যুদ্ধবাজ ভারত বারবার প্রমাণ করেছে দুর্বল প্রতিবেশীদের ওপর দমননীতি চালানো, আক্রমণ করা এবং ভূমি দখল করা তাদের স্বভাব। হায়দরাবাদ দখল, সিকিমকে গ্রাস করা, কাশ্মীর দখল ও পাকিস্তানের সঙ্গে একের পর এক যুদ্ধ, এসব উদাহরণই দেখায় ভারতের যুদ্ধবাজ চরিত্র। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নিজেদের শক্তি দেখাতে তারা বহুবার টেলিভিশন চ্যানেলে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু চীন কিংবা যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিশালীদের সামনে এলে সেই যুদ্ধবাজ ভারত শান্ত ও নম্র হয়ে অবতীর্ণ হয়
পরিস্থিতি বদলেছে। সাম্প্রতিক অপারেশন সিন্দুরে ভারত ৫–৬টি রাফালে হারিয়েছে বলে প্রচারিত হয়েছে এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষে ভয়াবহভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সৌদি–পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি পাকিস্তানকে আরও শক্তিশালী করেছে; চীন, মুসলিম বিশ্ব এবং যুক্তরাষ্ট্রও তাদের কৌশলগত অংশীদার। আর ভারত এখন মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল কিংবা ভুটানে কোনো দুঃসাহস দেখাতে পারছে না কারণ প্রতিটি জায়গাতেই চীন সরাসরি বা পরোক্ষভাবে উপস্থিত।
অতএব যুদ্ধবাজ ভারতের নজর পড়েছে বাংলাদেশের দিকে। রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রিত ও ঘনিষ্ঠ মিডিয়া এএনআই পডকাস্ট, পালকি শর্মা, এনডিটিভি ইত্যাদিতে বাংলাদেশকে ঘিরে আক্রমণাত্মক বর্ণনা তৈরি হচ্ছে। সাবেক ভারতীয় কূটনীতিকরাও প্রকাশ্যে বলছেন, ভারতের আশপাশে কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার বলে কিছু নেই, যা কার্যত সরকারি মনোভাবেরই প্রতিফলন। এমনকি ট্রিপুরার কথিত রাজাও প্রকাশ্যে বলেছেন, ভারত চট্টগ্রাম দখল করে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে যুক্ত করা উচিত।
বাংলাদেশ দুর্বল রাষ্ট্র নয়, বাংলাদেশের সেনাবাহিনী একমাত্র বাহিনী যারা যুদ্ধ করে বিজয় এনেছে। যদি যুদ্ধবাজ ভারত চট্টগ্রাম আক্রমণ করে, তবে তারা শুধু ব্যর্থই হবে না, নিজেদের উত্তর-পূর্ব অঞ্চল হারানোর ঝুঁকিও তৈরি করবে। তবুও বাস্তবতা হলো, এখনই বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সামরিক মহড়া, প্রতিরক্ষা চুক্তি এবং মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক দৃঢ় করতে হবে। মিথ্যা প্রচার ও তথ্যযুদ্ধ মোকাবিলায় সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে।
এটি আর কোনো কল্পনা নয়। যুদ্ধবাজ ভারত একদিন বাংলাদেশে আক্রমণ করবে । আর সেই আক্রমণ ভারতের ভেতরেই ভাঙনের সূচনা ডেকে আনতে পারে, কারণ ব্রিটিশরা না করলে ভারত এতদিন একসঙ্গে টিকে থাকত না।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



