নির্বাচনী ইশতেহার(যে আইন বিধি-বিধান আমরা রাজনৈতিক দল/সংসদকে দিয়ে করাতে চাই)------৮ম পর্ব
************অর্থ, বাণিজ্য,পররাষ্ট্র ও সম্প্রচার*********
১. কথিত রং ফর্সাকারী ক্রীমের প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন বন্ধ করা। এদের কে আফ্রিকার নারীদের ফর্সা করার উদ্যোগ নিতে বলা।যেসব পণ্যওয়ালারা দাবি করে তাদের পণ্য খেলে শিশুরা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি লম্বা হয় তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন বন্ধ করা। তাদের কে বলা ধনী জাপানীদের লম্বা করার উদ্যোগ নিতে । সব ধরনের কোমল পানীয়/কৃত্রীম জুস,ফাস্ট ফুডের বিজ্ঞাপন বন্ধ করা। উপরের তিন প্রকার পণ্যের উপর কমপক্ষে ৩০% ভ্যাট বসানো। দুগ্ধ উৎপাদনে ভর্তুকি আরও বাড়ানো। মুঠোফোনে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পঠানো Call/SMS বন্ধ করা। চুরি যাওয়া প্রতটি মোবাইল ডিভাইস খুঁজে বের করা।
২.দেশে বিদেশী শিল্পীদের দিয়ে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করা এবং বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলে প্রচারিতব্য সকল বিজ্ঞাপনের অভিনয় শিল্পী এদেশীয় হতে হবে। বিদেশী বিজ্ঞাপন ডাবিং করে চালানো যাবেনা। যেসব অনুষ্ঠানে বিদেশী শিল্পীদের আমন্ত্রন করা হয় সেসব অনুষ্ঠানের টিকেটে কমপক্ষে ১০০% ভ্যাট বসানো। বিদেশী টিভি চ্যানেল সম্প্রচারের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১০০% ভ্যাট বসানো।
৩. প্রাইভেট কোম্পানিগুলো ঢাকা বাদে অন্য বিভাগীয়/জেলা শহরে(ঢাকার গুলশাণ কে কেন্দ্র করে ৭৫ কি.মি ব্যাসার্ধের বাইরে) তাদের কপোরেট অফিস(মোট ষ্টাফের কমপক্ষে ২০% এখানে থাকতে হবে)করলে কপোরেট কর হাফ/সিকি/শুন্য করা যেতে পারে।ঢাকা শহরের ভিতরে ব্যাতিক্রম বাদে ১০ জনের বেশি ষ্টাফ আছে এ রকম প্রতিষ্ঠানে(এনজিও,কোচিং সেন্টার,প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়(শুধুমাত্র ঢাকা চট্রগ্রাম শহরের গুলোতে,অন্য শহরের গুলোতে ভর্তূকী দেওয়া যেতে পারে)…)সরকারি কর বসানো। দক্ষিণ কোরিয়া/জার্মানীর বিকেন্দ্রিকরণ বিশ্লেষণ করে দেখা যেতে পারে। ভূমিকম্প প্রবণ ঢাকা কেন্দ্রিক উন্নয়ন সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখার মতো।
৪. দক্ষিণ -মধ্য আমেরিকা,আফ্রিকা মহাদেশ ও রাশিয়ার অর্থনীতি থেকে সর্ব্বোচ্চ সুবিধা পেতে সেখানে আমাদের পদচারণা বাড়ানো দরকার। এজন্য এসব জায়গার ভ্রমন ভিষাধারী বাংলাদেশী নাগরিকদের বিমান টিকিটে ভর্তূকি দেওয়া যেতে পারে। মনে রাখা দরকার সারা পৃথিবী থেকে সম্পদ আহরণ করেই উইরোপ আজকের অবস্থানে।
৫. বিলাস বহুল হোটেল,বড় শপিং মল এবং যেসব অফিসে শীতকালের চার মাস ব্যতীত অন্য সময় লোকজন কোর্ট-টাই পরে অফিসে যাতায়াত করে সেখানে পেট্রোলের মত লাভজনক মুল্যে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে হবে।
৬. সরকারের যেসব পণ্য/সেবা(রেল,গ্যাস,...) থেকে দেশের ৯০ শতাংশের কম মানুষ সরাসরি/পরোক্ষ সুবিধা পায় সেসব পণ্য/সেবা থেকে ভর্তূকি/লোকসান/কমদাম প্রত্যাহার করা।
৭.পরিবেশ দূষণকারী সব ধরনের ব্যাবসায়িক কর্মকান্ডের উপর উঁচু মাত্রার ভ্যাট/কর বসানো। নদীতে পাট পঁচানো বন্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া। এতে প্রতি বছর প্রচুর পরিমান মিঠাপানির মাছ রক্ষা করা সম্ভব হবে।
৮.প্রবাসে বসবাসরত/বৈধ কাজের ভিসা নিয়ে বিদেশে যেতে আগ্রহী নাগরিকদের বছরে সুনির্দিষ্ট পরিমাণ রেমিটেন্স পাঠানোর রসিদ দেখানো স্বাপেক্ষে বিমান বন্দরে ভিআইপি টার্মিনাল ব্যাবহারের সুযোগ দেওয়া।
৯.শেয়ার মার্কেটে কোম্পানিগুলো শুধুমাত্র ক্যাশবোনাস দিতে পারবো। কোম্পানির পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে কমপক্ষে সবসময় ৫০% বা তার বেশি শেয়ার ধারণ করতে হবে।
১০. যে কোম্পানী যে পণ্য উৎপাদন করবে ঐ পণ্যে শুধু ঐ কোম্পানীর ব্রান্ডিং বা সিল থাকবে। প্রত্যেক কোম্পানী লাভের কমপক্ষে ১০% ,১ বছর বা তার বেশি সময় ধরে ঐ কোম্পানীতে নিয়োজিত কর্মীদের মধ্যে ভাগ করে দিতে বাধ্য থাকবে।
১১. আয়কর থেকে আসা অর্থের উপর আয়কর প্রদানকারীদের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতির একক নিয়ন্ত্রণ থাকবে যা দিয়ে রাষ্ট্রপতি বিচারবিভাগ ,নির্বাচন কমিশন,এ্যাটর্নী জেনারেল,পররাষ্ট্র-সংস্থাপন-স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ,তদন্ত-বিশ্লেষণ বিভাগ (প্রস্তাবিত FBI/CBI এর মত),দুর্নীতি দমন কমিশন এবং সম্ভব হলে সরকারী কর্মকমিশনের ব্যায় নির্বাহ করবেন।
১২. অবৈধ ভাবে বসবাস করা এবং কাজ করা বিদেশীদের ধরার জন্য প্রতি মাসে বিশেষ অভিযান চালানো এবং কমপক্ষে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা। বিদেশীদের কাজের অনুমতির বিষয়ে জার্মান নীতি বিবেচনা করা যেতে পাারে। ভারতের সিকিম,পাঞ্জাব,আসাম,মহারাষ্ট্র(বর্গী),... প্রদেশের মানুষের উপর এদেশে আসা এবং কাজ করার উপর অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রন আরোপ করা। অনেক ভারতীয়, টুরিষ্ট ভিসা নিয়ে এদেশে লাখ-লাখ টাকা বেতনে চাকরি করে ,এটা বন্ধ করা।
১৩.জনগণের টাকায় কেনা প্রতিটি গাড়ি সরাসরি জনগণের সেবায়(হাসপাতলের এ্যাম্বুলেস্ন,থানা/হাইওয়ে পুলিশের ডিউটিতে,ভ্রাম্যমান আদালত, ফায়ার সার্ভিস...) কমপক্ষে প্রথম ৩ বছর ব্যাবহার করতে হবে। ৩ বছর পর এই গাড়িগুলো সচীব –মন্ত্রীরা ব্যাবহার করবে। অ্যাম্বুলেন্স সেবা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সঙ্গে সংযুক্ত করা। এ্যাম্বুলেস্ন,থানা/হাইওয়ে পুলিশ,ভ্রাম্যমান আদালত, ফায়ার সার্ভিস সহ অন্যান্য জরুরী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ফোন নম্বর সমূহ সব টিভি ও রেডিওতে প্রতিদিন অন্তত একবার প্রচার করা ।
১৪. তামাক জাতীয়(যেহেতু ব্রীটিশ-আমেরিকান টোবাকো এখানে সিগারেটের ব্যাবসা করে তাই UK ও USA তে এদেশীয় কোম্পানীর সিগারেট রপ্তানির সুযোগ চাওয়া ), কোমল পানীয়, কৃত্রিম জুস, রং ফর্সাকারী ক্রীম বা এরকম পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট কর ৫০% করা । এসব প্রতষ্ঠানে কাজ করা লোকজনের আয়কর সর্বোচ্চ ৬০% করা । প্রচলিত আয়কর মাসিক ৫ লাখের উপরে আয়ের ক্ষেত্রে আয়ের ৪০/৪৫% করা। টানা ৩ বছর আয়কর দেওয়ার রেকর্ড আছে এরকম আয়কর প্রদানকারীদের CIP দের মতো সুবিধা দেওয়া।
১৫. দেশভিত্তিক যেসব সূচক আছে যেমন দুর্নিতী , আইনের শাসন, আয় অসমতা, মানব উন্নয়ন ইত্যাদি সূচকে প্রতি বছর কমপক্ষে এক ধাপ অগ্রগতি অর্জন করা যতক্ষণ না আমরা প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে পোঁছাই।
১৬. সীমান্তের প্রতিটা হত্যকান্ডের(শুধুমাত্র দিনের বেলা সংঘটিত,রাতের বেলা যারা সীমান্তের ওপারে যায় তারা পেশাদার চোর ডাকাত তাদের দায়ভার রাষ্ট্র নিবে না,রাতের বেলায় কোন আগন্তুক আপনার ঘরে ঢুকলে আপনি কি তাকে শরবত খাওয়াবেন?) বিচারের জন্য চায়নাকে নিয়ে সার্ক আদালত গঠন করা অথবা চায়না পাকিস্তানের সাথে সীমান্তরক্ষ্যী বিনিময় করা।
১৭.OPEC এর মতো শ্রমীক রপ্তানিকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি চুক্তি করা, যাতে প্রবাসী শ্রমীকদের বেতন একটি নির্দিষ্ট অংকের নিচে না নামে। শুধুমাত্র আধাদক্ষ-দক্ষ ও কমপক্ষ্যে S.S.C পাস নাগরিকদের বিদেশে চাকুরীতে যেতে দেওয়া । অদক্ষ ও অশিক্ষিত লোকজন বিদেশে পাঠালে ,তারা কম বেতনে কাজ করবে ও অপরাধে জড়াবে ফলে বর্হিবিশ্বে আমাদের পাসপোর্টের অবমূল্যায়ন হবে। গৃহকর্মী হিসেবে নারীদের বিদেশে পাঠানো সম্পূর্ণ বন্ধ করা।
অর্থ, বাণিজ্য,পররাষ্ট্র ও সম্প্রচার
১. কথিত রং ফর্সাকারী ক্রীমের প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন বন্ধ করা। এদের কে আফ্রিকার নারীদের ফর্সা করার উদ্যোগ নিতে বলা।যেসব পণ্যওয়ালারা দাবি করে তাদের পণ্য খেলে শিশুরা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি লম্বা হয় তাদের পণ্যের বিজ্ঞাপন বন্ধ করা। তাদের কে বলা ধনী জাপানীদের লম্বা করার উদ্যোগ নিতে । সব ধরনের কোমল পানীয়/কৃত্রীম জুস,ফাস্ট ফুডের বিজ্ঞাপন বন্ধ করা। উপরের তিন প্রকার পণ্যের উপর কমপক্ষে ৩০% ভ্যাট বসানো। দুগ্ধ উৎপাদনে ভর্তুকি আরও বাড়ানো। মুঠোফোনে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পঠানো Call/SMS বন্ধ করা। চুরি যাওয়া প্রতটি মোবাইল ডিভাইস খুঁজে বের করা।
২.দেশে বিদেশী শিল্পীদের দিয়ে কোন ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ করা এবং বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলে প্রচারিতব্য সকল বিজ্ঞাপনের অভিনয় শিল্পী এদেশীয় হতে হবে। বিদেশী বিজ্ঞাপন ডাবিং করে চালানো যাবেনা। যেসব অনুষ্ঠানে বিদেশী শিল্পীদের আমন্ত্রন করা হয় সেসব অনুষ্ঠানের টিকেটে কমপক্ষে ১০০% ভ্যাট বসানো। বিদেশী টিভি চ্যানেল সম্প্রচারের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ১০০% ভ্যাট বসানো।
৩. প্রাইভেট কোম্পানিগুলো ঢাকা বাদে অন্য বিভাগীয়/জেলা শহরে(ঢাকার গুলশাণ কে কেন্দ্র করে ৭৫ কি.মি ব্যাসার্ধের বাইরে) তাদের কপোরেট অফিস(মোট ষ্টাফের কমপক্ষে ২০% এখানে থাকতে হবে)করলে কপোরেট কর হাফ/সিকি/শুন্য করা যেতে পারে।ঢাকা শহরের ভিতরে ব্যাতিক্রম বাদে ১০ জনের বেশি ষ্টাফ আছে এ রকম প্রতিষ্ঠানে(এনজিও,কোচিং সেন্টার,প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়(শুধুমাত্র ঢাকা চট্রগ্রাম শহরের গুলোতে,অন্য শহরের গুলোতে ভর্তূকী দেওয়া যেতে পারে)…)সরকারি কর বসানো। দক্ষিণ কোরিয়া/জার্মানীর বিকেন্দ্রিকরণ বিশ্লেষণ করে দেখা যেতে পারে। ভূমিকম্প প্রবণ ঢাকা কেন্দ্রিক উন্নয়ন সব ডিম এক ঝুড়িতে রাখার মতো।
৪. দক্ষিণ -মধ্য আমেরিকা,আফ্রিকা মহাদেশ ও রাশিয়ার অর্থনীতি থেকে সর্ব্বোচ্চ সুবিধা পেতে সেখানে আমাদের পদচারণা বাড়ানো দরকার। এজন্য এসব জায়গার ভ্রমন ভিষাধারী বাংলাদেশী নাগরিকদের বিমান টিকিটে ভর্তূকি দেওয়া যেতে পারে। মনে রাখা দরকার সারা পৃথিবী থেকে সম্পদ আহরণ করেই উইরোপ আজকের অবস্থানে।
৫. বিলাস বহুল হোটেল,বড় শপিং মল এবং যেসব অফিসে শীতকালের চার মাস ব্যতীত অন্য সময় লোকজন কোর্ট-টাই পরে অফিসে যাতায়াত করে সেখানে পেট্রোলের মত লাভজনক মুল্যে বিদ্যুৎ বিক্রি করতে হবে।
৬. সরকারের যেসব পণ্য/সেবা(রেল,গ্যাস,...) থেকে দেশের ৯০ শতাংশের কম মানুষ সরাসরি/পরোক্ষ সুবিধা পায় সেসব পণ্য/সেবা থেকে ভর্তূকি/লোকসান/কমদাম প্রত্যাহার করা।
৭.পরিবেশ দূষণকারী সব ধরনের ব্যাবসায়িক কর্মকান্ডের উপর উঁচু মাত্রার ভ্যাট/কর বসানো। নদীতে পাট পঁচানো বন্ধে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া। এতে প্রতি বছর প্রচুর পরিমান মিঠাপানির মাছ রক্ষা করা সম্ভব হবে।
৮.প্রবাসে বসবাসরত/বৈধ কাজের ভিসা নিয়ে বিদেশে যেতে আগ্রহী নাগরিকদের বছরে সুনির্দিষ্ট পরিমাণ রেমিটেন্স পাঠানোর রসিদ দেখানো স্বাপেক্ষে বিমান বন্দরে ভিআইপি টার্মিনাল ব্যাবহারের সুযোগ দেওয়া।
৯.শেয়ার মার্কেটে কোম্পানিগুলো শুধুমাত্র ক্যাশবোনাস দিতে পারবো। কোম্পানির পরিচালকদের সম্মিলিতভাবে কমপক্ষে সবসময় ৫০% বা তার বেশি শেয়ার ধারণ করতে হবে।
১০. যে কোম্পানী যে পণ্য উৎপাদন করবে ঐ পণ্যে শুধু ঐ কোম্পানীর ব্রান্ডিং বা সিল থাকবে। প্রত্যেক কোম্পানী লাভের কমপক্ষে ১০% ,১ বছর বা তার বেশি সময় ধরে ঐ কোম্পানীতে নিয়োজিত কর্মীদের মধ্যে ভাগ করে দিতে বাধ্য থাকবে।
১১. আয়কর থেকে আসা অর্থের উপর আয়কর প্রদানকারীদের নির্বাচিত রাষ্ট্রপতির একক নিয়ন্ত্রণ থাকবে যা দিয়ে রাষ্ট্রপতি বিচারবিভাগ ,নির্বাচন কমিশন,এ্যাটর্নী জেনারেল,পররাষ্ট্র-সংস্থাপন-স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ,তদন্ত-বিশ্লেষণ বিভাগ (প্রস্তাবিত FBI/CBI এর মত),দুর্নীতি দমন কমিশন এবং সম্ভব হলে সরকারী কর্মকমিশনের ব্যায় নির্বাহ করবেন।
১২. অবৈধ ভাবে বসবাস করা এবং কাজ করা বিদেশীদের ধরার জন্য প্রতি মাসে বিশেষ অভিযান চালানো এবং কমপক্ষে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা। বিদেশীদের কাজের অনুমতির বিষয়ে জার্মান নীতি বিবেচনা করা যেতে পাারে। ভারতের সিকিম,পাঞ্জাব,আসাম,মহারাষ্ট্র(বর্গী),... প্রদেশের মানুষের উপর এদেশে আসা এবং কাজ করার উপর অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রন আরোপ করা। অনেক ভারতীয়, টুরিষ্ট ভিসা নিয়ে এদেশে লাখ-লাখ টাকা বেতনে চাকরি করে ,এটা বন্ধ করা।
১৩.জনগণের টাকায় কেনা প্রতিটি গাড়ি সরাসরি জনগণের সেবায়(হাসপাতলের এ্যাম্বুলেস্ন,থানা/হাইওয়ে পুলিশের ডিউটিতে,ভ্রাম্যমান আদালত, ফায়ার সার্ভিস...) কমপক্ষে প্রথম ৩ বছর ব্যাবহার করতে হবে। ৩ বছর পর এই গাড়িগুলো সচীব –মন্ত্রীরা ব্যাবহার করবে। অ্যাম্বুলেন্স সেবা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সঙ্গে সংযুক্ত করা। এ্যাম্বুলেস্ন,থানা/হাইওয়ে পুলিশ,ভ্রাম্যমান আদালত, ফায়ার সার্ভিস সহ অন্যান্য জরুরী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের ফোন নম্বর সমূহ সব টিভি ও রেডিওতে প্রতিদিন অন্তত একবার প্রচার করা ।
১৪. তামাক জাতীয়(যেহেতু ব্রীটিশ-আমেরিকান টোবাকো এখানে সিগারেটের ব্যাবসা করে তাই UK ও USA তে এদেশীয় কোম্পানীর সিগারেট রপ্তানির সুযোগ চাওয়া ), কোমল পানীয়, কৃত্রিম জুস, রং ফর্সাকারী ক্রীম বা এরকম পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট কর ৫০% করা । এসব প্রতষ্ঠানে কাজ করা লোকজনের আয়কর সর্বোচ্চ ৬০% করা । প্রচলিত আয়কর মাসিক ৫ লাখের উপরে আয়ের ক্ষেত্রে আয়ের ৪০/৪৫% করা। টানা ৩ বছর আয়কর দেওয়ার রেকর্ড আছে এরকম আয়কর প্রদানকারীদের CIP দের মতো সুবিধা দেওয়া।
১৫. দেশভিত্তিক যেসব সূচক আছে যেমন দুর্নিতী , আইনের শাসন, আয় অসমতা, মানব উন্নয়ন ইত্যাদি সূচকে প্রতি বছর কমপক্ষে এক ধাপ অগ্রগতি অর্জন করা যতক্ষণ না আমরা প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে পোঁছাই।
১৬. সীমান্তের প্রতিটা হত্যকান্ডের(শুধুমাত্র দিনের বেলা সংঘটিত,রাতের বেলা যারা সীমান্তের ওপারে যায় তারা পেশাদার চোর ডাকাত তাদের দায়ভার রাষ্ট্র নিবে না,রাতের বেলায় কোন আগন্তুক আপনার ঘরে ঢুকলে আপনি কি তাকে শরবত খাওয়াবেন?) বিচারের জন্য চায়নাকে নিয়ে সার্ক আদালত গঠন করা অথবা চায়না পাকিস্তানের সাথে সীমান্তরক্ষ্যী বিনিময় করা।
১৭.OPEC এর মতো শ্রমীক রপ্তানিকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি চুক্তি করা, যাতে প্রবাসী শ্রমীকদের বেতন একটি নির্দিষ্ট অংকের নিচে না নামে। শুধুমাত্র আধাদক্ষ-দক্ষ ও কমপক্ষ্যে S.S.C পাস নাগরিকদের বিদেশে চাকুরীতে যেতে দেওয়া । অদক্ষ ও অশিক্ষিত লোকজন বিদেশে পাঠালে ,তারা কম বেতনে কাজ করবে ও অপরাধে জড়াবে ফলে বর্হিবিশ্বে আমাদের পাসপোর্টের অবমূল্যায়ন হবে। গৃহকর্মী হিসেবে নারীদের বিদেশে পাঠানো সম্পূর্ণ বন্ধ করা।
৭ তম পর্বের জন্য : Click This Link
চলবে........
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৫