একজন সংসদ সদস্যের কাজ কি? এটা যেমন আমাদের সাধারন জনগন জানেনা তেমনি আমাদের অনেক সংসদ সদস্যও মনে হয় জানেনা। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে তাদের প্রতিটি স্টেটমেন্টই মিডিয়ায় আসে, ক্ষেত্র বিশেষে আন্তর্জাতিক মিডিয়াও প্রচার হয়। তারা ব্যক্তিগত মতামতের নামে উদ্ভট ও উষ্কানীমূলক কথা বা স্টেটমেন্ট দিতে পারেনা। সারা বিশ্বেই এখন এমনিতে ফ্রান্স ইস্যু নিয়ে বিতর্কিত অবস্থায় আছে, তারমধ্যে আমাদের এক সংসদ সদস্য ব্যক্তিগত ইচ্ছার নামে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে হত্যা করার ইচ্ছে পোষন করেছে।
লিয়াকত হোসেন খোকা নামের এই সংসদ সদস্য বলেন, “আমি শুধু একটি কথাই বলতে চাই, আজকে আমার প্রিয় নবী সম্বন্ধে যারা কটূক্তি করবে, ব্যঙ্গ করবে, আমি মুসলমান হিসেবে বলতে চাই, আমি কোনো সংসদ সদস্য না এখন, .... ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রীকে (প্রেসিডেন্ট) বলতে চাই, আজকে তুই যদি আমার সামনে থাকতি, আমি তোকে হত্যা করতাম। হত্যা করে আমি ফাঁসির মঞ্চে হাসতে হাসতে যেতাম।”
একজন সংসদ সদস্য অন্য আরেকটি দেশের প্রেসিডেন্টকে হত্যা করতে চায়! এদের আসলে সংসদ সদস্য কে বানিয়েছে! এদের যে মগজ তাতে বড়জোর রাস্তাঘাটে ছিনতাই করার মত যোগ্যতা আছে। অথচ তাদের বানিয়ে রেখেছে সংসদ সদস্য করে!
তার এই বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে সে বিবিসি বাংলাকে বলে, সে তার বক্তব্য সম্পর্কে এখনো অনড় আছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সে তার বক্তব্যে অনড় থাকবে।
তাকে আরে জিজ্ঞেস করা হয়, সংসদ সদস্যের কাজ আইন প্রণয়ন করা। প্রকাশ্য জনসভায় কাউকে হত্যার করার ইচ্ছে প্রকাশ করে আইন ভঙ্গ করেছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে সে বলে, “আমি একজন মুসলমান এবং আল্লাহর বান্দা এবং নবীর উম্মত হিসেবে এটা বলেছি। নবীর ব্যাপারে কোনো আপোষ নাই।”
এই লোকটি ফ্রান্সের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান। সে বলে, “আমার নবীর বিরুদ্ধে যে বলবে তার সাথে কিসের সম্পর্ক?” ফ্রান্সের সাথে আমাদের কিসের সম্পর্ক এখন এই লোককে কে বুঝাবে? রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের লোকজন যদি এমন ধারণা পোষণ করে, এমন স্টেটমেন্ট দেয়, তখন এগুলোকে কি বলা যায়? রাষ্ট্র কারা পরিচালনা করছে, জাতিকে কারা পিছিয়ে নিচ্ছে তা সহজেই অনুমান করা যায়!
বিঃদ্রঃ ব্লগে কি মুনাফেক ও আল্লার শত্রুদের তালিকা প্রকাশ হয়েছে? হলে কারাকারা জায়গা করে নিয়েছে?
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:২৯