বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে বর্তমানে চরম অর্থনৈতিক অস্থিরতা বিদ্যমান। দেশীয় মুদ্রার সাথে ডলারের মূল্য উদ্বগামী। টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রায় সব দেশেরই। স্থানীয় মুদ্রার মান ডলারের বিপরীতে কমে যাচ্ছে কিন্তু ডলার শক্তিশালী হচ্ছে, উহার দাম কমছে না, এর কারণ কি? এটা অর্থনীতিবিদরা ভালো বলতে পারবে।
ডলারের দাম খুবই স্বল্প সময়ের ভিতরে বেড়ে যাচ্ছে বিধায় দেশের মানুষ (বিশেষ করে মহিলারা) কিছু লাভের আশায় ডলার কিনে জমিয়ে রাখছে। এছাড়াও ব্যাংকগুলি ডলারের দাম বৃদ্ধিতে কিছু কারসাজি করছে মনে হয়। মানি এক্সচেঞ্জের মালিকরা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলার কিনে এনে গ্রাহকের কাছে সাথে সাথে বিক্রি না করে ৪-৫ দিন ধরে রেখে বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে। এটা ডলারের বাজারকে আরো বেশি অস্থিতিশীল করছে। এই ক্রাইম বন্ধ করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। নিবে নিবে করে আজকে দুইদিন কাটিয়ে দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশে রিজার্ভের বাইরেও অনেকের হাতে ক্যাশ ডলার, পাউন্ড, ইউরো আছে। এসবের পরিমাণ কিন্তু কম নয়। এছাড়াও অনেকের কাছে ব্যবহৃত ও গচ্ছিত স্বর্ণ আছে, যার পরিমাণও বিশাল। এসব গচ্ছিত ক্যাশ অর্থনীতিতে খুব বেশি অবদান রাখছে না, অলস পড়ে থাকছে। এই অস্থিরতার সময় বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো একটা পদ্ধতি বাহির করতে পারে এসব অলস ডলার ও স্বর্ণকে বাজারে আনার জন্য। এখন সেটা করার জন্য তারা যে কোন একটি কার্যকর ভালো উপায় বের করে নিতে পারে।
তবে আমার কাছে মনে হয় ব্যাংক গুলোকে নির্দেশ দিতে পারে ডলার ও স্বর্ণ অ্যাকাউন্ট করার জন্য এবং সেখানে মোটামুটি ভালো ধরনের ইন্টারেস্ট দিতে পারে জমাকৃত ডলার ও স্বর্ণের বিপরীতে। অথবা যাদের সেভিংস একাউন্ট আছে সেটার সাথে এটা মার্জ করে দিতে পারে। এতে যাদের কাছে ক্যাশ ডলার ও স্বর্ণ আছে তারা সেগুলো ব্যাংকে একাউন্টের মত জমা দিবে এবং তাদের জমাকৃত ডলার ও স্বর্ণ বাংলাদেশ ব্যাংকে চলে যাবে। ব্যাংক হিসাবে তাদের জমাকৃত ডলার ও স্বর্ণ ডলার হিসেবেই দেখাবে এবং চলমান রেট ধরেই মোট জমাকৃত অর্থ দেখাবে।
যাইহোক এটা একটা পদ্ধতি হতে পারে যা একান্ত আমার মত। তবে এর ফিজিবিলিটি স্টাডি করে পদক্ষেপ নিতে পারে সরকার। অথবা অন্য যেকোন একটা প্রসেস বের করতে হবে অলস ক্যাশ ডলার ও স্বর্ণ অর্থনীতিতে যোগ করার জন্য। আর তা করতে পারলে ডলারের বাজারে অবশ্যই স্থিশীলতা আসবে এবং মানুষও কিছুটা লাভবান হবে।