somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

‘আমি চাইনা তুমি ফিরে আসো; সঙ্গে কিছু মিথ্যে নিয়ে, অন্য শরীরের গন্ধ নিয়ে…’

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মানুষ তার বিপরীত মানুষের বিশ্বাসের সমান প্রতারক, সরলতার সমান সুযোগসন্ধানী, আগ্রহের সমান উদাসীন। বাতাসে ভাসমান পাতা যদি কখনো পথ পরিবর্তন করে, তাহলে সেটা আকস্মিক মানা যায়। কিন্তু কোনো উড়ন্ত পাখি যদি তার পথ পরিবর্তন করে, তবে তাকে পরিকল্পনাই বলা হয়। ফুল যদি কখনো ঈশ্বরের চরণে সমর্পিত না হয়ে নর্তকীর কবরীতে স্থান পায়, তাতে ঈশ্বরের অপমান হয় না; ফুলেরই দুর্ভাগ্য বটে। মনে পড়ে সক্রেটিসের কথা; তিনি বলেছিলেন, কোনো মানুষের যদি সাধন করার মতো মহত কার্য থাকে, তাহলে তার সম্মুখে প্রশ্ন, জীবন কিংবা মৃত্যু নয়। তার বিবেচনার একমাত্র বিষয় হওয়া আবশ্যক, আপন কার্য সাধনে সে কোথাও অন্যায় কিংবা অবিচারের আশ্রয় গ্রহন করলো কি না।

এমন অনেক দম্পতি আছেন, যারা সারাজীবন একসাথে থাকার পর বুঝতে পারেন একে অন্যের মনের মত নন। সংসার অনেক ক্ষেত্রেই অভ্যাস, কর্তব্যবোধ আর খানিকটা মায়া। সেখানে ভালোবাসা থাকতেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নাই। ভালো ব্যবহার করেও একসঙ্গে সারাজীবন কাটানো যায়। একসাথে বাঁচার জন্য কতদিন পেলাম? তারচেয়েও বড় কথা যতদিন পেলাম তার মধ্যে কতটা সময় একসাথে কাটালাম! কিছু সম্পর্কে হৃদয়ের জ্যামিতি যতখানি নিখুঁত মাপের ধরা পড়ে, গভীরতা ততখানি মুখ খোলে না...। সম্পর্ক আসলে একধরনের ইনিভিজিবল টেনশন। হারানোর ভয় তখন হেরে যাওয়ার বেদনাকেও হারিয়ে দিয়ে প্রা্ইওরিটি লিষ্টে আগে চলে আসে। আমি বেনালোপ নই যে অপেক্ষাতে কাটিয়ে দিবো জীবন। নির্লজ্জ স্বার্থবুদ্ধিতে(!) নিজেকে আমার মাঝে মাঝেই মিস ‘মিসফিট’ মনে হয়।

আমরা যা চাই, খুব অদ্ভুতভাবে সেটাকে আমরা আমাদের প্রাপ্য বলে ধরে নিই। অপ্রতিরোধ্য ঐশ্বর্যময় জীবনের ইচ্ছে কার না হয়? সময় আমাদেরকে সহনশীল করে দেয়। অভিমানের দেয়াল মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়ে একসময় নিজেই খসে পড়ে। এখন বুঝি শুধু নিজের উপর আস্থা রেখে কোনো সম্পর্কে জড়ানো ঠিক না। যার কিংবা যাদের সাথে সম্পর্কিত হতে যাচ্ছি তাদেরকেও বোঝাটা জরুরি। ভদ্রতার শীতলতা... কি অসহ্য! পাশের মানুষটির অপূর্নতা ভালো। তাকে পূর্ণ হওয়ার পথে সঙ্গ দেয়া যায়। পূর্ণ চাঁদও খুব দ্রুত অমাবস্যার দিকে এগোয়।

সংসারে মানুষের দুটি চেহারা থাকে, অসাধু ব্যবসায়ীর যেমন থাকে দুটো খাতা, খাজনা ফাঁকি দেয়ার জন্য। তোমার মধ্যে সরলতা যতটা ছিলো, সততা ততটা ছিলো না। কেউ অনেক ভালোবাসে, আর কেউ অনেককে ভালোবাসে। দ্বিতীয়দলের তোমারকে আমার মাঝে মধ্যেই লিখতে ইচ্ছে করে, ‘তোমার সত্যিটা আমার মনোপুত হয় নাই। তুমি কি আরেকটা সত্যি বলবা প্লিজ’। মানুষের সবকিছুতে ভুল হতে পারে, তবে ভুল ভাঙ্গতে ভুল হয় না। নিরস্ত্র হলেও আমি আসলে ভালো রকমের যুদ্ধবাজ। আমরা এখন একে অন্যের সমস্যা নই, অনেক ক্ষেত্রেই স্মৃতি। কিছু সম্পর্ক আসলে নিমজ্জিত জাহাজ, স্মৃতি যাকে জলের মতো ঘিরে রাখে। ভালোবাসা আর শ্রদ্ধাবোধ থাকলে মানুষ পরস্পরের প্রতি বিশ্বস্ত থাকে। মানুষ আসলে বিশ্বস্ততা চায়।

অকাল সন্ধেতে অতীত আসে এক রেলগাড়ী ভরতি বিষাদ নিয়ে। ভাবনায় আমরা বাক্য নয় বরং পয়সা বিনিময়ের মতো করে গুনে বুঝে কথা বলি। অধিকাংশ পুরুষের মতই তুমি আমার অভিমানের রেখা ছুঁতে পারোনি। তুমি প্রায়শ অনেক কথার বাইরের অর্থটা বোঝ, ভেতরের মর্মটা বুঝতে পারো না। তুমি নিজেকে যা ভাবো, কোনো ভাবেই তার ধারপাশ দিয়ে যাও না। জগতে উচিৎ বাক্যের মতো অসহনীয় আর কী আছে? আমাদের ভালোবাসা খুব সযত্নে তোলা রইলো।

বি. দ্র. কেমন আছি আমি? বড় জটিল প্রশ্ন; বড় জরুরী প্রশ্ন।
'ব্যথার অথৈ গাঙ- চিরকাল আমি তার উজানের মাঝি’...
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১০:২৩
৩১টি মন্তব্য ৩১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×