জামায়াত ইসলাম এমন একটি দল যার সাংগঠনিক ভিত্তি অনেক শক্ত, তবে বর্তমানে দলটি ক্রমশই দুর্বল হয়ে পড়ছে। জামায়াত ইসলাম দুর্বল হয়ে পড়া জাতির জন্য ভালো খবর। আজ দেখলাম জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিষ্টার আব্দুর রাজ্জাক পদত্যাগ করেছে,পদত্যাগ করার আগে পদত্যাগের দুটি কারন বলেছে, এক জামায়াত ইসলাম মুক্তিযুদ্ধের সময় অপকর্মের জন্য জাতির কাছে ক্ষমা না চাওয়া আর দলকে আধুনিক রাজনীতির সাথে তাল মিলিয়ে পুনঃগঠন না করা।
উনার উপলব্দি সঠিক তবে জামায়াতের কোন কর্মী কিংবা ছোটখাটো কোন ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতার সাথে কথা বললে আপনি বুঝতে পারবেন এই দলটিকে তাদের আদর্শ থেকে সরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব। আমার কাছে মনে হয় এদের আমীরও যদি এই বলে ঘোষণা দেয়, আমরা আমাদের দলের অতীতের কর্মকান্ডের জন্য ক্ষমা চাচ্ছি এবং সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিপক্ষে অবস্থান করছি তারপরেও এদের নেতাকর্মী এটা মেনে নিবে না। সাম্প্রদায়িকতা এদের ব্রেইনে না ডিএনএ চলে গেছে বংশপরম্পরায়! গোলাম আযম একবার তার একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিল "জামায়াত কর্মীরা শহীদ হতে পারে কিন্তু পরিবর্তিত হতে পারে না।" তার কথাটি বলতে গেলে প্রায় শতভাগ সত্যি এবং প্রমাণিত।
৭১ সালে বাংগালীদের বিজয়ের পর ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হলে জামায়াতের নেতারা পাকিস্তানে চলে যায় এবং সেখানে বসবাস করতে থাকে। মেজর জিয়া যদি এই নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে না নিতেন তাহলে জামাত নিয়ে এত মাথা ব্যাথার সৃষ্টি হতো না, বাংলাদেশের রাজনীতি আর একটু কম কুলষিত হত। জেনারেল জিয়া হয়ে এরশাদ, বেগম জিয়া এবং এরপর স্বয়ং শেখ হাসিনাও জামায়াতকে দেশের ক্ষমতায় যেতে মই হিসেবে ব্যবহার করেছে।
আসলে জামায়াত ইসলামকে সব দল গুলি ব্যবহার করেছে এদের অর্থের জন্য। মুক্তিযুদ্ধের পর এরা দেশের ভাঙ্গাচুরা মসজিদ, মাদ্রাসার ছবি নিয়ে গিয়ে আরব দেশ গুলোতে ভিক্ষা করে অনেক টাকার মালিক হয়ে যায়। পরবর্তীতে দেশে রাজনীতির সুযোগ পেয়ে টাকার কুমির হয়।
শেখ হাসিনার কাছে জামায়াত ইসলামীর প্রয়োজনীয়তা মোটামুটি শেষ হয়ে গেছে, এদের ইনকামের উপর কর্তৃত্ব করতে সক্ষম হয়েছে যার কারনে এদের দুর্বল থেকে দুর্বলতর করতে সহজ হচ্ছে।
জামায়াতকে দুর্বল করে বিএনপিকে রিফর্ম করা আরো সহজ হচ্ছে, এই ব্যপারে দেশের ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস গুলো সফল হলে দেশের রাজনীতিতে এটি একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৫৪