somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিএনপি'র রিফর্ম হচ্ছে!

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


৩০শে ডিসেম্বর শেখ হাসিনা সরকার যে নির্বাচন দিয়েছে এতে শেখ হাসিনা বিপুল পরিমাণ ভোটে জয়লাভ করেছে। সত্যিকার অর্থে শেখ হাসিনা সঠিক ভাবে নির্বাচন হলেও জয় লাভ করতেন তবে এত বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠি যে তার পক্ষে নেই এটা পরিষ্কার। শেখ হাসিনা হয়তো নিজেও জানতেন না তার দলের মাফিয়া গুলি নির্বাচনকে এত বড়ভাবে ম্যানুপুলেট করবে।
আমি নিজে ভোট দিতে গিয়েছি এবং ভোটকেন্দ্রে দেখেছি শেখ হাসিনার মাফিয়া গুলি যারা ধানের শীষে ভোট দিবে বলে সন্দেহ হয়েছে তাদেরকে খুবই ভদ্রতার সহিত ভোট না দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে। উক্ত ব্যক্তিরা তাদের ভদ্রতার মূল্যায়ন করে ভোট দান থেকে নিজেদের বিরত রেখেছে! কয়েকটি কেন্দ্রে ঘুরে একই রকম চিত্র দেখতে পেয়েছি। সারা বাংলাদেশের চিত্র মোটামুটি এই রকমই ছিল।
শেখ হাসিনা ঐক্যফ্রন্টকে আরো কয়েকটি আসন দেওয়ার চিন্তাভাবনা করেছিলেন হয়তো। কিন্তু ১০-১৫ কোটি টাকা দিয়ে মনোনয়ন কিনে কেউ হেরে যেতে চায়নি। মনোনীত ব্যক্তি দেখেছে তার পাশের আসনে আরেকজন কিভাবে জয়লাভ করবে সেটার প্লান সাজাচ্ছে আর সেও সেভাবে জিতার চেষ্টা করেছে এবং সফল হয়েছে।
যাইহোক নির্বাচনের গণতান্ত্রিক প্যাটার্ন এইরকম না এটা শেখ হাসিনার পক্ষে এবং বিপক্ষে সবাই মোটামুটি একমত হবেন। সমস্যা হচ্ছে এই নির্বাচনটিকে তোফায়েল আহমেদ সাহেব সত্তরের নির্বাচনের সাথে তুলনা করেছেন। ৭০'এর নির্বাচনকে আমরা খুবই শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। উনি এটাকে ঐ নির্বাচনের সাথে তুলনা করে শেখ মুজিব এবং উনার দলকে অপমান করেছেন। ৭০ সালে শেখ মুজিব এবং নৌকাতে ভোট দেওয়ার জন্য ভোট চাইতে হয়নি, কাউকে বাধা দিতে হয়নি শুধু জনগণকে বলতে হয়েছে কিভাবে ভোট দিবে, ব্যালট পেপার কিভাবে ভাঁজ করে বাক্সকে ঢুকাতে হবে সেটা শিখিয়ে দিতে হয়েছে বাকি কাজ তারা খুব সুন্দর ভাবেই করেছে। তোফায়েল আহমেদ সাহেব ৭০এর নির্বাচনকে এভাবে প্রশ্নবিদ্ধ না করলেও পারতেন।
শেষকথা...
অনেক দিন আগে আমি আমার এক পোস্টে বলেছিলাম আমাদের দেশের ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস গুলো বিএনপিকে রিফর্ম করার চেষ্টা করছে, জামায়াতকে বিএনপির থেকে আলাদা করার চেষ্টা করছে। সেখানে অনেকে আমার সাথে একমত হয়েছে, আবার অনেকেই দ্বিমত পোষণ করেছে। আপনি ২০১৪ থেকে আজকের দিন পর্যন্ত দেখলে দেখবেন আমার ধারণাটা অমূলক নয়। বিএনপির নেতৃত্বের মধ্যে একপ্রকার হযবরল অবস্থার সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে এবং আগামী দুই তিন বছরে তাদের নেতৃত্বের ভারসাম্য পুরোপুরি নষ্ট হয়ে নতুন নেতৃত্বের দিকে যাবে। এটি দেশের ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস গুলির একটি ভালো পদক্ষেপ এবং এতে তাদের সফল হওয়া উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:৫৭
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাঙ্গু এনালিস্ট কাম ইন্টারন্যাশনাল সাংবাদিক জুলকার নায়েরের মাস্টারক্লাস অবজারবেশন !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২৬

বাংলাদেশের দক্ষিণপন্থীদের দম আছে বলতে হয়! নির্বাচন ঠেকানোর প্রকল্পের গতি কিছুটা পিছিয়ে পড়তেই নতুন টার্গেট শনাক্ত করতে দেরি করেনি তারা। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ ঘিরে নতুন কর্মসূচি সাজাতে শুরু করেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক্ষমতাচ্যুত ফ্যাসিবাদ: দিল্লির ছায়া থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র

লিখেছেন কৃষ্ণচূড়া লাল রঙ, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৭

একটা সত্য আজ স্পষ্ট করে বলা দরকার—
শেখ হাসিনার আর কোনো ক্ষমতা নেই।
বাংলাদেশের মাটিতে সে রাজনৈতিকভাবে পরাজিত।

কিন্তু বিপদ এখানেই শেষ হয়নি।

ক্ষমতা হারিয়ে শেখ হাসিনা এখন ভারতে আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×