্যাক্তিদের(বিজ্ঞানী/উচ্চমানের কারিগরী ব্যাক্তিত্ব,গবেষক/জাতীয় অধ্যাপক/অবসর নেওয়া আমলা,ব্যাক্তি স্বার্থহীন সমাজসেবক,প্রধান নির্বাহী/শিল্পো উদ্যোক্তা(১০০ কোটির উপরে মূলধনী কোম্পানী থেকে অবসর নেওয়া ব্যাক্তিত্ব),বহুজাতীক প্রতিষ্ঠানের প্রধানের পদ থেকে অবসর নেওয়া ব্যাক্তিত্ব,আপিল বিভাগ থেকে অবসর নেওয়া বিচারক,সংসদে প্রতিনিধিত্ব নেই কিন্তু ১ শতাংশের উপরে ভোট পেয়েছে এরকম দলের সদস্য) মধ্য থেকে এমন ভাবে নিয়োগ দিবেন যাতে প্রতি বিভাগ থেকে অন্তত একজন নিয়োগ পায় । এই ১০ জনের কমপক্ষ্যে ৫ জনের সমর্থন পেতে ব্যার্থ হলে সরকার কোন আইন পাস করাতে পারবে না।
৭. নির্বাচিত কোন সংসদ সদস্য/রাষ্ট্রপতি/সরকার প্রধান/সর্বোচ্চ পদে আসীন সরকারী কর্মকর্তা বিদেশে চিকিৎসা নিতে যেতে পারবে না। যেতে হলে পদ ছেড়ে যেতে হবে। মেডিকেল কলেজ বা হাসপাতাল গুলোতে রাজনৈতিক মদদ দেয় কারা? প্রতি বছর জনপ্রতিনিধী ও তার পরিবারের সম্পদের হিসাব দুদকে/প্রেসিডেন্টের কাছে জমা দিতে হবে।
৮. প্রত্যেক মন্ত্রীকে মাসে অন্তত ৫ দিনের কমপক্ষে প্রতিদিন ২ ঘন্টা করে গণপরিবহনে যাতায়াত করতে হবে। প্রমাণ হিসেবে গণপরিবহন চালকের স্বাক্ষর ও ছবি সহ মোবাইল নম্বর পত্রিকায় প্রকাশ করতে হবে।
৯. সংসদ সদস্যদের/জনপ্রতিনিধীদের বেতন-ভাতা বাড়ানো বা অন্য কোন সুবিধা দেওয়ার আগে আয়কর প্রদানকারীদের অনুমোদন নিতে হবে। জনগণের অর্থে তাদের সব বিমান ভ্রমন হবে ইকোনোমি ক্লাসে ।
১০. স্পীকারের অনুমোদন ব্যতীত কোন সাংসদের সংসদে উপস্থীতি যদি টানা ১০০ সংসদীয় দিবসে ৯০ দিনের কম হয় তাহলে তার সদস্য পদ চলে যাবে।
১১. কোন ব্যাক্তি বাংলাদেশে বসবাস করে যদি তার কোন সন্তান কে বিদেশে স্নাতক বা তার নিচের শ্রেণীতে পড়াশুনা করায় অথবা স্নাতক ডিগ্রী সম্পন্ন করায় অথবা কারো স্বামী/স্ত্রী বা সন্তানের বিদেশি নাগরিকত্ব থাকে তাহলে ঐ ব্যাক্তি কোন নির্বাচনে প্রাথী হতে পারবে না। সাধারন মানুষের সন্তানদের দিয়ে ছাত্র রাজনীতি করিয়ে-শীক্ষ্যা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে নিজের সন্তান কে বিদেশে পড়ানো কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
১২. জীবনে কখনো কোন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়নি,একাধিক বার নির্বাচিত বয়স্ক(৫৭ বছরের উপরে)-অস্বছল(যদি বার্ষিক আয় দেশের বার্ষিক মাথাপিছু আয়ের দ্বিগুণের কম হয়) সাবেক জনপ্রতিনীধিদের মুক্তিযোদ্ধাদের মত সম্মানজনক ভাতা দেওয়া যেতে পারে এবং আয়কর দেওয়া লাগবে না।
১৩. না ভোটের দেওয়ার বিধান ফিরিয়ে আনা। কোন নির্বাচনে না ভোট সংখ্যাগরিষ্ঠ হলে,পুনরায় আয়োজিত নির্বাচনে “না ভোট” থাকবে না এবং আগের প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করতে পারবে না। গণভোট বা আয়কর প্রদানকারীদের সম্মতি ছাড়া এ ধরনের আইন এবং রাষ্ট্রপতির প্রস্তাবিত ক্ষমতা কোন সরকার বাতিল করলে ঐ সরকারকে সেনাবাহিনী উচ্ছেদ করে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে তিন মাসের মধ্যে নতুন নির্বাচন দিবে।
১৪. সব ধরনের রাজনৈতিক সমাবেশ হবে টুঙ্গীর তাবলিগ জামায়াতের মাঠের মতো বিশাল এবং ফাঁকা ময়দানে। এতে যানজট সৃষ্টি না করে অপেক্ষাকৃত নিরাপদে সমাবেশ করা সম্ভব হবে।
১৫.প্রধানমন্ত্রী ছাড়া রাষ্ট্রপতি যে কোন মন্ত্রীকে সরাসরি বরখাস্ত করতে পারবেন। সরকার রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে বছরে সর্বোচ্চ একটি জনস্বার্থ বিষয়ক মামলার চূড়ান্ত রায় স্থগিত করতে পারবে।
১৬. দ্রুত জেলা পরিষদের নির্বাচন দেওয়া। জেলাপরিষদের চেয়ারম্যান/সিটি করপোরেশনের মেয়রদের শুধুমাত্র আয়কর প্রদানকারীদের নির্বাচিত রাষ্টপতি বরখাস্ত করতে পারবে।জেলা পরিষদের দলনিরপেক্ষভাবে নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যানদের মধ্য থেকে(মালয়েশিয়ার রাজা নির্বাচনের মতো) রাষ্ট্রপতি একজন বিভাগীয় চেয়ারম্যান নিয়োগ দেবেন যে রাষ্ট্রপতির হয়ে বিভগীয় পুলিশ পরিচালনা করবে ও বিভাগীয় চেয়ারম্যানের হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে । রাজনৈতিক সরকারের অধীনে শুধুমাত্র রাজধানীর পুলিশ থাকবে।আমাদের রাজনীতিকদের নৈতিক ভীত দুর্বল হওয়ার কারণে প্রদেশ সরকার করলে প্রসাসনিক খরচ বাড়বে,ভারতের মতো প্রদেশ- প্রদেশ অর্থনৈতিক ব্যাবধান/বিরোধ তৈরি হবে।
১৭. প্রধান মন্ত্রীর অফিসে কল সেন্টার স্থাপন ও অনলাইন টিকেটিং ব্যাবস্থা চালু করে নাগরিকদের যে কোন জিজ্ঞাসা বা ক্ষোভের যথাযথ জবাব দেওয়া।
১৮.কোন রাজনৈতিক দলের, টানা তিনটি সংসদীয় নির্বাচনে প্রাপ্ত আসন শূন্য হলে বা ১% এর কম ভোট পেলে ঐ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল করা। রাজনৈতিক দলগুলো শুধুমাত্র মুল দল ও যুব সংগঠন রাখতে পারবে যাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম শুধুমাত্র দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
১৯.রাজনীতক/মন্ত্রীরা সরাসরি সাংবাদিকদের কোন প্রশ্নের জবাব দিবে না। সাংবাদিকরা রাজনীতক/মন্ত্রীদের ওয়েবসাইটে প্রশ্ন করবে এবং রাজনীতক/মন্ত্রীরা ঐ ওয়েবসাইটেই সময় নিয়ে ভেবে চিন্তে প্রশ্নের জবাব দিবে।
এতে সদস্য হওয়ার ঠিকানা:https://www.facebook.com/groups/304183119755619/ এখানে আপনার ফেসবুক বন্ধুদের যুক্ত করার সহজ পদ্ধতি: Click This Link
চলবে........
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:১৬