সাম্প্রদায়িকতার কথা আসলে সবার আগে আমরা বিএনপি জামাতের শাসনামলের কথা স্মরণ করি। তাদের সময় সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প নাকি ছড়িয়েছে। যাক ভালো কথা, তারা যদি বিষবাষ্প ছড়ায় তাহলে এখন আওয়ামীলীগ সরকার সেখান থেকে বৃষ্টি নামাচ্ছে! অতীতের যেকোনো সময় থেকে এখন সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মান্ধতা প্রাইম লেভেলে আছে! সময়ের সাথে সাথে জাতির এই সমস্যাটি বেড়েছে, কখনো কমেনি। সব সরকারই এটাকে ভোটের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে।
বড় বড় বিল্ডিং বানাচ্ছেন, স্থাপনা করছেন, করার পর এগুলিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম লাগাচ্ছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা যুক্ত করছেন কিন্তু এসব মুক্তিযুদ্ধের কথা, বঙ্গবন্ধুর কথা মানুষের মনে কি টেকসই আকারে স্থান নিচ্ছে? কখনোই না! আজকে কলমে কিংবা কাগজে স্বাধীনতার যে কথাগুলি আপনারা লিখছেন, বলছেন এগুলিকে মুছে দিতে স্রেফ ছয় মাস সময় লাগবে বিএনপি জামাত ক্ষমতায় আসলে। আজ ক্ষমতায় যারা আছে তারা ছাড়া যদি সাধারণ মানুষ এসব বলতে না পারে, হৃদয়ে ধারণ করতে না পারে তাহলে এসব কখনোই স্থায়িত্ব পাবে না। ৭৫ থেকে ৯৬ এর দৃশ্যপট দেখলেই পরিষ্কার বুঝা সম্ভব। আজ পর্যন্ত আপনারা জাতির পিতার কনসেপ্টটিই মানুষের কাছে পরিষ্কার করতে পারেননি। জাতির পিতা কি ইব্রাহিম (আ: ) নাকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান! জাতির পিতার কথা আসলে কেনো এক দল ইব্রাহিম (আ: ) কে টেনে আনে?
আওমীলীগ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে যে ফাঁকফোকর তৈরি হয়েছে সেগুলি ভরাট করার জন্য শেখ হাসিনা সরকারকে বিভিন্ন দল ও মতের সাথে কম্প্রোমাইজ করতে হচ্ছে। তাদের সাথে কম্প্রোমাইজ করতে গিয়ে তাদের বিভিন্ন শর্ত মানতে বাধ্য হচ্ছে। তাদের শর্তগুলি যেদিন শেখ হাসিনার শর্ত গুলির চেয়ে বেশি ভারী হয়ে যাবে তখনই সবকিছু তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে! শেখ হাসিনার সরকার অতীতের যেকোনো সরকারের চেয়ে ধর্মান্ধ জনগোষ্ঠীর নেতাদের, তাদের দলকে যে সুবিধা দিয়েছে তা আর কেউই দেয়নি। তবে সমস্যা হচ্ছে এদের চাহিদার কোন শেষ নেই, যত দিবে, ততই নতুন নতুন আবদার আসতে থাকবে। এই আবদারের নিচেই শেখ হাসিনা চাপা পড়তে যাচ্ছে!
যাই হোক শেখ হাসিনা যদি কওমি জননী উপাধিকে নোবেল প্রাইজ মনে করেন তাহলে উনি ভুল করবেন। এসব কওমি জননী মননি জাতির কোন বিশেষ উপকারে আসবে না। উনার উচিত হবে বাঙ্গালীদের জননী রূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা। যে স্বপ্ন উনার বাবা দেখিয়েছেন উনি সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে হাঁটছেন না। যে চারা গোলাপ একাত্তরে রোপন করা হয়েছে উনি সে গাছে ফুল ফুটাতে পারছেন না। উনার এখন আর জৈবসার দিয়ে কাজ হবে না, উনার উচিত হবে ডাইরেক্ট কীটনাশক দিয়ে ক্ষতিকর পোকা দমন করা!
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:১৮