বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আইঞন পরিবর্তন করে হলেও সরকার যদি বিরোধীদলের নেতা বেগম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) নিয়োগের ব্যবস্থা করে তাহলে বিএনপি ও দেশের মানুষ খুশি হবে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে বিরোধীদলের নেতার (শেখ হাসিনা) এসএসএফ প্রত্যাহার করা হয়েছিল-সরকারের এমন অভিযোগের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সেসময় ভুল করেছি। কিন্তু এখন সেই দোহাই দিয়ে বিরোধীদলের নেতার নিরাপত্তার জন্য এসএসএফ দেওয়া হবে না এটা ঠিক নয়।
তিনি বলেন, তখনকার পেক্ষাপট আর বর্তমান প্রেক্ষাপট এক নয়।
রোববার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব দাবি করে বলেন, সাম্প্রতি বেগম খালেদা জিয়ার উপর বেশ কয়েকবার হামলার চেষ্টা হয়েছে। আমরা তার নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। সরকার অনেক আইন সংশোধন ও পরিবর্তন করছে। আইন পরিবর্তন করে হলেও বিরোধী দলের নেতার এসএসএফ নিরাপত্তা দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
বিরোধীদলের নেতার নিরাপত্তায় এসএসএফ নিয়োগ দেওয়া প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ-এর সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি সরকারের বক্তব্য কীনা-সে বিষয়ে আমরা এখনও কিছু জানি না।
উল্লেখ্য, শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলের নেতার নিরাপত্তা জোরদার করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে র্নিদেশ দেন। এরপরই সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলেয় নেতার পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ে বোমা হামলার সাথে বিএনপি মহাসচিব পুত্র পবনের সম্পৃক্ততা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের রাজনৈতিক কালচারটাই এমন। কোন কিছু ঘটলেই আমরা একে অপরকে দোষারোপ করি।
তিনি বলেন, এ ঘটনার তদন্ত চলছে। আশা করি, তদন্তের মাধ্যমেই প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ পাবে। তবে এ তদন্ত নিয়েও জনমনে সংশয় রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জু এমপি, সহ দফতর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি।
পার্বত্য চট্টগ্রামের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির জন্য জিয়াউর রহমান দায়ী-সরকারপক্ষ থেকে দেওয়া এমন বক্তব্য প্রত্যাখান করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, এটি আওয়ামী লীগের নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সৃষ্টি। তিনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের কথা বলে সবাইকে বাঙালি হয়ে যেতে বলেছিলেন। তারপর থেকেই এ অঞ্চলের পাহাড়ি-বাঙালিদের মধ্যে সহিংসতা ও বিশৃংঙ্খলা শুরু হয়।
পাহাড়িদেরকে সরকার ইন্ধন দিচ্ছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, সরকারের মদদেই পাহাড়িরা এখন পার্বত্য অঞ্চলকে বাংলাদেশ থেকে আলাদা করার দাবি তুলছে

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



