
নির্বাচন চলে এসেছে, নির্বাচন করতে ইচ্ছুক প্রার্থীরা যেভাবে নমিনেশন পেপার কিনছে তাতে মনে হচ্ছে সবাই আমাদের সেবা করতে উদগ্রীব হয়ে আছে! প্রতিটা আসনের বিপরীতে ১৫ জন করে নমিনেশন চাচ্ছে আওয়ামীলীগ থেকে! অন্য দলেরও আছে। যাইহোক তারা দেশ ও দেশের জনগণের সেবা করতে চায় আপনার ইচ্ছে হলে তাদেরকে ভোট দিবেন, নাহলে দিবেন না। কথা হচ্ছে যারা নমিনেশন পেপার কিনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং আমরা যাদের ভোট দেই বস্তুত তারা আমাদের প্রতিনিধি। আমাদের হয়ে তারা সংসদে কথা বলবে, আমাদের জীবনযাত্রা সহজ করার জন্য ভালো ভালো বিল সংসদে আনবে, সেগুলিকে কার্যকর করবে আর এটাই একজন জনপ্রতিনিধির কাজ।
সমস্যা হচ্ছে এই জনপ্রতিনিধিদের আমরা শাসকগোষ্ঠী বলি, কেনো বলি ঠিক বোধগম্য নয়! তারা তো আমাদের শাসক নয়, তারা হলো আমাদের সেবক। আমরা তাদেরকে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠাই আমাদের সেবা করার জন্য। অথচ তাদেরকে আমরা শাসকশ্রেণী বলে বিশেষায়িত করি!
আমাদের প্রতিনিধিরা কিভাবে আমাদের শাসক হয়ে উঠেছে? কিভাবে গণতন্ত্রের ভিতরে এই শাসক শব্দটি ঢুকে পড়েছে! আসলে এটা শুধু শব্দ নয়, আমাদের মননে মগজে এটা গেঁথে গেছে। আমরা ধরেই নিয়েছি তারা নির্বাচিত হয়ে আমাদের শাসন করবে, দেশ চালাবে। শাসন করা এবং সেবা করার মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে যা আমরা ধরতে পারিনা। যাদেরকে সেবা করার জন্য আমরা সুযোগ দেই তারাই আমাদের মাথার উপর বসে আমাদের শাসন করে।
আমি বলছি না শাসকের জায়গায় সেবক কিংবা জনপ্রতিনিধি কথাটি চর্চা করলেই আমাদের রাজনীতিবিদরা পরিবর্তন হয়ে যাবে। তারপরেও শাসক না বলে জনপ্রতিনিধি কিংবা সেবক বলার চর্চা করার উচিত। বই-পুস্তকে, নাটক উপন্যাসে প্রতিনিধি, সেবক শব্দ ব্যবহার করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



