somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি কেনো খুনী নই

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথমেই বলে রাখি লিখাটা কিঞ্চিৎ সামাজিক প্রেক্ষাপটে অসামঞ্জস্যপূর্ন, এই লেখা থেকে কেউ উদ্বুদ্ধ হলে লেখক দায়ী নয় । এখানে কাউকে কোনকিছুতে বাধ্য করা হচ্ছে না। বরং লেখাটি পড়ে ভুলে গেলেই কৃতজ্ঞ থাকবো।

সম্প্রতি আত্মহত্যা নিয়ে বেশ শোরগোল, ঢাবির কয়েকজন আত্মহত্যার পর ভিকারুননিসা স্কুলের এক বালিকার আত্মহত্যা পুরো দেশকে একসাথে স্তব্ধ করে দিয়েছে। প্রায়ই শুনি অমুক জায়গায় অমুকের আত্মহত্যা। জানার ইচ্ছা জাগলো কেনো মানুষ আত্মহত্যা করে। উইকিপিডীয়া সহো আরো কয়েকটি বেশ কয়েকজায়গায় পেলাম এর প্রধান কারন মানসিক সমস্যা। মানতে কষ্ট হলো। বিজ্ঞানীরা হতাশাকেও অনেকসময় মানসিক সমস্যা বলে তাতেই আমার অমত। মানুষ সবসময় হাসিখুসি থাকবে, দাঁত কেলাইয়া মনের সুখে ম্যাচের কাঠি দিয়ে কান চুলকাবে এইটা চাওয়া খুবিই অস্বাভাবিক। কেউ ব্যথিত থাকতেই পারে, ভেতরে পুরে খাক হয়ে যাওয়া হৃদয় নিয়ে হাসিমুখে আপনাকে উত্তর দিবে , "জ্বী ভালো আছি, আপনি ভালো?" এইটা ভাবাই বরং অমানবিক।
প্রত্যেক মানুষের নিজস্ব চিন্তা চেতনা থাকবে, থাকাটাই স্বাভাবিক। কেউ যদি তার জীবনে আর কোন আশা খুঁজে না পায়, কেউ যদি ভাবে তার আর কোন সূর্যদয় দেখার কোন ইচ্ছা নেই, তবে এই সামাজিক দেহকে খাবার পানি দিয়ে লালন পালনে আমি কোন মানে খুঁজে পাই না। সব সমস্যার সমাধান থাকবে এমন কোন কথা নেই। আপনার দেহের বাইরে বড় আপনি বিদ্যমান। দেহটা কেবল একটা সমাজের উপকরন মাত্র। আপনি ভুল পৃথিবীতে জন্মগ্রহন করতে পারেন, আপনার মনে হতেই পারে যেই পৃথিবীতে আপনি আছেন তা আপনার জন্য না। কোন ছোট ঘটনাও আপনার এই বোধদয়ের উপকরন হতে পারে। আপনার মনের মৃত্যু দেহের মৃত্যুর আগেই ঘটতে পারে। সেখানে আপনার অধিকারই আছে বলাযায়!
কেন আমি অধিকার বললাম? আপনার নিজের দেহের মালিক কে? অবশ্যই আপনি। এখনো যদি না বুঝেন তবে একটা সুঁই হাতে নিন, ফুটিয়ে দিন আপনার হাতের তালুতে। কি ভাবছেন? আপনি ছাড়াও আরো শ'খানেক মানুষ চিৎকার করে উঠবে? আপনার প্রিয় মানুষটাই তো জানলো না! তবে আপনি কেন আপনার দেহের সাথে আত্মার বিচ্ছেদে অন্যের আপত্তি থাকবে? কেনো আপনাকে জীবনের সাথে লড়াই করতেই হবে? লড়াই করেই বা কয়জন সফল হয়? পৃথিবীতে কয়জন বিলগেটস আছে? কয়জন রুপারড মুরদোচ?
কে কি করবে, কিভাবে সে নিজের জীবন পরিচালনা করবে তা একান্তই তার ব্যক্তিগত অধিকার। এইখানে অন্য কারো বলার অধিকার নেই। তারা হয়তো আপনার সামাজিক অস্তীত্বকে খুঁজে ফিরবে। "আপনাকে" না।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৫৯
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মব রাজ্যে উত্তেজনা: হাদির মৃত্যুতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:৪২

রোম যখন পুড়ছিল নিরো নাকি তখন বাঁশি বাজাচ্ছিল; গতরাতের ঘটনায় ইউনুস কে কি বাংলার নিরো বলা যায়?



বাংলাদেশ প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পদটি সবসময় ছিল চ্যালেঞ্জিং।‌ "আল্লাহর... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×