আজ থেকে অনেক বছর আগে একটা সময়ে মানুষের প্রয়োজনে ধর্মগুলি পৃথিবীতে এসেছে। ধর্মের নীতিকথা গুলি মানুষকে রিফাইন করেছে। মানুষ ধর্মের মাধ্যমে সমাজে একটা স্থিতি অবস্থা এনেছে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ধর্মের প্রধান বা কোর বিষয়গুলোকে দূরে ঠেলে দিয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ ও অপ্রয়োজনীয় বিষয়কে অতিমাত্রায় প্রাধান্য দিয়ে ধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলছে। যে যার মত করে ধর্মের ব্যাখ্যা ম্যানুফ্যাকচারিং করা শুরু করেছে।
ইসলাম ধর্মে হিজাব, নেকাব, দাঁড়ি, টুপি নিয়ে রক্তারক্তি হচ্ছে! নবীজী মাটির তৈরি না নূরের তৈরী, রওযায় জীবিত না মৃত এসব নিয়ে তুলকালামকান্ড বাধাচ্ছে! আল্লাহর অস্তিত্ব নিয়ে দর্শন বিজ্ঞান সব এক করে ফেলেছে! আল্লাহ যেখানে বিশ্বাস করতে বলেছেন সেখানে সেটা প্রমান করার জন্য দিনরাত এক করে ফেলছে! বিজ্ঞানের সাথে ধর্মকে মিশিয়ে প্রজন্মকে ব্রেইনওয়াশ করে দিচ্ছে! যার কোনোটিই আল্লাহ করতে বলেননি।
দেখুন নিচের বিষয় গুলো, এই গুলো করলে আপনার কি ধর্মের বিজ্ঞাপন দেওয়া লাগবে? আল্লাহ আছে কি নেই সেটা প্রমান করার জন্য ঘাম ছুটাতে হবে?
■ একজন মুসলমান বাঁচা মরার মাঝখানে মিথ্যে বলবে না।
■ প্রতিশ্রুতি দিয়ে সেটা রক্ষা করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবে।
■ নিজের বিশ্বাস জোর করে অন্যের উপর চাপিয়ে দিবে না।
■ ক্ষুদায় কষ্ট পেলেও চুরি করে না, প্রতারনার আশ্রয় নেয় না, ধর্য্য ধারণ করে।
■ আমানতের খেয়ানত করে না, অপচয় করেনা।
■ কারো অনুপস্থিতে তার দোষত্রুটি নিয়ে আলোচনা করে না। কারো নামে মিথ্যাচার করে না।
■ অপ্রয়োজনীয় কথা বলে না, অযথা সময় নষ্ট করে না, সৎকর্ম করে।
■ নিজের আচরণের কারনে কারো মনে কষ্ট দেয় না, সর্বউত্তম ব্যবহার করে।
■ চাকুরিতে অসদুপায় অবলম্বন করে অর্থ উপার্জন করে না।
■ ব্যবসায় খারাপ পণ্য বিক্রি করে না, ওজনে কম দেয় না, ভেজাল মেশায় না।
■ অহংকার, হিংসা, লোভমুক্ত। যা আছে তা নিয়ে সন্তুষ্ট।
■ নিজের অসহায় প্রতিবেশীকে সাধ্যমত সাহায্য করে।
এই বিষয় গুলোর চর্চা যদি আপনি করেন আপনার কাউকে ইসলামের জন্য দাওয়াত দিতে হবে? আল্লাহ আছে কি নেই প্রমান করতে ব্যতিব্যস্ত হতে হবে? ইসলাম শান্তির ধর্ম বলে বেড়াতে হবে?
আসলে সব ধর্মেরই কম বেশ মূল কথা এগুলোই। আমি ইসলাম সম্পর্কে জানি তাই কোরআন থেকেই এগুলো বললাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:১৩