somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আইন চাই: কোনও মুন্সি বা মাওলানারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে পারবে না !!

১৩ ই অক্টোবর, ২০১২ রাত ৩:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত আর দুই লক্ষ মা- বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে উদ্ধার হয়ে আসা এই স্বাধীন বাংলাদেশ এর সামগ্রিক ধর্মীয় পরিস্থিতি। অবস্থা এতই বেগতিক কয়েক দিন পরে শুক্রবার দিন জুমার নামায আদায় করতে মসজিদে গেলে সাথে করে নিয়ে যেতে হবে একে দেশী রাম দা। কারণ পাকিস্তানের মত নিয়ম শুরু হয়ে যাচ্ছে যে শুক্রবার দিন জুমার নামায বাদ রাস্তায় নেমে টুপি মাথায় দিয়ে বাল চিরতে হবে মুচুল্লিদের। কারণ নেই যৌক্তিকতা নেই শুধু নারায়ে তকদির বলে শুরু করে দিলেই হবে। কিসের জন্য আন্দোলন ? কার জন্য আন্দোলন ? কেউ জানে না শুধু জানে একটু পরে যখন পুলিশ এসে বাধা দিবে তখন আর কোনও কথা নেই হাতের সামনে ডিলা,কুলপ যা থাকবে তাই ছুড়ে মারতে হবে পুলিশের নাক বরাবর। এতে করে পুলিশের নাক দিয়ে রক্ত বের হলো কিনা তাতে কারো মাথা ব্যাথা নেই, কিন্তু যখন পুলিশ এসে পিটানি শুরু করে তখন শুরু হয় স্থায়ী খুতবা, খুতবার ভাষা থাকে বেশ অন্যরকম কিসিমের যেখানে খুজে ফিরলে পাওয়া যেতে পারে খাঙ্কির ছেলে পুলিশের বাচ্চা টাইপের মহাবচন। আরও অনেক না বলার মত কথা যা সাধারনত চলমান ভদ্র সমাজে খুব সহজে বলা যায় না। তারপরে সন্ধায় সাংবাদিক সম্মেলন, সেখানে বলা হয়ে থাকে, এই সরকারের হাতে এচলাম ধর্ম নিরাপদ না, পুলিশের হাতে আমাদের টুপি নিরাপদ না, আমরা নিরপেক্ষ জাতিসংগের তদন্ত কমিটি চাই কেন আমাদের বাধা দেওয়া হলো। ইত্যাদি টাইপের কথা।

বলা বাহুল্য পাগল হয়ে যেতে শুরু করেছি মুচুল্লিদের এহেন কর্মকান্ডে। কী চায় এইসব মুচুল্লিরা ? বাল চিরতে চায় ? এচলামিক আইন চায় ? মেয়েদের মাথায় হিজাব চায় ? ইন্ডিয়ান চ্যানেল বন্ধ চায় ? আর নিজেদের বেলায় মুন্সি-মাওলানারা টুপি খুলে নেকেট ফিলিম দেখে বলে উঠে ওহ গড একবার মিলা দে, আমিও কেমন পারি। ঘরে বসে মুননি-শিলার খুল্লামা খুললামা নাচ দেহে আর নিজের অজান্তে বলে উঠে একদম জিরো ফিগার। দেখেন কেমন চরিত্র ওদের। শুধু তাই না ব্লগে দেখবেন ১৮+ পোস্টে তাদের রয়েছে অবাধ বিচরণ। প্রশ্ন করি এই সব ধর্মান্ধতা কী তাহলে লোক দেখানো ? নাকি নিজেকে এচলামের একজন বলে প্রমাণ করার প্রয়াস ?


কয়েক বছর আগে পর্যন্ত কিন্তু এমনটি ছিল না। যেই কিনা বেগম খালেদা জিয়া উনার গত শাসনামলে নিজামী, মুজাহিদ কে লাল বাত্তি ওয়ালা গাড়ি উপহার দিয়েছিলেন আর তখন থেকেই এই সব মুন্সী-মাওলানারা তাদের বাল দিয়া গুট্টি উড়ান শুরু করে দিয়েছে। এই প্রসঙ্গে দেখুন গতকালকের একটি খবর ইসলামীদলের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, পল্টন রণক্ষেত্র শিরোনামের।

প্রিয় পাঠক, পোস্ট পড়ে মনে কস্ট পেলে ও কিছু করার নেই। কারণ একটি বাংলাদেশ এর জন্ম কিন্তু কোনও ধর্মান্ধতার প্রভাবে হয়নি। তাহলে যে বাংলাদেশ এর জন্ম সুত্রে কোনও ধর্মান্ধতা কাজে লাগেনি,বরঞ্চ এই ধর্মান্ধতা স্বাধীন বাংলাদেশ যাতে না হতে পারে তার বিরোধিতা করেছে। সেই ধর্মান্ধতা দিয়ে এখন বাংলাদেশ এর এমন কী উপকার হচ্ছে ? যে এই ধর্মান্ধতা ধুয়ে তিন বেলা আমাদের নিয়মিত পানি খেতে হবে ? যদি না খাই তাহলে আমাদের খুব সমস্যা হবে। যত সব আবালের দল।

বলতে চাই, আমরা এইসব ধর্মান্ধ প্রশ্ন আর দেখতে চাই না, আমরা চাই একটি আইন যেখানে শুধু মাত্র মুন্সী-মাওলানারা রোজা আর নামায নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। বাকি দিন দুনিয়া নিয়ে তাদের কোনও মাথা ব্যাথা থাকবে না। মনে রাখতে হবে এচলামের আদর্শ নিয়ে এই দেশ স্বাধীনতা লাভ করেনি। এই দেশ স্বাধীনতা লাভ করেছে সকল ধর্ম, বর্ণের মানুষের আদর্শ নিয়ে। এই দেশে শুধু এচলাম অনুসারীরা থাকবে আর অন্য ধর্মের অনুসারীরা থাকবে না তা হবে না। সবাই থাকবে একে অপরের ভাই বা বন্ধু হয়ে এই হোক আগামী দিনের প্রত্যাশা।

ধর্মান্ধতা নিপাত যাক, মুন্সি-মাওলানাদের আন্দোলন নিপাত যাক।

সকলের জন্য শুভ কামনা।

@সুলতান মির্জা
২৯টি মন্তব্য ২৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২৮

অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।



১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:০৬


যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?

যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!

যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:১২



আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×