বাঙালি বড়ই অদ্ভুত জাতি!!! নিজেদের হেয় করতে আমরা বাঙালিরা বরাবরই বিশেষভাবে পারদর্শী । তাই চলুন এবার নিজেকে একটু হেয় করে আসা যাক । পৃথিবী কোনদিকে যাচ্ছে তা বুঝতে আমি টেলিভিশনের খবর দেখার চাইতে আন্তঃজালকেই প্রাধান্য দেই । আমার মনে হয় আন্তঃজালাবিষ্ট বিশ্বায়নের এই যুগে আমার দলভুক্ত মানুষের সংখ্যা নেহায়েত কম নয় । তবে এবার আসল কথায় আসা যাক....
'লিঙ্গ' এবং 'ধর্ম' এই দুটো স্পর্শকাতর ব্যাপার নিয়ে নড়াচড়া আমি ব্যক্তিগতভাবে খুবই অপছন্দ করি । একটা ছেলেকে বা মেয়েকে আপনি হিজড়া বলুন দেখবেন সে আপনার উপর চটে গিয়েছে । গালির চাইতেও বেশি কার্যকরী এই লিঙ্গ নিয়ে খোঁটা দিয়ে কথা বলাটা । ঠিক তেমনি আপনি একজন মুসলিমকে মালাউন বলে গালি দিলে তার মুখ দিয়ে গালির বন্যা ছুটতে আপনাকে খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে না ।
আমাদের দেশে গত কয়েকদিন ধরে এই লিঙ্গভিত্তিক একটা ব্যাপার নিয়ে তোলপাড় বয়ে যাচ্ছে । হ্যা ঠিকই ধরেছেন... সমলিঙ্গীক বিবাহ নিয়ে যে তুমুল মাতামাতি চলছে ঐ ব্যাপারেই বলছি । এই উভলিঙ্গীক বিবাহের সাথে আবার যুক্ত হয়েছে কাবা শরীফের সাতরঙা ছবি প্রকাশ করা । সাধারণ একজন মুসলিম হয়ে আমি জেনে পাপ করি তারপর আবার প্রার্থনা করি আবার পাপ করি আবার আল্লাহকে ভয় করে মাফ চাই । ধর্মভীরু এই দেশে যেখানে প্রায় শতকরা নব্বই ভাগ মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী সেখানে এই উভলিঙ্গীক বিবাহের সমর্থন আমাদের দিয়ে হবে না এটা খুব স্বাভাবিক । ধর্ম পালন করি বা না করি ধর্মের প্রতি আমরা খুবই সংবেদনশীল । তাহলে দেখছেন লিঙ্গ এবং ধর্ম দুটো স্পর্শকাতর ব্যাপার কিন্তু এক হয়ে যাচ্ছে!!!
আসিফ মহিউদ্দিন একজন আত্মস্বীকৃত নাস্তিক(পড়ুন ইসলাম ধর্ম বিদ্বেষী)। সে কাবা ঘরের সাতরঙা ছবি দিয়ে শুধুমাত্র একটি ধর্মকে অবমাননা করেছে কিন্তু আমি এর কারণটা জানি না । উভলিঙ্গীক বিবাহ পৃথিবীর কোন প্রধান ধর্মই স্বীকৃতি দেয় নি, যদিও অন্য ধর্মের এই অনুশাসনের বিরুদ্ধে কোন নাস্তিকই কোন অবমাননাকর ছবি প্রকাশ করে নি!!! ব্যাপারটা কেমন যেন অদ্ভুত লাগছে আমার কাছে । কেনো বারবার শুধু আমার ধর্মকেই ব্যঙ্গ করা হবে? এটা কি অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং একটি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা তৈরি করার জন্য যথেষ্ঠ নয়?
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:৫৯